অবতরণিকা

10 0 0
                                    

অবশেষে তিনি মুক্তি দিলেন। এইবার বুঝেছি কেন পাহাড় থেকে নামবো নামবো করেও আমার নামা হচ্ছিল না। আমার চেনা প্রতিবেশীর এই চাঁদবদন প্রায় দিন দশেক ধরে মেঘে ঢেকে মেকআপ চলছিল। শেষমেশ যখন খুললো, নতুন বরফের গয়না পরে। এই মাত্র কয়েক দিন আগে যেসব পাথুরে চূড়ায় এক্সপিডিশনে ছিলাম, এই কয় দিনের খারাপ আবহাওয়ায় তারা সব তুষারধবল হয়ে গেছে। আর এই মেঘ ঢাকা মুখ দেখে বেরোনো, সিম্পলি আমার নিয়তিতে ছিল না। যাই হোক, তিনি চেহারা খুলেছেন এতদিনে। আমার এ বছরের মতো বিদায় নেওয়ার আগে শেষ মোলাকাত হয়ে গেছে। এবার গড়ানোর পালা। কোথায় কোন দিকে যাবো হালকা ঝাপসা একটা ইচ্ছা বা ধারণা আছে, তবে প্লান বা পরিকল্পনা বলতে যা বোঝায় তা নেই। শুধু এ টুকুই জানি যে, চড়াই উৎরাই ছেড়ে একটু সমতলে সাইকেল চালাবো এবার। দেশের যে দিক গুলোতে এখনো আমার সাইকেলের টায়ারের ছাপ পড়েনি সে সব দিকে হয়তো একটু ঘুরপাক খাবো উদ্দেশ্যহীন ভাবে। হিমালয়ের যাযাবর গাদ্দি সম্রাট ছাড়াও, মরুভূমি, সমুদ্রপারের যেসব যাযাবর পৃথিবীচারী জনগোষ্ঠীর সাথে আমার ঘর করা হয়নি, তাদের সাথে হয়তো জীবন ভাগাভাগি করে বাঁচতে বসবো আগামী কয়েক সপ্তাহ বা মাস। কোনো কিছুরই ঠিক নেই।
হিমালয়ের মুখ দেখবো আবার শীতকাল পেরিয়ে যাওয়ার পর, বরফ আসা শুরু হয়ে গেছে উচ্চ হিমালয়ে।

ভারত-পাক মরু সীমা অভিযানWhere stories live. Discover now