তোমার রঙিন পৃথিবীতে তুমি রঙ ছড়াও,
রঙ বেরঙের বেলুন উড়াও।
একপশলা বৃষ্টি শেষে,
রংধনু দেখ।
সেখানে থাকে কতো স্বপ্ন কতো চাওয়া পাওয়া।
আবার বসন্তে কৃষ্ণচূড়া আগুন ঝড়িয়ে আহবান করে।
প্রেয়সীরা মাথায় ফুলের বেড় পরে।
কোকিলেরা আনন্দের কুহু ডাকে বসন্তের বিকেলে।
কতো কবি কবিতা লিখে।
তুমি কফির মগে ধোয়া উড়াও বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যা কিংবা শীতের সকালে।
তুমি সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হলে জ্যোৎস্না বিলাসে মত্ত হতেই পারো।
শ্রাবণের বাধ ভাঙা বৃষ্টি তোমার মনেও রঙ ছড়াবে মুষলধারে।
শ্রাবণ সন্ধ্যায় কবিতার বই পড়ো তখন তোমার মনে কতো স্মৃতিরা ভাসে।
এ্যাকুরিয়ামে করতে পারো শখের মাছ পালন।
পোষা কুকুরটার জন্য পনের হাজার টাকার কর্মচারীও রাখতে পার।
শখের বাগানের জন্য মালি সে তো আছেই।
হ্যা, বিলাসের স্রোতে তুমি ভাসতেই পারো।
তোমার চারদিকে কতো আনন্দের ধ্বনি।
তোমার পৃথিবী কতো রঙিন, তাই না?
কিন্তু জানো, এক পৃথিবী আছে।
তুমি যখন আধুনিকতা আর বিলাসিতার বাহানায় খাবার ফেলে দাও তখন এখানে তেমার মতো কেউ অন্বেষণ করে একটুকরো রুটির।
এখানে রোজ ঘুম ভাঙে বুলেটের শব্দে।
ঘুম ঘুম সকালে চা কিংবা কফি নয়,
পাবে কেবল বুলেট আর লাশের গন্ধ।
এ যে রাইফেল, বেয়ানট আর গ্রেনেডের প্রান্তর।
শুকুন আর শত্রুদের উল্লাস।
কিছু দৃশ্য দেখে যায়,
রাস্তার নেড়ি কুকুর।
আর্তনাদ করে উঠে অজানা বিষাদে।
যখন ড্রোন আগাত হানে,
যখন তছনছ হয়ে যায় সব,
তখন সদ্য এতিম হওয়া শিশুর কান্নায় আকাশ বাতাস ক্রমশো ভারী হয়ে উঠে।
আজ বসন্ত এসেছে,
তোমার আমার আঙিনায়।
প্রকৃতি সেজেছে রঙে রঙিন।
একি!! তোমার চোখ ভিজেছে অশ্রু কণায়?
ভেবো না,
চল করি প্রকৃতি বিলাস।
স্বার্থকতা ক্যানো খুজতে হবে,
মাথায় ফুলের বেড় পরা রূপসী নারীর মাঝে?
এসো প্রকৃতির মাঝে নিজেদের মিলিয়ে দেই।
দেখি কটা ফুল চিনি আজ।
কবিতা: "আমার বসন্ত"
লেখা:তামজিদ