খবরের কাগজের প্রথম পাতায়ে একটি খবর পড়ে নিজের হাসি আর চেপে রাখতে পারলাম| আমাকে হাসতে দেখে বিমলেশ কৌতুহল ভাবে জিজ্ঞেস করলো – “কি রে আবির…হাসছিস কেনো?”
আমার নাম আবির| ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট কাজ করি| বিমলেশ আমার সহকর্মী| অধিকাংশ সময়ে আমার বিমলেশের একসাথে কাজ পড়ে এবং সেই সুত্রে আমাদের বন্ধুত্য বেড়ে ওঠে|
আমি বললাম – “এই খবরটা শোন… মনিপুরে এক গ্রামে এক মহিলা নাকি তন্ত্র শক্তি দিয়ে পুরো পরিবারের সব সদস্যদের এক রাতে খুন করেছে… এবং পুলিশ নাকি ওই গ্রাম বাসিদের কথায় মহিলাটিকে গ্রেপ্তার করেছে… আমি বুঝতে পারিনা.. আমরা কোন জগতে রয়েছি|”
বিমলেশ আমাকে বলে বসলো – “আবির .. যা চোখে দেখোনি.. তার মানে এই নয় তা হয় না”
আমি জানতাম বিমলেশ একজন ধার্মিক ছেলে, তাই ব্যাপারটা নিয়ে ওর সাথে বেশি তর্ক করলাম না| এর আগে এই সব বিষয়ে নিয়ে আমাদের মধ্যে অনেক তর্ক হয়েছে, কিন্তু মনে পড়ে গেলো বিমলেশ আমাকে একবার বলেছিলো সে নাকি নিজের চোখে অনেক কিছু দেখেছে ছোটোবেলায়ে| তাই আজ নিজেকে প্রশ্ন করা থেকে আটকাতে পারলাম না – “তুই বলেছিস বিমলেশ তুই নাকি এমন কিছু ছোটোবেলায়ে দেখিছিলিস.. কি দেখিছিলিস ভাই?”
বিমলেশ চুপ হয়ে গেলো এবং বলল – “কিছু জিনিস আছে যা বলা যায় না আবির|”
আমি বিমলেশকে আর বেশি কিছু জিজ্ঞেস করলাম না, বুঝতে পারলাম এই ঘটনাটি একান্ত ব্যক্তিগত হতে পারে| আমরা দুজন অনেক ভালো বন্ধু আর তার থেকে বড় কথা হচ্ছে বিমলেশ হচ্ছে আমার হবু শালা| হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন, বিমলেশের বোন হচ্ছে আমার প্রেমিকা|
আমার থেকে বয়েসে ১০ বছরে ছোটো হলেও আমার নিজেও কোনদিনও লজ্জা বোধ হয়েনি এই ব্যাপারে| এর কারণ ছিলো বিমলেশের বোন ছিলো বিমলেশের মায়ের মতো অপূর্ব সুন্দরী|
বাড়িতে বড় ছেলে হওয়ার কারণে কোনদিনও নিজেকে নিয়ে ভাবার সময়ে ছিলো না, শেষে তিরিশ বছর বয়েসে প্রেম করে বসলাম কলেজ যাওয়া ছাত্রীর সাথে| বিমলেশ আমাদের প্রেমে ব্যাপারে সব কিছু জানতো এবং আমাকে নিজে বলেছিলো আমি যেনো তার বোনকে বিয়ে করি| বিমলেশের বাড়ির লোকেরা এই ব্যাপারে কোনো আপত্তি জানায়নি|