MohsinHossainRasel

আমি এসেছিলাম তোমার উঠোনে এক জোড়া চোখ নিয়ে !
          	যে চোখে রাত নামেনা, ভোর হয়না-
          	অভিমানী বিকেলের মত যে চোখে শুধুই হতাশা।
          	
          	বড় বড় বৃত্তের বাইরে দূর্বার মত ঝাপসা পাপড়িতে,
          	একদিন তুমি ছুইয়ে দিলে আঙ্গুল,
          	আঙ্গুল চুইয়ে জল গড়ালো, শুরু হলো স্বপ্নের !
          	
          	গোলাপ মাখা আবীর নিয়ে ঠোঁট জোড়া কেঁপে উঠেছিল,
          	কেঁপে উঠেছিল কৈশোর পেরুনো যৌবন,
          	কেউ দেখেনি কেঁপে উঠেছিল আধোয়া শার্টের নীচে ছোট্ট হৃদয় !
          	
          	আমি এসেছিলাম তোমার উঠোনে এক জোড়া চোখ নিয়ে !
          	যে চোখে হেমন্ত আসেনা, শরতেও মেলেনা প্রান-
          	নির্জীব শীতের মত যে পুরোটা বছর চেয়ে থাকে অপলক।
          	
          	এ'চোখে তাকিয়ো না তুমি ষোড়শী !
          	পুড়ে খাক হবে তুমি -
          	তোমার সে হাতের ফের ছোয়া পাবো বলে, অপেক্ষাতে আমি।
          	
          	ষোড়শী ছোঁয়াও আঙ্গুল চোখে,
          	তোমায় দেখেই অন্ধ হবো শেষ প্রণয়ের সুখে !
          	
          	
          	 : চোখের অপেক্ষা শেষ প্রণয়ের !
          	২ নভেম্বর '১৫ মাঝরাত।।

MohsinHossainRasel

আমি এসেছিলাম তোমার উঠোনে এক জোড়া চোখ নিয়ে !
          যে চোখে রাত নামেনা, ভোর হয়না-
          অভিমানী বিকেলের মত যে চোখে শুধুই হতাশা।
          
          বড় বড় বৃত্তের বাইরে দূর্বার মত ঝাপসা পাপড়িতে,
          একদিন তুমি ছুইয়ে দিলে আঙ্গুল,
          আঙ্গুল চুইয়ে জল গড়ালো, শুরু হলো স্বপ্নের !
          
          গোলাপ মাখা আবীর নিয়ে ঠোঁট জোড়া কেঁপে উঠেছিল,
          কেঁপে উঠেছিল কৈশোর পেরুনো যৌবন,
          কেউ দেখেনি কেঁপে উঠেছিল আধোয়া শার্টের নীচে ছোট্ট হৃদয় !
          
          আমি এসেছিলাম তোমার উঠোনে এক জোড়া চোখ নিয়ে !
          যে চোখে হেমন্ত আসেনা, শরতেও মেলেনা প্রান-
          নির্জীব শীতের মত যে পুরোটা বছর চেয়ে থাকে অপলক।
          
          এ'চোখে তাকিয়ো না তুমি ষোড়শী !
          পুড়ে খাক হবে তুমি -
          তোমার সে হাতের ফের ছোয়া পাবো বলে, অপেক্ষাতে আমি।
          
          ষোড়শী ছোঁয়াও আঙ্গুল চোখে,
          তোমায় দেখেই অন্ধ হবো শেষ প্রণয়ের সুখে !
          
          
           : চোখের অপেক্ষা শেষ প্রণয়ের !
          ২ নভেম্বর '১৫ মাঝরাত।।

MohsinHossainRasel

খুব বেশি ভালো হতো : যদি পারতাম !
          গত সপ্তাহ'র কোন দিনের মত ভুলে যেতে, তোমাকে।।
          
          যদি পারতাম তবে ভুলেই যেতাম সকালের নাস্তা না করার মতন।
          কুঁচকে যাওয়া পাঞ্জাবীটা ইস্ত্রি করে নেবার মতন।
          কিংবা সপ্তাহ শেষে দাড়ি কামানোর মতন।
          
          ভুলে যেতাম বাজার লিস্টে এলাচ না কেনার মতন।
          খসখসে চুলে নিয়ম করে তেল দেবার মতন;
          কিংবা ৩ রাকআত বিতরের সেই দোয়া-কুনুতের মতন।
          
