মেঘের আলোয়
লেখিকা - রুবাইয়াৎ তৃণা . একটি জীবন সংগ্রামের গল্প বড় উপন্যাস
অামি তখন ইন্টারমিডিয়েট শেষ করে ভর্তি কোচিং করছি।নতুন কোচিং এ ভর্তি হয়ে অামার একটি চমৎকার অসুখ দেখা দিলো। তা হচ্ছে, কোচিং এর যেই ভাইয়াকেই দেখছি তাঁরই প্রেমে পড়ে যাচ্ছি! ধরা যাক, অাজ রিশাদ ভাই বায়োলজি ক্লাস করলো, পুরো ক্লাস অামি তাঁর প্রেমে মুগ্ধ! অাবার পরদিন বর্ণ ভাই ক্লাস নিলো, পুরো ক্লাস মনে হলো, একেই বিয়ে করবো অামি...
উনি তখন বিমানবাহিনীতে সবে ঢুকেছেন।টগবগে তরুণ! উনাকে দেখতে যে তখন কি ভালো দেখায়। ভীষণ লম্বা, গভীর চোখ, অার সবথেকে সুন্দর উনার হাসি।শুধু মাথাভর্তি ঝাকরা চুলটাই ছোট করে ছাটা। ইস! এমন হ্যান্ডসাম ছেলে সারা পৃথিবীতেই বুঝি অার একটাও নেই।পৃথিবীতে কেনো, অাশে পাশের কোনো গ্রহেও নেই।
নাইম চোখ মুখ কুচকে বলল ও অাচ্ছা খেলামণি তাহলে, সোজা খালামনি থেকে অামায় খেলামণি করে দিলো!
চলে যাবার অাগে টিয়া কাঁদতে কাঁদতে বলল, ---বাবা, অামি মাসুদ চাচাকে অামার সঙ্গে নিয়ে যাই? অামি হেসে ফেললাম। পলাশ অাশ্বাসের স্বরে বলল, ---মাগো, তোমার চাচাকে ছাড়া অামি কিভাবে থাকবো?তবে অামি যখন থাকবো না তখন নিয়ে যেও।
নীরা সামনে এগিয়ে গেলো। একজন স্যুট টাই পরিহিত ভদ্রলোক উহ্ অাহ্ করছেন! তাঁর হাত কেঁটে গেছে। গলগল করে রক্ত পড়ছে।রক্তে নীল স্যূটের বেশিরভাগই মাখামাখি।মেঝেতে পরে অাছে কিছু এলোমেলো কাগজপত্র। বেশিরভাগেই রক্ত! কিন্তু লোকটা কাটা হাত নিয়ে অাহাম্মকের মত ফাইল ঘেটে কিছু একটা গাড়ির অাশেপাশে খুঁজছেন! নীরা বিব্রত এবং বিরক্ত হয়ে এগিয়ে...
মা যেদিন রিমিকে পছন্দ করে অাসলেন, বললেন, -- হীরে কাটতে যেমন হীরে লাগে, রিমির রূপের সাথে তুলনা করবার জন্য সেরকম অারেকটা রিমিই লাগবে। অামার মা বরাবরই সব বাড়িয়ে বলেন। অামি ব্যাপারটা হালকাভাবে নিলাম।