Author's note

522 31 14
                                    

বগালেক... বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উঁচু মিঠা পানির আধার। সেই আনিন্দ সুন্দর বগালেকের পাশে প্রকৃতিকে বিরক্ত না করে বাঁশ আর কাঠের অবকাঠামো নিয়ে গড়ে উঠছে সরকার অনুমোদিত এক রিসোর্ট বুনোফুল। আর এই বুনোফুল তৈরির মূল দায়িত্বে আছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। প্রাথমিক ভাবে সেই কাজের ভার পড়ল দক্ষ এক সেনা কর্মকর্তা... কমান্ডো অফিসার রাইয়ানুর রহমান অয়নের উপর। কিন্তু বাইরে থেকে খুব সাধারন আর সহজ মনে করা এই কাজটি করতে যেয়ে ঠিক ততটাই বিপাকের মুখে পড়ল অয়ন ও তার সঙ্গী সাথীরা। স্থানীয় বাসিন্দারা মানতে চায় না সরকারের এই ব্যাবস্থাপনা। তাদের দাবী বাঁশ আর কাঠের হলেও একসময় এই বুনোফুলে আসা
পর্যটকদের সুবিধা দিতেই... এখানে আধুনিকতার সীমা থাকবেনা। দামী রিসোর্টের সাথে শুরু হবে দামী দামী সব ব্যাবস্থাপনা। আর তাতে নষ্ট হবে পাহাড়ের শান্তশিষ্ট কোলাহলমুক্ত পরিবেশ। তাতে ভেঙে যাবে ড্রাগনের ঘুম। ভেবে দেখলে ওদের দাবী একেবারে অযৌক্তিক না৷ গল্পের ড্রাগন থাকুক আর না থাকুক, কিন্তু তারপরও নীল পানির বগালেক ইতিমধ্যেই তার সৌন্দর্য দিয়ে অসংখ্য পর্যটকের নজর কেড়েছে। তাকে চাইলেও এখন আর তাই খুব বেশিদিন মায়ের কোলে লুকিয়ে রাখা যাবে না৷ অবগুন্ঠন সরাতেই হবে। তবে অয়ন তাদের আশ্বাস দেয়, এখানে কখনোই খুব উচ্চস্বরে শব্দ করা হবেনা যা পাহাড়ের ঘুমকে কেড়ে নেয়।

এমনিতেই রুমা বাজারের কাছে প্রতিটা পর্যটককে বিশেষ অনুমতিপত্র নিতে হয় বগালেকে আসার জন্য। অয়ন তাদের কথা দেয়... প্রয়োজনে টুরিস্টদের এই অনুমতিপত্র প্রদানের সময় আরও সজাগ দৃষ্টি রাখবে কর্তৃপক্ষ। পর্যটক আর স্থানীয়দের মধ্যে যেন সম্প্রীতির ধারা বজায় থাকে সেটা বিশেষ ভাবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রনে থাকবে। রিসোর্টের চারপাশের পরিবেশ নিয়ন্ত্রনেও কঠোরতা পালন করা হবে প্রকৃতির শ্বাশত রূপকে ধরে রাখার জন্য।

আর এজন্যই এই রিসোর্টটির নাম রাখা হচ্ছে বুনোফুল। একটি বুনোফুল যেমন তার সারল্য আর শুভ্রতা দিয়ে মানুষকে জয় করে নেয়, ওদের নবনির্মিত রিসোর্টটিও তার থেকে খুব বেশি ব্যাতিক্রম হবেনা৷

কিন্তু তারপরও বিপর্যয় যেন ধেয়ে আসে। তবে সেটা রিসোর্টে নয়, অয়নের জীবনে। আর তার কারন শ্বেতশুভ্র বসনা, ঝর্নার মতো চঞ্চল এক তরুনী। অরনী... অয়ন চেয়েও নিজেকে অরনীর প্রেমে পড়া থেকে বিরত রাখতে পারেনা। কিন্তু তারপর? অরনী কি মেনে নিবে ওর জীবনে ক্ষতের মতো বয়ে চলা অতীতকে। অয়ন দ্বিধায় দুলতে থাকে। অরণীকে ভালোবাসি বলবে কী বলবেনা, বুঝতে পারেনা। ঠিক এর মাঝেই আবারো বিপদের গন্ধ। কী ভীষন এক ধুম্রজালের খেলা।

এবার বলুন পাঠক... কী হতে চলেছে সামনে? কে কে হতে চান এই ড্রাগন লেকের পাড়ে গড়ে উঠা গল্পের অভিবাসী। আগামী ১৪ই ফেব্রুয়ারী আসছে প্রথম পর্ব.... তবে.. মনে রাখবেন এই গল্প মাসে দুটো পর্বের বেশি দেওয়া আমার জন্য এখন পসিবল না 😷

লুকেচুরি ২Место, где живут истории. Откройте их для себя