সকাল পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠলাম। বিছানা নিজেরই করতে হলো। হজের সবাই ঘুম থেকে উঠতে শুরু করল। আমি সবার আগে উঠি ঘুম থেকে। একটু পরেই গাড়ি আসবে স্কুলের উদ্দেশ্য। ব্রেকফাস্ট করে একটি জিপ গাড়িতে ঝুলতে ঝুলতে স্কুলে যাই। বেশ মজাই লাগছিল। স্কুলে নতুন সব কিছু । বিকাল চারটায় স্কুল শেষ হয় আবারো চলতে চলতে হলে।
যাইহোক কিছুদিন পরে আস্তে আস্তে আমার মন খারাপ লাগলো। বাসার কথা খুব মনে হতো। মা বাবার কথা খুব মনে হতো। খুব হোমসিক হয়ে গেলাম।
হঠাৎ একদিন দেখি আমার বাবা-মা আমাকে দেখতে চলে এসেছে। আমি যে কি খুশি হলাম তা বলে বুঝাতে পারব না। মা বাবাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরলাম। মনে হলো কত দিন যেন দেখিনি। বাবা-মা আসলে আবার সাহস টা বেড়ে গেল। মনে হলো না আমি সবই পারব। আমাকে মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে চেষ্টা আমার করতে হবে। বাবা মারা যাওয়ার পরে সব কিছু ফেলে আবার পড়তে বসলাম।বাবা-মা ঢাকায় চলে যাওয়ার পর আমি খুব একা হয়ে গেলাম। সারাদিন ভালো লাগতো না।
রাত হলেই কাঁদতাম।
যাই হোক , ওখানে আমি ডেইলি ডাইরি লিখতাম।
হলের পাশে একটি পাথর ছোড়া অনেক বড়। পাথরের উপর বসে বসে আমি ডাইরি লিখতাম।
একদিন ওয়ার্ডেন এসে আমাকে বলল পাথরের উপর না বসতে। আমি জানতে চাইলাম কেন। সে তেমন কিছু বলবো না শুধু বললো না বসতে। আমি মনে মনে একটু রাগ হলাম। চলে আসলাম হলে ।একদিন পর আবারও আমি ওই পাথরের উপর বসে ডায়েরি লিখছিলাম। ওয়াটার আমাকে আবার মানা করলো । আমি খুব বিরক্ত বোধ করলাম ।
যাইহোক আমি তার কোন মানে বুঝলাম না , উঠে গেলাম ওখান থেকে। জানিনা সে আমাকে কেন এতটা অপছন্দ করে।
ওখানে একজন বাঙ্গালীর সাথে আমার খুব ভাল বন্ধুত্ব হয়ে গেল। আমার বেডের পাশেই তার বেড।
কিন্তু স্টুডেন্টরা টিচাররা সবাই একটু এ্যাবনরমাল।
অথবা আমি নিজেই একটু এ্যাবনরমাল।
রাত হলেই মাঝে মাঝে টিচাররা ড্রিঙ্ক করতো।
এটা কিছুটা ওপেন সিক্রেট ছিল।