          যদি পারতাম : তবে ভুলেই যেতাম -
          
          ভুলে যেতাম পুরনো শৈশবের মতন।
          ত্রিকোনমিতির রসকষহীন সূত্রের মতন।
          অযথা বাবার হাতের চড়ের মতন;
          কিংবা প্রথম বির্যস্খলনের সুখের মতন।।
          
          ভুলে যেতাম রাতের গভীরে ফোনের ওপারে তোমার ভারী শ্বাস।
          চিঠির কোণে ভালবাসি শব্দটায় বিশ্রি কাটাকুটি;
          শার্টের কলার চেপে ধরে তোমার প্রথম চুমু-
          আর, ফিসফিসিয়ে কানের কাছে বলা ভালবাসি শব্দটা !
          
          যদি পারতাম : তবে ভুলেই যেতাম, তোমাকে !
          গত সপ্তাহ'র কোন দিনের মত।।
          
          
           : যদি পারতাম ভুলে যেতে : তোমাকে !
          ২'রা অক্টোবর, মাঝরাত।।

MohsinHossainRasel

একদিন আমি আকাশ হবো !
          করুনা ভরে তোর পানেতে ছিটিয়ে দেবো জল-
          সেদিন আমায় কতক ঘৃণা করবি আজি বল?
          
          একদিন আমি পাহাড় হবো !
          অহংকারে ফুসে রবো মাথা উচু করে-
          সেদিন 'ক্ষুদ্র' তুই লুটাবি আমার পায়ের তরে।
          
          একদিন আমি সাগর হবো !
          গর্জনে সব ভাসিয়ে নেবো 'তোর' মিথ্যে অহমিকা-
          বিশাল আমার শেষ খুঁজে তুই হারাবি যে দিশা।
          
          একদিন আমি নষ্ট হবো !
          আমার লেখায় আমার আঁকায় তুই হবি যে নগ্ন-
          সেদিন তোকে 'অজস্র' আঁচরে করবো আমি ভগ্ন।
          
          সেদিন আমি শুধু রবো না, আমার ভেতর আমি-
          এই আমাকে হারিয়ে দেখো, কাঁদবে শুধুই তুমি !!
          
           : একদিন আমি নষ্ট হবো
          ৫ এপ্রিল '১৫ - সন্ধ্যেবেলা।।

MohsinHossainRasel

তোমার বুকের যে পাশ'টায় আমার জন্য ভীষণ ব্যথা;
          মরে গেলেও সেথায় আমায় চুমু খাবার দলিল দিও!
          তোমার চোখের যে কোণ'টা আমার জন্য ভিজে আছে;
          সেথায় আমার আদরখানি যত্ন করে মাখিয়ে নিও!
          
          কথা দিও, কথা রেখো।।
          
          তোমার ঠোঁটের যে পাঁশটা ভুল কামড়ে রক্তাক্ত;
          সেথায় আমার আঙ্গুল খানি আলতো করে চুবিয়ে নিও!
          তোমার পায়ের যেথায় ঘুরে, একলা পায়েল হাহাকারে;
          সেথায় আমার রক্তজবার আল্পনাটা করিয়ে নিও!
          
          কথা দিও, কথা রেখো।।
          
          তোমার নাকের সেই ডগাতে, যেথায় জমে শুভ্র ঘাম;
          তার পাশটায় দেনায় কেনা নোলক খানি বসিয়ে নিও!
          তোমার কপালের সেই মাঝেতে, যেথায় লাগে সেজদা খানি;
          সেথায় বুকের শীতল-পাটি যত্ন করে বিছিয়ে নিও!
          
          কথা দিও, কথা রেখো।।
          
          তোমার বুকের যে পাশ'টায় আমার জন্য ভীষণ ব্যথা;
          সেথায় আমার চিরতরে বন্দী করে বেঁধে রেখো-
          
          ভালোবাসি, ভালোবেসো।।
          
           
          : কথা দিও, কথা রেখো
          চব্বিশ ফেব্রুয়ারি '১৫ - মাঝরাত্রি।

MohsinHossainRasel

আমার কবিতারা ভাড়া খাটলো-
          দেয়ালে, পোস্টারে, খবরের কাগজে, বালিকার নাক মোছা টিস্যুর কর্নারে।
          চিঠির শেষে লিখেছিলাম 'ভালবাসি' তা হয়ে গেলো সরকারী!
          
