সেদিন রাতে ট্রেন আসলো। উঠে গেল রমণী পথিক। পথিক রমণীকে জিজ্ঞাসা করলো।
পথিক: কি হয়েছিলো?
রমণী : জানি না, হঠাৎ এত ভয় হলো যে আমি ঠিক ছিলাম না।
পথিক : আমি তো ছিলাম পাশে।
রমণী: আপনি যদি চলে যেতেন তখন।
পথিক : আপনাকে রেখে আমি গায়েব হইয়া যাবো? ছুমান্তরছু হইয়া যাবো?
রমণী: যদি চলে যেতেন?
পথিক : পৃথিবীতে এমন কিছু মানুষ আছে যারা কোনদিন চাইলেও তাদের প্রিয় বস্তু থেকে দুরে সরতে পারে না।
রমণী: আমি কি আপনার প্রিয় বস্তু?
এই কথা বলতেই টিটি চলে আসলো। মোটা সোটা গোলটু গালটু চেহারার। ভালই তো ইদানীং কিউটের তালিকায় মোটা নাদুস নুদুস রা তাদের জায়গা প্রথমে ধরে রেখেছে। যাই হোক।
টিটি : ভাইয়া, ভাবি আপনাদের টিকেট টা।
পথিক : চুপচাপ ।
রমণী: কে ভাইয়া আর কে তার ভাবি?
টিটি: আরেহ, ভাইয়ার ভাবি হইতে যাবে কেন? আমার ভাবি আপনি আর ওই যে ভাইয়া। আপনাদের নতুন বিয়ে?
রমণী: কি সব বলছেন, উনি আমার কেউ লাগে না
এইবলে চুপ রমণী। হঠাৎ বিষণ্ণ হয়ে গেল মুখ। শীতের কাক যেমন সকালে ঠান্ডায় ডাক না দিতে পেরে চুপচাপ গুটিসুটি মেরে বসে থাকে। ঠিক তেমন।
পথিক ফিক করে হেসে দিলো। এত সিরিয়াস টাইমে পথিকের হাসি নেহাত পাপ।
পথিক : আরেহ - আরেহ, ৩য় বিশ্বযুদ্ধ চাই না। এই নেন জনাব আপনার টিকেট আর আমরা কেউই না।
রমণী: কেউ না মানে কি?
টিটি : ভাবি, মাত্র ই তো বললেন আপনার কেউ না উনি। আহহহ নতুন নতুন বিয়ে হলে ঝগড়াঝাঁটি হয়, টুকটাক দুষ্ট মিষ্টি মারামারি হয়।
এই বলে টিটি কেবিন থেকে বেরিয়ে গেল। স্তব্ধ চারিদিক কথা নেই কাউর মুখে। একি? রমণীর চোখমুখ লাল। পথিক,
YOU ARE READING
গল্পের শুরু এখানেই ( ছন্দহীন পথিক -৭ম পর্ব)
Short Storyছন্দহীন পথিক একটি হাফ ফিকশন এ হাফ ননফিকশন সিরিজ।