দ্বিতীয় পর্ব

248 3 0
                                    

মর্ত্যলোক
পর্ব-০২

রিশাদ গিয়েছে অনেক্ক্ষণ হয়ে গেলো। কোনো সাড়া শব্দ পাচ্ছি না। আমাকেও ডাকছে না। জোরে জোরে ডাকটা দিল যার জন্যে তাকেই এখন ডাকছে না এইটা ভেবে আমার মন ছটফট করতে লাগল। ছটফট করছে এই জন্য যে কেন রিশাদকে ডেকেছে তা দেখার জন্য। আমি আর দেরি করলাম না, চিঠিগুলো আমার হাতে করে নিয়ে আম্মার রুমের দিকে অগ্রসর হলাম। প্রতি কদমে কদমে আমার ভয় যেন বেড়েই চলেছে। এক তো আমি পুরোনো শাড়ি পরে অপরাধ করে ফেলেছি; তার উপর আমি না বলে চিঠিগুলো নিয়ে এসে পড়েছি। অন্যায় এর উপর যেন আরও একটা অন্যায় সিল মারা হয়েছে। আমি এর পরিণতির কথা ভেবেই ভয়ে মরে যাচ্ছি।

রুমের কাছে গিয়ে শুনতে পেলাম মা বলছেন, "আমার মাথাটা খুব গরম হয়ে আছে।"

আমার খুব ভয় করছে। মায়ের মাথা কেন গরম হয়ে আছে এখন সেটা আমি ভালো করে বুঝতে পারছি। তাও আমাকে যেতেই হবে এই চিঠিগুলো ফেরত দিয়ে আসতে। নাহয় বলবে এতকিছু বোঝার পরও কেন বেহায়ার মত নিজের কাছে কাগজগুলো রেখে দিয়েছি।

আমি মাথা নিচু করে রুমের ভিতর ঢুকলাম। উপরে তাকানোর পর আমার মন থেকে যেন নিমিষেই সব ভয় উধাও হয়ে গেল!

রিশাদ আম্মার মাথায় তেল দিয়ে দিচ্ছেন। মা মনে হয় এই কারণেই ওকে ডেকেছে। রিশাদ প্রায়ই আম্মার মাথায় তেল দিয়ে দেয় আব্বা মারা যাবার পর থেকে। এর আগে আব্বা প্রায়ই আম্মাকে ভালোবেসে তেল দিয়ে দিতেন মাথায়। এই ধারাটা এখনো আমাদের বাসায় চলে। রিশাদ আমার মাথায়ও প্রতি সপ্তাহের শুক্রবারে তেল দিয়ে দেয়। আমার চুলগুলো নাকি তার খুব পছন্দ সেটা সে প্রেমের শুরু থেকেই বলে আসছে। বারবার দূর থেকে আমাকে মিস করলেই একটা জিনিস লিখত চিঠিতে,"তোমার চুলগুলো ধরতে খুব ইচ্ছা করছে! "

আমি তাড়াতাড়ি চিঠিগুলো আমার মধ্যেই লুকিয়ে ফেললাম।

"কি? স্বামীকে ছাড়া এক মিনিটও থাকা যায়না?"

আম্মার কথায় আমি একটু লজ্জা ও দুঃখ পেলাম। কারণ আম্মা আমাকে কথাটা তাচ্ছিল্যের সঙ্গে বলেছেন।

"না আম্মা। আমি ভেবেছি আপনার বোধহয় কোনো সমস্যা হয়েছে। আপনার ডাক শুনে তাই আমিও আসলাম। "

শাড়িটা খুলে ফেলো রিমা!Tahanan ng mga kuwento. Tumuklas ngayon