বাংলা তেইকুক

শহরের বাবু (অন্য কাহিনি)

তেইহিয়াং শহরের ছেলে। এবারের ছুটিতে সে প্রথম বারের মতোন গ্রামে এসেছে। যখন সে রওনা দিয়েছে তখন সে মনে মনে অনেক কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিল। গ্রামে এসে করেছেও অনেক কিছু। কিন্তু একটা জিনিস যেটা সে একদমই চিন্তা করেনি। কিন্তু মনের অগোচরে হয়ে গেছে। আর তা হোলো তার প্রতিবেশি জেওন জাংকুকের প্রেমে পড়া। 

প্রায় ১৫/২০ বছর যাবত তেইহিয়াং দের বাড়ি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। তেইহিয়াং যখন এসে উঠে তখন এখানে কোনো মানুষের প্রবেশ করার মত অবস্থা ছিলনা। একদম সেতসেতে অবস্থা। তখন প্রতিবেশীই তাদের মেয়ে (এখন কেও গালি দিওনা। ভাল না লাগলে পইড়োনা। a humble request) পাঠিয়ে দিয়েছে। জাংকুক সকাল থেকে আস্তে আস্তে ঘরের এক একটা কাজ শেষ করেছে। প্রথমে এসে একটা ঘরের বিছানা পরিষ্কার করেছে। পরে রান্না চাপিয়েছে। এরপরে উঠান পরিষ্কার করেছে। কিন্তু এত কিছুর মাঝে সে যেটা খেয়াল করেনি সেটা হোলো এখন এই বাড়িতে অবস্থানরত একমাত্র পুরুষ তার দিকে এক নাগাড়ে তাকিয়ে আছে। 

১ সপ্তাহ কেটে যায় এর মাঝে তেইহিয়াং এর ফেরত যাবার সময় হয়ে আসে। না তেইহিয়াং এর ফেরত আসতে মন চাচ্ছিল না জাংকুক তাকে ফেরত যেতে দিতে চাচ্ছিল। কিন্তু এটাই বাস্তবতা। যাই হোক আসবার তেইহিয়াং সকলের চক্ষুর অগোচরে ৩ টা কাজ করে। 

১) জাংকুকের আচলে বাড়ির চাবি বেধে দেয় 
২) তার কনিষ্ঠ আঙ্গুলের আংটি খুলে জাংকুকের হাতে পড়ীয়ে দেয়। যেহেতু আংটিটা অনেক বড় তাই সেটি জাংকুক তার মধ্যমা আঙ্গুলে পড়ে (আমার আব্বার কনিষ্ঠ আঙ্গুল আমার আম্মার মধ্যমা আঙ্গুল থেকেও বড় এজন্য এভাবে লিখলাম কেও আবার মাইন্ড কইর না) 
৩) জাংকুককে জড়ীয়ে ধরে তার ঠোটে আলত একটা চুমু দেয় সাথে সাথে কানে ফিসফিস করে বলে দেয় যে এই বাড়িটা তারই । এই বাড়ির কর্তী সেই ই। সে যেন যত্ন করে রাখে তার বাড়ির। 

শুনে প্রথমে কিছু  পরিষ্কার বোঝেনা জাংকুক। কিন্তু তেইহিয়াং চলে যাবার ২/৩ দিন বাদে সব কিছু তার কাছে আরো পরিষ্কার হতে শুরু করে। সে একটু পরপর নিজের ঠোটে হাত দেয় আর একটু পর পর লজ্জা  পায়। মাঝে মাঝে সময় করে সে তেইহিয়াং এর বাড়িতে যায় সেখানে গিয়ে কোনো কিছু ময়লা থাকলে পরিষ্কার করে। এরই মাঝে সে  সেখানে তেইহিয়াং এর একটা জামা খুজে পায়। সেটা পেয়ে তো সে বেজায় খুশি। সেটাকে জরিয়ে ধরে তার সুবাস নেইয় সে। সাথে সাথে সেদিনের কথা মনে পড়ে তার যেদিন তেইহিয়াং ওকে জড়িয়ে ধরে চুমু খেয়েছিল।