৩য় পর্ব

0 0 0
                                    

বর্ষা ও মারিয়ার কফি শেষ হওয়ার পরপরই মুখর হাতে ঘড়ি পরতে পরতে এগিয়ে আসে। মুখরকে দেখে বর্ষা উঠে দাঁড়ায়।  মুখর মোবাইল ফোনে কিছু দেখতে দেখতে বলে,
"চল, আমার হয়ে গেছে।"
"সেটা তো খুব দেখতে পারছি," বর্ষা গম্ভীর হয়ে বলল।
বর্ষার পাশে দাঁড়িয়ে মারিয়া হাসছে,  মারিয়ার দৃষ্টি মুখরের দিকে। মুখর মারিয়াকে হাসতে দেখে পরক্ষণে বর্ষার দিকে তাকায়। বোকার মতো সে জিজ্ঞাসা করে,
"কি? কোন সমস্যা?"
"না, কোন সমস্যা না৷ আগে বল মুখে কতো কেজি আটা ময়দা মেখেছিস?" বর্ষা একইভাবে মুখরকে জিজ্ঞাসা করে।
"ম-ময়দা? আমি তো একটু ক্রিম লাগিয়েছিলাম," মুখর নিজের গালে হাত দিয়ে বলে।
"হ্যাঁ,  ক্রিম লাগিয়েছিলি," কথাটা বলে বর্ষা মুখরের কাছে যায়।
পায়ের আঙুলের উপর ভর দিয়ে কিছুটা উচ্চতা বাড়ানোর চেষ্টা করে, কারণ মুখর তার তুলনায় একটু বেশিই লম্বা। হাতের আঙুল দিয়ে খুব যত্নসহকারে মুখরের গালে লেগে থাকা অতিরিক্ত ক্রিমটুকু মুছে দেয়৷ মুখর দৃষ্টি নামিয়ে ক্রিম মুছতে থাকা বর্ষার মুখমন্ডলের দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। বর্ষা তার কাজ করছে। বর্ষার কাজ শেষ হয়ে গেলে সে মুখরের থেকে বেশ অনেকটা দূরে সরে যায়। বর্ষা বলে,
"এবার ঠিক আছে। "
"তোদের হলো?" মারিয়া তার ব্যাগে মোবাইল ফোন রেখে এগিয়ে এসে জিজ্ঞাসা করল।
"হ্যাঁ,  চল।"
বর্ষা মারিয়ার হাত ধরে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। মুখরের মা সেসময় এগিয়ে আসেন মুখরের দিকে। সে মুখরকে উদ্দেশ্য করে বলে,
"মুখর,  কোথাও যাচ্ছিস? আমি নাস্তা দিচ্ছি, নাস্তা করে যা।"
"না, মা। মারিয়া আর বর্ষাকে নিয়ে একটু বের হচ্ছি। বাহির থেকেই নাস্তা করে নিব," মুখর তার মা'কে কথাটি বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়৷

বিকাল অব্দি বাহিরে বেশ আনন্দ করে তিনজন বাড়ি ফিরে যায়। রাতের বেলা মুখরের কক্ষে ফের মারিয়ার আগমন। মুখর আগে বলে,
"মারিয়া, আবার যদি বর্ষাকে নিয়ে কিছু বলিস, তো খবর আছে।"
"ভাই, আমি তো অন্য ব্যাপারে কথা বলতে এসেছিলাম। একেই বলে 'চুরের মন পুলিশ পুলিশ', "  মারিয়া মুচকি হেসে বলে।
"আগামীকাল বর্ষার গায়ে হলুদ। দুপুরের পর থেকে ওদের বাসায় থাকতে হবে। কতো রাত হবে তা অজানা। তাই আজ ভালোমতো ঘুমিয়ে নে," মারিয়া বলল।
"হুম, যা এবার।"

বর্ষণমুখর ভালোবাসা Where stories live. Discover now