আজ সারাটা দিন ভালো কাটছে না রাফসানের।অদ্ভুতভাবে মনটা ভার হয়ে আছে । একা একা বসে থেকেই বিকাল, গোধুলী আর সন্ধ্যাটা কাটালো। কোন কিছুতেই যেন মন বসছে না ওর। ছাদের রেলিং ধরে নীল আকাশ আর শহর ছাড়া কিছুই দেখার নেই এখানে। শহরের হরেক রকমের বাতি এক অদ্ভুতরকম সৌন্দর্য সৃষ্টি করেছে। এই সৌন্দর্যই দেখছিল ও। হঠাৎ ওর ফোনে মেসেজ টোন বেজে উঠলো।
ও জানে কে বা কারা কি মেসেজ দিতে পারে। হয় সিম কোম্পানির কোন অফার অথবা ফ্রেন্ডদের বিরক্তির মেসেজ। তবু ও কেন জানি মেসেজটা দেখার জন্য ফোন বের করলো এবং মেসেজটা পড়ে রীতিমত অবাক এবং কৌতুহলী হয়ে পড়লো।
একটা অচেনা নাম্বার থেকে মেসেজটি এসেছে এবং মেসেজের শেষে একটা নাম লেখা আর তা হলো "রুপা"।
না রাফসানের জীবনে কোনো রুপা নেই যদিও কোনো কালেই ছিলো না। রঙ নাম্বারে থেকে ও যে মেসেজটা আসতে পারে, রাফসান সেটা মনে করলো না। ও সেই নম্বরে ফোন করলো......।
অনেক সময় ধরে রিং বাজলো, কিন্তু কেউ ফোন রিসিভ করলো না।তৃতীয় বারে ফোনটা রিসিভ হলো এবং অপর প্রান্ত থেকে একটা মেয়ে কন্ঠ ভেসে এলো। মেয়েটি হ্যালো বলতে বলতেই ফোনটা কেটে দিলো।
এরপর আরো কয়েকবার ট্রাই করলো রাফসান কিন্তু আর কখনো ফোন রিসিভ করলো না কেউ বা মেসেজের ও কোনো রিপ্লাই আসলো না।
রাফসান অনেক বার চেষ্টা করলো, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হলো না। একটা সময় 'এই মুহুর্তে আপনার কাঙ্ক্ষিত নাম্বারে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না'.....বলতে লাগলো।
আজ ১২ ই নভেম্বর। সময় ৮:৪৫। এই দিন ও সময়ের কি আদৌ কোন তাৎপর্য আছে ?
রাফসান কোনো কিছু ভেবে পেলো না। গত বছর এই দিন এই সময়ে কি হয়েছিল জানতে ওর স্টোর রুম থেকে ধুলো পড়া ডায়েরীটা বের করলো।
"মা" হৃদয়ের মায়া,"বাবা" পৃথিবীর ছায়া,"ভাই" স্বপ্নের আশা,"বোন" আদরের ভালবাসা। সো কাউকে আপন করতে গিয়ে ফ্যামিলিকে পর করে দিও না। রুপা "
মেসেজটা ইংলিশ স্পেলিং এ বাংলায় কথা গুলো লেখা। রাফসান আবার মেসেজটা দেখলো।
ESTÁS LEYENDO
হিমুর রুপা
Historia Cortaএকটা মেসেজ ও কিছু ফিরে পাওয়া স্মৃতি এবং অবাক করা এক সত্য জানার গল্প