অন্ধ ছেলেটি ও কুৎসিত মেয়েটি

1 0 0
                                    

“আমি জানিনা, আমি জানিনা, আমি জানিনা মিনি ছাড়া আমার আর কোন বন্ধু নেই মিনি কেন চলে যাচ্ছে ?এবার আমি কার সাথে খেলবো?”
এই বলতে বলতে কাঁদতে কাঁদতে রেবা ঘর থেকে বেরিয়ে এলো। রেবার মা বলল -:“ ওর বাবার বদলি হয়ে গেছে ওই জন্যই চলে যাচ্ছে। আর কান্নার কিছু নেই ওই বাড়িতে আবার যে থাকতে আসবে তার সাথে তুই বন্ধু করে নিবি” রেবা চুপ করে গেল আর কিছুক্ষণ ভাবলো। তারপর বলল
“ আমার সাথে কে বন্ধু করবে আমাকে দেখতে এমন কেউ আমার সাথে খেলতেও চায় না বন্ধু করতে চাই না। একমাত্র মিনিই ছিল যে আমার সাথে খেলতো আর বন্ধু করেছে”
রেবা একজন ১৪ বছর বয়সী মেয়ে আজ পর্যন্ত কেউ ওর চেহারা দেখেনি কারণ ও যখনই বাইরে বেরোয় মুখে একটা কালো মাস্ক আর মোটা ফ্রেমের বড় চশমা পড়ে তবে বের হয়। সব সময় হাত পা ঢাকা জামা পরে ,তা যতই ঠান্ডা হোক কি গরম এজন্যই সবাই ওকে অদ্ভুত ভাবে দেখে এবং ওর সাথে কেউ কথা বলতে চায় না ও বন্ধু করতে চাই না। একমাত্র ওর প্রতিবেশী মিনি ছিল যে ওর সাথে কথা বলতো এবং বন্ধু ছিল ওর একমাত্র। কিন্তু এখন মিনির বাবার বদলি হওয়ার ফলে বাবা বাড়ি ছেড়ে অন্য জায়গায় শিফট হয়ে যাচ্ছে তাই এখন আর কোন বন্ধু নেই যার সাথেও খেলবে বা কথা বলবে। মিনি চলে যাওয়ার পরে দু সপ্তাহ কেটে গেল ওর  রেবার সাথে খেলার কেউ নেই যার সাথেও কথা বলবে হাসি ঠাট্টা করবে। রেবা রোজ মিনি দের বাড়ি যাই এবং দেখে, যে বাড়িটা ফাঁকা আছে কেউ এখনো থাকতে আসেনি। ও হতাশ হয়ে আবার বাড়ি ফিরে আসে গরমের ছুটি শেষ হচ্ছে। স্কুল আবার চালু হবে ওর একা স্কুলে যেতে একটুও ভালো লাগছে না স্কুলে গেলে সবাই ওকে নিয়ে মজা করে। রেবার বাবা নেই একমাত্র মা-ই আছে ওর বাবা মারা গেছে ওর বাবা একজন সরকারি চাকুরে ছিল তিনি যখন মারা যান বাবার বদলে মা চাকরি পায়।
এই রেবা ওঠ ওঠ তাড়াতাড়ি ওঠ উঠে দেখ পাশের বাড়িতে কারা সব থাকতে এসেছে”

“কি হলো মা ঘুমাতে দাও ,এঃ কি বললে! আবার বলো ”
রেবা তাড়াতাড়ি  নিজের ঘরের জানালাটা খুলে উকি দিয়ে দেখতে লাগলো একটা মধ্যবয়স্ক দম্পতি এবং তাদের একটা ছেলে রেবার বয়সী পাশের বাড়িতে অনেক জিনিসপত্র নিয়ে ঢুকছে। রেবার মা বলল -:“কিরে দেখতে যাবি না ”?

ভালোবাসার গল্প Место, где живут истории. Откройте их для себя