রাত্রি-ভোর (ছন্দহীন পথিক - ০৫)

35 1 4
                                    


শহরের সন্ধ্যা রাত্রি আসে যায়, তৈরি করে কিছু বিচ্ছিন্ন আলোর গল্প। রাত মেখে, ঘুমের ক্ষণেও বেঁচে থাকে শহরের নির্জনতা।

পথিক আজ খুবই ক্লান্ত সামনে কোরবানির ঈদ। এইদিকে সপ্তাহখানেক আগেই ট্রেনে উঠে গিয়েছিল রমণী। কেমন আছে ও? প্রশ্ন যখন ঘুরপাক খাচ্ছে ততক্ষণে পথিক শাহজানপুর চলে এসেছে। হাঁটার গতি ঠিক কম না। নিজেকে ঘোঁড়া ভাবতেই পারে পথিক।

ইদানীং সন্ধ্যা টা আগের মত ভালো লাগছেনা নতুন গল্পের ছোঁয়া পাচ্ছেনা পথিক। এদিক ওদিক করে রাস্তার পাশে চা দোকান খুজঁছে পথিক। পুলিশেন ডন্ডার বাড়ি খেয়ে এখন রাস্তার পাশে আর চা-সিগারেট নিয়ে বসে না কেউই। এই এলাকায় কুতুব সাহেব থাকে। কুতুব সাহেব বিলাসী মানুষ। রাস্তার ধারে শার্ট-পেন্ট পরে চা বিক্রি করে এলাকায় তাকে কুতুব সাহেব বলে ডাকে। তার এই বিলাসী চলা ফেরার কারনে নাম।

কিন্তু আজ কুতুব সাহেবের দেখা নাই। একটু দুরেই চায়ের টং দেখা যাচ্ছে। আমেরিকার ওয়াশিংটন থাকলে কি হয়েছে বাংলাদেশের চায়ের টং আছে যা ওয়াশিংটন এর চেয়ে জনপ্রিয় দিন রাত ২৪ ঘন্টা চলমান জনপ্রিয় চায়ের টং। ইদানীং কথা বলতে গেলে রাজনৈতিক ভাষণের মত মনে হয়। এই যে, ভাইয়েরা আমার বোনেরা তোমাদের বলে শুরু করে দিলে মন্দ হয় না । যাইহোক, চায়রের টং এর পাশেই ছোট বেলুন দিয়ে বানানো ফুল নিয়ে এক পিচ্চি বসে আছে।

আমি চায়ের অর্ডার দিলাম আর পিচ্চির কার্যকলাপ দেখতে থাকলাম। শরীরে সাংবাদিক সাংবাদিক ভাব আসতে শুরু করলো ভালই হয় কাল সকালে একটা আর্টিকেল দিলে প্রথমজ্বালো পত্রিকায়। "বেলুন হাতে পিচ্চি আর পথিক " আহহহ টাইটেল টাও জুশ অনেক।
পিচ্চি টা খোপ মেরে বসে আছে তার টার্গেট মা-বাবার সাথে আসা বাচ্চাদের। একটু পরেই একটু নাদুস নুদুস বাচ্চা নিয়ে মা আসলো। পিচ্চি বাচ্চাটার হাতে বেলুন দিয়ে দিল পিছন দিয়েই নখ দিয়ে একটা বেলুন ফুঁটিয়ে দিলো। চমকে গেল মা! কি হল?

পিচ্চি বলল, ১০ টেকা দেন
মা : কেন?
পিচ্চি : আপনার পোলায়ে বেলুন নিয়া ফুডাইয়ালাইসে

রাত্রি-ভোর ( ছন্দহীন পথিক - ০৫ ) Where stories live. Discover now