মিসেস মালার্ডের হার্টে সমস্যা, তাই সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিল খুব ধীরে সুস্থে স্বামীর মৃত্যুর খবরটা উনাকে দেয়া হবে।
মিসেস মালার্ডের ছোট বোন, জোসেফিন, ছোট ছোট বাক্যে, ইশারা ইঙ্গিতে বোনকে মৃত্যুর খবরটা দিল। মিস্টার মালার্ডের বন্ধু, রিচার্ডও তখন উপস্থিত ছিলেন।রিচার্ডই প্রথম খবরের কাগজ থেকে দুর্ঘটনার কথা জানতে পেরেছিলেন। উনিই দূর্ঘটনায় মৃতদের তালিকা নিয়ে এসেছিলেন। তালিকায় মালার্ড সাহেবের নাম একেবারে প্রথমে ছিল।
প্রথমে মনে হল, মিসেস মালার্ড হয়ত জোসেফিনের কথা বুঝতেই পারেন নি। বোনের কাঁধে মাথা রেখে তিনি কিছু সময় কাদলেন, তারপর ধীর পায়ে নিজের রুমে চলে গেলেন। যাওয়ার আগে বলে গেলেন কেউ যেন তাকে বিরক্ত না করে, কিছু সময় একা থাকতে চান তিনি।
রুমে ঢুকেই জানালার দিকে মুখ করে রাখা আরাম কেদারায় গা এলিয়ে দিলেন ভদ্রমহিলা। দেখে মনে হল তার দেহ আর মন-দুটোই প্রচন্ড অবসন্ন।
মিসেস মালার্ড বাইরে তাকালেন। গাছগুলো সব বসন্তের নতুন পাতায় ভরে উঠেছে, একটু আগের বৃষ্টি চারদিকের প্রকৃতিকে আশ্চর্যরকমের স্নিগ্ধ করে তুলেছে। ঐতো, একটা ফেরিওয়ালার চিৎকার শোনা যাচ্ছে।
পশ্চিমের জানালা জুড়ে রয়েছে আকাশ। নীল আকাশের বুকে থরে থরে সাজানো সাদা মেঘগুলো ভেসে বেড়াচ্ছে।
মিসেস মালার্ডের বয়স বেশি হয়নি, আর তিনি যথেষ্ট বুদ্ধিমতী।তার দুচোখ আকাশের একটা বিন্দুতে স্থির হয়ে আছে। চোখ দুটো কি আকাশের বুকে মৃত স্বামীকে খুঁজে বেড়াচ্ছে?
মনে হয় না।
তিনি কিছু একটা গভীরভাবে ভাবছিলেন।
YOU ARE READING
অনুবাদ গল্পসমগ্র
Short Storyবিভিন্ন সময়ে বিদেশী অনেক লেখকের লেখাই ভাল লেগে যায়। সেই ভাল লাগা থেকেই ভিনভাষার গল্পগুলোকে অনুবাদ করি।উদ্দেশ্য দুটোঃ ১. অবসরে গল্পগুলো আবার পড়া। ২. পাঠকদের প্রিয় এই লেখাগুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়া. প্রতিটি পর্বেই আলাদা আলাদা সম্পূর্ণ গল্প থাকবে, ইন...