          সস্তায় বলি দিলাম প্রিয় নোট খাতাটা-
          আঁকা ছিল, ছোয়া ছিল, মরে যাওয়া পাপড়ি ছিল, একঝাক স্মৃতি ছিল লুকানো।
          বানের জলে ভেসে গেলো সতের বছরের আবেগ; আহা কৈশোর।
          
          কলঙ্ক লাগালে শরীরে-
          ছুঁই নি, ধরি নি, চোখ দিয়ে চেখেছি বলে বলে দিলে লম্পট।
          ইতিহাস লেখা হল; আমি দোষী, তুমি অন্যের ঘরে সুখী; আমি ভুক্তভোগি।
          
          
          ক্ষমা চাইলে-
          আমি মুচকি হেঁসেই বুঝিয়ে দিলাম নীরবতার ভাষা কতো শক্ত হয়!
          
          
          : ১৭ বছরের প্রেম, কবিতা, কলঙ্ক!
          ১৯ জানুয়ারি, ২০১৫।

MohsinHossainRasel

আমি যদি সূর্য বলি তুই বলিস চাঁদ, 
          আমার প্রিয় দিন, তো তোর কালো রাত!
          আমার আর তোর মাঝে আলো-ছায়ার ব্যবধান।।
          
          
          তোর প্রিয় হাসি আমার প্রিয় কান্না,
          তুই চাস ছেলে আর আমার চাই কন্যা!
          আমার আর তোর মাঝে চাওয়া পাওয়ার দেয়াল।।
          
          ভালোবাসি বসন্ত তোর প্রিয় শীত,
          আমি বলি লাল তো তুই বলিস নীল!
          আমার আর তোর মাঝে আবেগের নেই কোন মিল।।
          
          
          ভাললাগে আকাশ, তোর প্রিয় ঘাস;
          আমার প্রিয় দোয়েল তো তোর সাদা হাঁস!
          আমার আর তোর মাঝে আকাশ পাখির ব্যবধান।।
          
          
          তবু ভালোবাসি অন্ধ চোখে, আমি তার সে আমার; 
          ভালোবাসা নিয়ে চলছে এই আমাদের খুনসুটির সংসার।।
          
          
          : খুনসুটির সংসার
          ২রা ডিসেম্বর ২০১২।

MohsinHossainRasel

তোমার ওই সাদা চুল আর ফোকলা দাঁতের হাসি,
          ভালবাসি বলতে গেলে আইসা পরে কাঁশি!
          তুমি আমার সাদা ভাতে এক চিমটি নুন,
          যেমন লাগে পান খাইতে খর, সুপারি, চুন।
          
          এই বয়সেও তোমায় আমি তেমন ভালোবাসি,
          বাঘে যেমন ভালবাসে একলা পাওয়া খাসি!
          সব চেয়ে ভালো লাগে গাল যখন ফোলাও,
          এরপর মিষ্টি করে 'বল্টুরবাপ' কয়ে বুলাও।
          
          মাজার ব্যথা, বাঁতের ব্যথা, জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা?
          তারচেয়েও লাগে ব্যথা, কওনা যখন কথা!
          তুমি ছাড়া ঘুম আসেনা ওরে বুড়ি বেডি,
          চকির মইধ্যে সারারাত গড়াগড়ি করি।  
          
          তোমার আমার এই পিরিতি থাকবে জনম ভর,
          একলা কোথাও চলে গিয়ে কইরো নাতো পর!
          তুমি আমি রহিম-রূপবান এই ভুবনের তরে,
          সাক্ষী হয়ে থাকুম মোরা মরণেরই পরে।
          
          রম্য : যখন হবো 'বল্টুর' বাপ
          ২৪ ডিসেম্বর ২০১২।

MohsinHossainRasel

দুজন মিলে অবাধ্য হবো কোন একদিন,
          ভেঙ্গে দেবো সামাজিক সব প্রটোকল।
          নিঃশ্বাসে নির্গত হবে ভালবাসা নামের বিষাক্ত ক্লোরফোম
          যার তেজস্ক্রিয়তায় ঘুমাবে সারা পৃথিবী।
          
