-'কি হলো? মুখ এমন গোমরা করে রেখেছ কেন?'
মহিমা বেগম দুই হাতে বাজারের ব্যাগ নিয়ে ঘরে ঢুকে ধপাস করে সোফায় বসে পড়লেন।
রহমত সাহেব খবরের কাগজে মুখ গুজে ছিলেন। কিন্তু একটু উঁকি দিয়ে তার সুন্দরী স্ত্রীর দিকে তাকিয়ে দেখলেন মুখটা কালো করে বসে আছ।
-'কি আর হবে? তোমার ছেলের জ্বালায় আর বাঁচলাম কই।'
-'কি বলো? রাফিন আবার কি করেছে?'
-'কিছু না করেও অনেক কিছু করে।'
মহিমার মুখে স্পষ্ট বিরক্তির মনোভাব।-'আরে বাবা, কি হয়েছে বলবে তো!'
-'তোমার সুপার হ্যান্ডসাম ছেলের জন্য কত মেয়েরা আমার পিছনে ঘুরে তুমি জানো?'
-'হ্যান্ডসাম তো তোমার ছেলে, তোমার পিছনে ঘুরবে কেন?'
-'আর কেন? আমাদের পুত্রবধু হওয়ার জন্য। এখন তো দেখছি তোমার ছেলেকে বোরখা পড়াতে হবে।'-'আহা! বোরখার দরকার কি? তোমার ছেলেকে তুমি বিশ্বাস করো না? আমারও ইচ্ছা, আর সেও বলেছে সে প্রেম করবেনা। তাহলে এত টেনশন কিছু নেই।'
-'তুমি আছো তোমার এরেঞ্জ ম্যারেজ নিয়ে। ভুলে যেয়ো না আমরা প্রেম করে বিয়ে করেছি।'
একটু গলা খাঁকারি দিয়ে বিড়বিড় করে বলল রহমত সাহেব,
-'আমিও তো চেয়েছিলাম এরেঞ্জ ম্যারেজ করতে।'
কড়া চোখে উনার দিকে তাকালো মহিমা,-'কি বললা?'
-'ইয়ে মানে, বললাম যে তোমার প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছিলাম বলে এরেঞ্জ ম্যারেজ করিনি।'
ভুরু কুচকে অন্য দিকে চেয়ে বসে থাকলেন মহিমা।
-'আচ্ছা এবার কি হয়েছে সেটা বলবে তো।'
-'আর কি? বাজারে গেলাম, এক মেয়ে এসে বলল আমি কেমন আছি...'
শুরু হলো মহিমার বর্ণনা.....
--'আরে, আন্টি আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন?'
--'কে তুমি, মা? চিনলাম না তো।'
--'আরে আন্টি আমি ওইযে আসগর আলীর মেয়ে। ভুলে গেছেন? ওই যে স্কুল কমিটির একজন সদস্য।'
YOU ARE READING
মায়াবী চক্ষুজোড়া
Romanceবাবা মায়ের একান্ত অনুগত হ্যান্দসাম ছেলে, যার প্রেমে সবাই পড়ে যায় কিন্তু সে পড়েনা। সেও একদিন একজনের দুচোখ দেখে ডুবে যায়।