আমাদের ঘরের উঠোনের ঠিক পাশে যে ছোটো জন্তুর ছায়া দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছেন, ওটা কিন্তু একটা বিড়াল।
আসলে আমার বাবার মৃত্যুর আগে থেকে এই বাড়িতে আছে।
বিড়ালটার দিকে হঠাৎ করে চোখ পড়লে যে কেউ চমকে উঠবে। কারণ এর সামনের দুটো পা নেই।
চোখেও মনে হয় ভালো দেখেনা। মাথা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে এমনভাবে তাকায় যেন কোন কিছুর অবস্থান ট্রেস করতে খুব অসুবিধা হচ্ছে। গায়ের রঙ একদম কুটকুটে কালো। সাইজেও ছোট। বাচ্চা বাচ্চা ন্যাদা টাইপ।
আপনি আমার কথা শুনে কালো রঙের যে বিড়ালের ছবিটা মনে মনে কল্পনা করতে পারবেন, তার কিন্তু দুটো পা-ই আছে। সুতরাং দুই পা বিহীন একটা বিড়াল দেখতে কতটা অদ্ভুত তা না দেখলে কল্পনা করা বেশ কঠিন।
যা বলছিলাম, .. কি যেন বলছিলাম? ও হ্যা! এই বিড়ালটার দুটি চোখের একটি দেখতে মনে হয় কেউ যেন খাবলে তুলে নিয়ে গেছে। চোখের অন্ধকার গহ্বর অনেক ভিতর পর্যন্ত বিস্তৃত। টর্চ মারলে ভিতরে লাল মাংস দেখা যায়।
আর অন্য চোখের দৃষ্টিও বেশ ঘোলা। ওর একমাত্র কাজ এক দৃষ্টিতে চুপ চাপ তাকিয়ে থাকা অথবা শুয়ে শুয়ে চোখ খোলা রেখে ঘুমানো। ( ও যে আসলেই ঘুমায় সেটা আমি অনেকবার টেস্ট করেছি! চোখের সামনে কাটা কম্পাস নিয়ে ফুটো করে দেবার ভয় দেখিয়েছি, রুটির টুকরা নিয়ে চোখের সামনে নাড়াচাড়া করেছি, চোখের পাত্তিও ফেলে না। মরা মনে করে কেউ লেজ ধরে টান দিলেই ধড়মড় করে জেগে ওঠে।)
আর জেগে থাকলে, উঠোন দিয়ে যে হেটে যায় তার দিকে ঘাড় কাত করে একবার তাকাবেই।
কেউ যদি একটা লাথি দিয়ে চলে যায়, কিংবা লেজে পাড়া দিয়ে চলে যায়, তারপরও সে কোনো শব্দ না করে শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকবে।
YOU ARE READING
বুলু 🐾 [completed]
Paranormal#Watpad_Featured_Book: 16th July 2018 এই বিড়ালটা মিউ মিউ করে ডকতে পারে কি পারে না তাও কেউ জানেনা। প্রথম প্রথম কুকুররা এসে ঘাটাঘাটি করতো, কামড়া কামড়ি করতো, ঘাড় ধরে মটকা মটকি করতো। কিন্তু বিড়ালটার কোনো রকম ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া না দেখে শেষে বিরক্ত হয়ে...