          দুজন মিলে অবাধ্য হবো কোন একদিন,
          তোমার ঐ দামি শরীরে এই ঘর্মাক্ত বাহু জড়াবে।
          ব্যস্ত কোন রাস্তার মাঝখানে চুমু খাবো দুজন
          হাঁ করে দেখবে ট্রাফিক; সিগন্যালে জ্বলবে লাল বাতি।
          
          দুজন মিলে অবাধ্য হবো কোন একদিন,
          পেন্সিলের সীস ভেঙ্গে আঁকবো তোমার নিষিদ্ধ স্ক্রেচ।
          তোমার মৌনতা সায় দেবে আমায়
          বিশ্ব দেখবে নগ্ন আরেক ক্লিওপেট্রাকে।
          
          দুজন মিলে অবাধ্য হবো কোন একদিন,
          মিছিলে, স্লোগানে ধ্বনিত হবে আমাদের চিৎকার।
          নির্মম গুলি চলবে আমাদের বুকে
          শহীদ কোন যুগলের নাম লেখা রবে ইতিহাসে।
          
          
          চল অবাধ্য হই; হবে?
          ২ রা সেপ্টেম্বর ২০১৩।

MohsinHossainRasel

আমি খুব করে চেয়েছিলাম হিমুর রুপার মত কেউ হোক।
          সুখে, অসুখে, অভাবে, ঐশ্বর্যে কেউ পাঁশে থাকুক;
          অষ্টপ্রহর লেগে থাকুক ভালবাসার অসুখ।
          
          সত্যি ই চেয়েছিলাম রুপার মত কেউ আসুক।
          ডানা কাটা পরীর মত সে হোক;
          'সে আমার' শুনে; হাজার যুবকের বুক জ্বলুক।
          
          আমি যে রুপার মত কাউকে চাই।
          যে পাগলামি গুলো নিজের করে নিবে,
          ছেলেমানুষি গুলো শুধরে দেবে।
          কান্না গুলো মুছিয়ে দিবে পরম মমতায়;
          তার জন্য মরতে ইচ্ছে হবে নিখাদ ভালবাসায়।
          
          শুধু রুপার মত কাউকে চাই।
          ছেড়ে দিবো জুয়া, নেশা; পেশা করে নিবো ভালবাসা।
          যদি সে রুপাকে পাই।
          
          আমি সত্যি ই চেয়েছিলাম হিমুর রুপার মত কেউ হোক;
          শুধু আমার হোক।
          রুপা বিনা জীবন আমার আজন্ম এক শোক।।
          
           
          "খুব করে চেয়েছিলাম হিমুর রুপার মত কেউ হোক"
          ২২ 'শে জুন ২০১৪ ইং।।

MohsinHossainRasel

জমজমাট নগরীর চোখ ধাঁধালো আলোতে নয়,
          তার সাথে প্রথম দেখা কোন পূর্ণিমা রাতে।
          স্বপ্নের বালুকা বালিতে নয়,
          যেখানে মানুষের স্বপ্ন বিক্রি হয় সেই পতিতালয়ে।
          
          ভালবাসার অদ্ভুত আবেগ নিয়ে নয়,
          নিকৃষ্ট হায়েনার মতই ঝাঁপিয়ে পরেছিলাম তার দেহে।
          তার দিকে বাড়িয়ে দেইনি একগুচ্ছ লাল গোলাপ,
          বরং ছুড়ে দিয়েছিলাম শ’ খানেক টাকার দুটি নোট।
          
          উন্মাদ আমার এই কখনও মনেই হয়নি তারও আছে প্রান,
          ভেবেছি গড়িয়ে পরা ও চোখের জলতো পানির সমান।
          কত সিগারেটের আগুনে পুড়িয়েছি ওদের দেহ,
          তবুও থামেনি পিশাচের রুপ, একটু ও কমেনি মোহ।
          
          আজ জীবনের শেষ লগ্নে খুলে হিসেবের খাতা,
          পতিতালয়ের বইয়ের যেন আমিও একটি পাতা।
          ওরা তো পেটের দায়ে দেহ বিকিয়ে হয়েছে পতিতা,
          আর আমি মানুষ থেকে পশু সেজেছিলাম খুইয়ে মানবতা।
          
          অন্ধকারের কাস্টমার
          রাত ১২টা, ৬ জানুয়ারি, '১৩ ইং।