খুশকি -৩

5 1 1
                                    

সামনেই 4th semester মাথায় চিন্তায় ঘুম আসছে না রক্তিমের। আবার এর মধ্যেও আরেকটা চিন্তা গ্রাস করলো ওকে। সৌমীর নাকি মাথায় ঘা হয়েছে আর সেটা এমন বাড়াবাড়ি পর্যায়ে গেছে যে কাল রাতে ওকে হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। সবার থেকে রক্তিমের কষ্ট টা একটু বেশি হচ্ছে কারণ সৌমী যেমন ওর বন্ধু তেমন মেয়েটাকে ও মনে মনে খুব ভালোবাসে। কেনো রক্তিম নিজেও জানে না তবে মেয়েটাকে দেখলে ওর খুব ভালো লাগে। মেয়েটার মুখটা দেখলেই যেনো মনের দুশ্চিন্তা গুলো কোথায় উড়ে সমুদ্র পড়ে চলে যায়। একথা সে হয়তো কখনো সৌমীকে বলতেও পারবে না। তবে ভালোবাসা থেকে যাবে সারা জীবন। ভালোবাসতে গেলে যে তাকে তার সাথেই জীবন কাটাতে হবে তার মানে নেই তবে সে তো তাকে বন্ধুর মত করে ভালোবেসে সবসময় যত্ন তো নিতে পারবে। রক্তিমের মনটা খুব ছটপট করছে পড়াতেও মন বসলো না। সামনে পরীক্ষা তাই পড়াশোনা করতেই হবে তাই সে পড়া শেষ করবে ভাবলো। রাতে পড়াশোনা শেষ করে রক্তিম সৌমিকে ফোন করলো রক্তিম।
' কিরে কেমন আছিস এখন।'
ফোনের ওপার থেকে সৌমী বললো,' ভালই আছি, একটু মাথা যন্ত্রণা আছে তবে ডাক্তার বলেছে অ্যান্টিবায়োটিক খেলে আর ভালো করে পরিষ্কার করলে জায়গা গুলো ঠিক হয়ে যাবে।'
' আর কিছু বলেনি?'
' না শুধু দুই দিন মত বললো ভর্তি থাকতে হবে, তারপর ছুটি।'
' ও…..'
এরপর গল্প চললো আরো অনেকক্ষন। বন্ধুর সাথে গল্প করলে সময় যে কিভাবে কেটে যায় বোঝা যায়না। ওদের ও তাই হলো, গল্প করে রক্তিম রাতের খাওয়া সেরে নিল। আর চিন্তার কিছু নেই ও যতটা ভেবেছিল ততটা নয়। এমনি মাথায় হয়তো ঘা হয়ে ইনফেকশন হয়ে গেছে। ভগবান কে রাতে রক্তিম মনে মনে বললো যাতে মেয়েটা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে। সৌমীর জন্য ভগবানের কাছে প্রার্থনা আর ওর শুভ কামনা করতে করতে চোখ টা তার ভারী হয়ে এলো।
সৌমী রক্তিমের গালে একটা চুমু খেয়ে বললো,' কিরে একটাতেই হবে।'
এই বলে মুচকি হাসতে লাগলো সৌমী। রক্তিম ভাবেনি এমন কোনোদিন তার জীবনে আসবে। সৌমীকে পিছন ধরে জড়িয়ে রয়েছে রক্তিম।
' একটা কেনো এখন তো হাজার হাজার নেব।'
গল্প করতে থাকে তারা দুজন একসাথে। দুষ্টু মিষ্টি কত কথা তারা বলে তারা। একসময় সৌমীর সেই নরম মেঘের মতো ঠোঁট দুটি তে একটা স্নেহের চুম্বন দিল। সৌমী ও রক্তিমের গাল দুটো ধরতে যাবে, আর তখনই মা ঘুম থেকে ডেকে দিল।
ঘুম থেকে উঠে যেনো বুঝতে পারছিল না রক্তিম যেটা সে দেখলো ওটা সত্যি নাকি সপ্ন। একটু পর বুঝতে পারলো যে সপ্নই ছিল। রক্তিম একটু হাসলো,নিয়ে নিজের মনেই আর বিড়বিড় করে বললো সত্যি যদি এমন হয় তবে মন্দ হবে না। রক্তিমকে খাটে বসে থাকেতে দেখে মা বললো,' করে পড়াতে যাবিনা নাকি বসে থাকলে তো দেরি হবে,আর দেরি হলে তো কলেজ যেতে দেরি হবে নিয়ে আমার উপর চিল্লাবি।'
রক্তিমের আজ আর মায়ের সাথে ঝগড়া করতে ইচ্ছে হলো না। তাই কথা না বাড়িয়ে সে বললো,' হ্যাঁ এই যাচ্ছি।'
মুখ ধুয়ে চা খেয়ে পড়াতে চলে গেলো সে।
বাড়িতে এসে যখন রেডী হলো কলেজে যাওয়ার জন্য তখন তার মোবাইলে একটা ফোন এলো আর ওপার থেকে দীপ বললো,' রক্তিম…….'

খুশকি Where stories live. Discover now