সকালে ঘুম থেকে উঠেই চিন্তায় ব্যস্ত হয়ে পড়লাম। কাকে এই স্বপ্নের কথাটা বলা যায়। স্বপ্নের বিষয়বস্তু খুব একটা স্বাভাবিক নয়। ভাবলাম মেন্টরকে বলা যায়, পরে ভাবলাম না, হইতো সে চিন্তায় পড়ে যাবে, স্বপ্নটা গোপনীয় থাক। এদিকে বাহিরের পরিবেশটাও ভালো নয়। সরকার প্রয়োজন ব্যতিত ঘর থেকে বের হতে মানা করেছে। কিন্তু এইদিকে আমি ভীষণ এক দুশ্চিন্তায় ভুগছি ;
ঐইদিন খুব সকালেই আমি আমার মেন্টরকে বললাম বিষয়টা, সে আমায় বললো তুমি হইতো এমন কিছু দেখছো যা তোমার মধ্যে রয়ে যাচ্ছে, ফলে তোমার প্রতিরাতে একই রকম স্বপ্ন দেখছো। সে বললো নামায পড়ো, আর রাতে ঘুমানোর আগে সূরা নাস পড়ে ঘুমানোর চেষ্টা করো, দেখ ইনশাআল্লাহ ভালো হয়ে যাবে। ঐদিন গোধুলির বিকেলে আমার সাথে মেন্টরের আবার কথাবার্তা হচ্ছিল ফোনে, ব্যালকনিতে বসে, কথায় এক আবেগ ছিলো~ কতদিন তাকে দেখি না, এই দেশে যে এক মারণ ব্যাধি ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছে, যা বাতাসের মাধ্যমে মানব দেহে প্রবেশ করে, মানুষের দেহের এন্টিবডিগুলিকে বিকল করে ফেলে, তার সাথে কথা বলা শেষ করে যখন রুমে যাবো, তখন বাহির থেকে কে যেন ডাকছে বলে মনে হলো, পিছনে তাকালাম, কাউকে দেখতে পারলাম না। আবার মাথার ভিতর সেই চিনচিন ব্যাথা শুরু হলো, তখন আমি আর দাড়িয়ে থাকতে না পেরে এক ঝটকায় বিছানায় শুয়ে পরলাম। তারপর কখন যে দুইচোখে ঘুম চলে আসলো তা আন্দাজ করতে পারলাম না। আমাকে রাতে খাবার জন্য ডাকা হলো, কিন্তু আমার খিদে থাকা সত্ত্বেও আমি খাবার টেবিলে যাওয়ার ইচ্ছা ও শক্তি কোনটাই পেলাম না। হঠাৎ ব্যালকনিতে মানিপ্ল্যান্ট গাছটাকে দেখে অদ্ভুদ লাগছিলো। মনে হলো সে যেন বাতাসের সাথে ঝগড়া করছে। ছোটগাছটি বাতাসকে বলছে না তুমি(বাতাস) এইরকম ক্ষতি করতে পারো না মানুষের। তখন বাতাস বলতে থাকে কেন করবো না বলো ~
মানুষ তাদের নিজেদের দোষে আজ এই পরিস্থিতির সম্মুখীন, মানুষ নিজেরাই বাতাসকে দূষিত করছে। তাদের কথাবার্তা হচ্ছিল এমন সময় হঠাৎ আমার রুমে দরজা ধাক্কানোর শব্দ পেলাম - দরজা খুলে দেখি হেলেনা আপা চা নিয়ে এসেছেন আমার জন্য, আমি অবাক হয়ে ভাবছি তাহলে কিছুক্ষন আগে যা ঘটছিলো তা সবই স্বপ্ন ছিলো।
YOU ARE READING
অদৃশ্য শক্তি
Paranormalযা দেখা যায় তার মোকাবেলা সম্ভব, কিন্তু যা দেখা যায় না তার বিরুদ্ধে কিভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব। ঘটনাটি কাল্পনিক, কিন্তু চরিত্রগুলির আমার জীবনের সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে।