দিন যায় কথা থাকে

166 11 9
                                    

দিন যায় কথা থাকে
শুবির নন্দি যখন এটা বলেছিলেন তখন এখানে তিনি প্রমিজের কথা বুঝিয়েছিলেন।

হয়ত এখানে কথা দ্বারা স্মৃতি বুঝালে খুব একটা মন্দ হতো না।

আমাদের গল্পের নায়ক কিম তেইহিয়াং। তার ছোট ভাই সুবিন। আর গল্পের নায়িকা জাংকুক যার জমজ বোন ইউনজুন। জাংকুক আর তেইহিয়াং এর বাবা সুবিনের সাথে জাংকুক আর ইউনজুনের সাথে তেই এর বিয়ে ঠিক করে। ।

একদিন তারা ৪ জন মিলে বেড়াতে যায় এবং সেখানে সুবিন আর ইউনজুনকে লুকিয়ে দেখা করতে তারা ধরে ফেলে। এরফলে তেই আর জাংকুক তাদের ভালোবাসার কথা জানতে পারে। আর নিজের ভাই বোনের ভালোবাসা রক্ষা করতে তারা বাসায় বলে যে তারা একে অপরকে ভালোবাসে ও বিয়ে করতে চায়।

এরই জন্য শেষ মেশ সুবিন আর ইউনজুন এবং তেইহিয়াং আর জাংকুকের বিয়ে হয়।

তারা ২ জন ভেবেছিল হয়ত বিয়ের পরে সব ঠিক হয়ে যাবে। হয়ত জাংকুক আর তেইহিয়াং একে অপরকে ভালবাসতে শুরু করবে। কিন্তু বিয়ের ২ বছর পরেও যখন তাদের সম্পর্কের কোনো উন্নতি হোলো না তখন তারা আলাদা হয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নিল।

কিন্তু তেইহিয়াং তার স্ত্রীর মুখে এমন কথা শুনে কষ্ট পেল। সে জানালো তাদের শেষ চেষ্টা করা উচিত এবং হানিমুনে যাবার পরিকল্পনা করল। এর ফলেই আজ তারা এখন বসে আছে দেইগুর পুরানা রাজ প্রাসাদে।

জাংকুক ভাবতে থাকে, পৃথীবিতে এত জায়গা থাকতে তার স্বামী কেন তাকে এই পুরানা রাজপ্রাসাদে আনল। আবার আসা থেকে শুরু করে , কেমন কেমন করছে জাংকুকের মনটা। এর মধ্যে এখানের যে চাকর সেও কেমন জানি। চোখের উপর স্তরে স্তরে চামড়া। দেখলে মনে হয় যেন রক্ত চোষা জোক। কিন্তু সেই চাকর কিন্তু জাংকুককে দেখে অনেক খুশি হয়েছে। ভাবটা এমন যেন অনেক পুরোনো প্রিয় মালকিনকে খুজে পেয়েছে। সেই চাকরই জানিয়েছে তারাই বংশানুক্রমে নাকি এই বাড়ি গত ৩০০ বছর ধরে দেখেশুনা করছে। এর মধ্যে আরো অবাক করা বিষয় এই যে, এই গ্রামের লোক গুলো তাকে এবং তেইহিয়াং এর সাথে এমন ব্যাবহার করছে , যেন তাদেরকে সবাই চেনে।

বাংলা তেইকুকWhere stories live. Discover now