পর্ব ২

62 10 9
                                    

এখন মালিহা কী যে করবে সে নিজেই জানে না। সে জানে যে সে যদি এইবার ধরা পড়ে যায় তাহলে ফাঁসি হবে।

সে ছদ্মবেশে নরওয়ের একটি বড় ও নামকরা হোটেলে ড্রাইভারের কাজ করে।

যাতে পুলিশের হাতে ধরা না পড়ে।

কিন্তু একদিন হঠাৎ হোটেলে একটা খুন হয়।
(*খুন মালিহা করেনি*)

হোটেলের ম্যানেজার মি:কিম তেইহা়ং বলছেন, কাজটা নাকি ভ‍্যমপায়ার করেছে।

মালিহা এটা বিশ্বাস করে কারণ ভিক্টিম এর গলায় দাঁতের দাগ আছে।

সেদিন দুপুরে ভিক্টিম এর স্ত্রী,ম‍্যনেজার আর মালিহা যাচ্ছিল।

হঠাৎ করে হোটেলের কর্মচারী জেইহোপ গাড়ির সামনে চলে আসে

।মালিহা গাড়ি পিছনে ফিরে দেখল এলিজাবেথ ও রিসেল তাদের জন্যেই অপেক্ষা করছে আর হাসছে।

মালিহা গাড়ির মধ্যে থাকা টাকার সিন্ধুক নিয়ে দৌড়!!!

পিছনে ফিরে দেখল তেইহাং ও ভিক্টিম এর স্ত্রী দৌড়াচ্ছে।

কিছুক্ষণ পরে মালিহা শুনতে পায় তেইহাং ও ভিক্টিম এর স্ত্রী এর চিৎকার।

ও বুঝতে পারল ওরা মরে গেছে।

মালিহা শুনতে পায় ভ‍্যম্পায়ার গুলো গজরাচ্ছে।
মালিহা হাল না ছেড়ে দৌড়াচ্ছে।
কিছুক্ষণ পর ও খোলা প্রান্তরে পৌঁছাল।

এখন আর ভ্যাম্পায়ার গুলো আসছে না। কারণ এরা রৌদ সহ‍্য করতে পারে না।

প্রয় বিকেল

মালিহা এখন নরওয়ের নোবেল নদীর তীরে একটি নৌকায় চরে নদী পার হচ্ছে।

মালিহার দৃষ্টিকোণ
মুই এহন কি করমু ।
এহন আবার ফাইজা তাইহাও লাই। এহন কি কইরা চোরের পেট চালামু।

কি করি কি করি!!!!!!!

ওইতো একটা ছেরি। ওকি ও ছবি কেন
তুলে।দেহি ও কি করে শুনে দেখি।

মালিহা শুনে দেখে মেয়েটি একটি এনজিও কর্মী।

২মাস পর

মালিহা এখন এনজিও কর্মী।ওর কাজ হচ্ছে গরীবদের ছবি তোলার।।।।

মালিহা একদিন প্রতিদিনের মত কাজ শেষ করে যাচ্ছে সমুদ্রের রিসোর্টে।
কাল সকালে যাবে সেখানকার মানুষ এর ছবি তুলতে।

মাঝ রাস্তায় তার স্কুটি নষ্ট হয়ে যায়। সে সাহায্যের জন্য একটি গাড়ি দাঁড় করিয়ে
প্লিজ হেল্প করুন। আমার গাড়িটা নষ্ট হয়ে গেছে।

কিছুক্ষণ পর

গাড়ির জানালা খুলে যায়
ভিতর থেকে একটা পুরুষ কন্ঠ,
ওহ সিওর। আপনি কোথায় যাবেন?
সামনের রিসোর্টে। নিয়ে যাবেন প্লিজ!!!!

মালিহা গাড়ির দরজা খুলে ভেতরে ঢুকতেই দেখে।
একটি সুদর্শন যুবক স্টেরিং সিটে বসে আছে

- হ‍্যালো ! মালিহা। ইওর নেম?
- জাঙ্ককুক। আপনি কি করেন
-এনজিও এর কাজ করি
এভাবে গল্প ও গাড়ি চলে।

মালিহা ভুলেই যায় কখন তারা রিসোর্টে পৌঁছে গেছে।
- আপনি এই রিসোর্টে উঠেছেন, আমিও এখানে উঠেছি।
- হ‍্যা

দুইজন বিদায় জানিয়ে রুমে চলে গেল
যতক্ষণ পর্যন্ত মালিহা জাঙ্কুকের সাথে কথা বলছিল ওর মাথায় অতীতের কথা আসেনি

The Hotel Owner- Junkook FFWhere stories live. Discover now