Part-6

150 10 4
                                    

পরের দিন সকাল সকাল রুশদিয়া ঘুম থেকে উঠে রান্না করে ভি এর জন্য কারণ গতকাল ভি রান্না করছিল।ইউটিউব দেখে রান্না টা করে।

ভি রান্নাঘুরে খুটখাট শব্দ দেখে বাইরে এসে দেখে অনেক রান্না করছে

ভিঃকে রান্না করলো এগুলা?

রুশদিয়াঃআমি(হাসি মুখ নিয়ে) খেয়ে দেখেন

ভি চামচ দিয়ে টেস্ট করে দেখে।মুখের এক্সপ্রেসন দেখে বোঝা যাচ্ছিল না খারাপ না ভালো হইছে।

রুশদিয়াঃকেমন হইছে

ভিঃ ভালো হইছে।আমি অবাক।শিউর তুমি রান্না করছো?

রুশদিয়াঃ🙄🙄🙄

ভিঃআচ্ছা মজা করছিলাম।তুমিও বসো খেয়ে নাও।কিছুক্ষণ পর,ডাক্তার আসবে চেক করতে তোমাকে

রুশদিয়াঃআমি এখন সুস্থ

দুপুরের দিকে ভি নিজের রুমে ছিল। কে জেন কলিং বেল দিল।রুশদিয়া গেট খুলে দেখে twice এর মিনা।ওই তো দেখে অবাক।

মিনাঃগেট টা লাগাও আর ব্যাগ টা ভেতরে রাখো।ভি কোথায়?

রুশদিয়া বুঝতে পারে মিনা ওকে মেইড ভাবছে।

রুশদিয়াঃ ম্যাম স্যার নিজের রুমে

মিনাঃঅহ এক কাপ কফি দিও তাড়াতাড়ি

রুশদিয়াঃ জি ম্যাম আনছি।

মিনা কিছু না মনে করেই ভি এর রুমে ঢুকে গেল আর রুশদিয়া এদিকে কফি বানাচ্ছে।ভি কিছুক্ষণ পর ই রুম থেকে বের হয়ে এসে দেখে রুশদিয়া কফি রেডি করছে।ভি কিছু বলার আগেই মিনা এসে ভি কে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে।

রুশদিয়ার খুব ই আনকম্ফোরটেবল লাগছিল।সে কফি রেখে নিজের রুমে চলে আসে।

ভি সুজোগ বুঝে কিছুক্ষণ পরে রুশদিয়ার রুমে আসে।

ভিঃআমি জানতাম না ও আসবে।আমি ওকে বলিনি আমি এখানে আছি।

রুশদিয়াঃসমস্যা নাই তো স্যার

ভিঃ উফ স্যার বলোনা তো।

রুশদিয়াঃমিনা ম্যাম আমাকে মেইড ভাবছে। উনার সামনে স্যার বলাই লাগবে

ভিঃওই ভাবলেই হলো নাকি? আমি এখুনি ওকে জানাচ্ছি তুমি মেইড না

ভি বাইরে আসতে লাগে আর রুশদিয়া ওর হাত চেপে ধরে

রুশদিয়াঃ প্লিজ কিছু বলেন না।আর কি বা বলবেন আপনি? কি পরিচয় দিবেন আমার।বাদ দেন

ভি এর খুব মেজাজ খারাপ হয়।ওই নিচে এসে মিনাকে ডাকে

ভিঃ মিনা ব্যাগ গোছাও।আমরা আজ ই Seoul ফেরত যাবো

মিনাঃকিন্তু কেন?কিছুটা সময় একসাথে কাটাই প্লিজ।

ভিঃ না আমার কাজ আছে।

ভি কে এরকম রাগতে দেখে রুশদিয়ার টেনশন হয়।

ওরা সবাই ব্যাগ গুছাই রেডি

মিনাঃতুমিতো গাড়ি চালাতে পারো তাইনা?

রুশদিয়াঃজি ম্যাম

ভিঃআমি চালাবো গাড়ি

মিনা ভি কে কানে কানে বলেঃআরে ওই কি তাহলে আমার সাথে পেছনে বসবে নাকি?আজব?

ভিঃতোমার বেশি সমস্যা হলে ওই সামনে আমার পাশে বসবে

মিনাঃ না থাক।ওই পেছনে বসুক।আমি তোমার পাশে বসবো।

ভি গাড়ি স্টার্ট দেয়।পেছনে রুশদিয়ার দিক বারবার তাকাচ্ছিল ভি।

হুট করে মিনা চিল্লাই ওঠে

মিনাঃ ভি গাড়ি থামাও।দেখ লেক টা কতো সুন্দর। চলো কয়েকটা ছবি তুলি

ভি মানা করতে পারলো না

ছবি তোলার দায়িত্ব পড়লো রুশদিয়ার উপর। অনেক গুলা পিক তুলে দিলো।

ওরা Seoul পৌছে গেল। ভি মিনাকে নামাই দিয়ে রুশদিয়ার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।

রুশদিয়ার বাড়ির কাছে গাড়ি থামাই ভি।রুশদিয়া বের হয়।ভি ও নামে

রুশদিয়াঃস্যার আমার এতো যত্ন নাওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ

ভিঃআচ্ছা ভালো থেকো।আবার দেখা হবে

রুশদিয়াঃস্যার এটাই আমাদের শেষ দেখা। এরপর আপনি আপনার মতো আমি আমার মতো

কথাটা বলতে যেমন রুশদিয়ার কষ্ট হলো তেমনি কথাটা শুনতে ভি এর ও কষ্ট হলো।ভি গাড়িতে উঠে বসলো।।

রুশদিয়াঃ আর হ্যাঁ স্যার আপনাকে আর মিনা ম্যাম কে একসাথে অনেক সুন্দর মানায়

ভি আর কথা না বলে সোজা গাড়ি নিয়ে চলে আসে

রুশদিয়ার খুব একা একা লাগে

continuing......

My Love💜Where stories live. Discover now