প্রফেসর আলিম খুব উত্তেজিত।তিনি একটা জিনিস কুড়িয়ে পেয়েছেন।তিনি তার ল্যাবে তা নিয়ে আসেন।পরীক্ষা করতে গিয়ে বুঝতে যা পেলেন তাতে তার পিলে চমকে যাওয়ার অবস্হা।তিনি তাড়াতাড়ি তার গোপন কক্ষে গেলেন।
আসলে তার এই গোপন কক্ষের কথা কেউ জানে না।এমনকি যাদের দিয়ে তার এই গোপন কক্ষ তৈরি করেছিলেন,তাদের পর পিএন সিরাপ দ্বারা স্মৃতিভ্রম করিয়ে দিয়েছিলেন!অবশ্য সাতাশ শতকের বিশ্বে এ একেবারে নস্যি বিষয়।এর চেয়ে আরো কত ভয়ংকর কান্ডই না হোমো সেপিয়েন্সরা ঘটিয়েছে।
তিনি ভিতরে ঢুকে তার সাংকেতিক ভাষার নোটটা বের করলেন।তিনি আসলে নিশ্চিত হতে চাইছিলেন।তারপর বুঝতে পারলেন না কি হলো এই ব্যাপারটা।তিনি যে সাংকেতিক ভাষা তৈরি করেছেন তা তার কলম ছাড়া আর কেউ জানে না।অবশ্য কলম এখানে লেখার বস্তু বোঝানো হয়েছে।আজকালকার দিনে কলমেও ক্যামেরা থাকে,বড় বড় ব্যক্তিত্বের উপর নজরদারি করার জন্য।কিন্তু তার কলমে তো এটা হওয়া এক্কেবারে অসম্ভব।তিনি নিজে এই কলম বানিয়েছেন।
তিনি আবার এ কুড়িয়ে পাওয়া কাগজটা পড়তে লাগলেন।যদিও এটা আসলেই কাগজ কিনা তা তিনি জানেন নাপ্রথম অংশ পড়ে তিনি উত্তেজনায় থর থর করে কাঁপতে লাগলেন।তাতে তার নামও আছে!!!আসলে মূল ব্যাপারটা অনেকটা এই রকম যে, প্রফেসর আলিম এক ধরণের অতি দূর্বোধ্য সাংকেতিক ভাষা তৈরি করেছেন।তিনি সম্পূর্ণ ভাবে তা গোপন রেখেছিলেন।কিন্তু এই কাগজে দেখা যাচ্ছে তার এই ভাষা ব্যবহার করে সংবাদ প্রেরণ করা হয়েছে।আর আশ্চর্যের বিষয় হলো,তিনি মনে মনে ঠিক করেছিলেন যে এই ভাষা ব্যবহারের সময় প্রথমে তার নাম লেয়া থাকবে আর একটা সাংকেতিক নম্বর।
আশ্চর্যজনকভাবে তাও এখানে লেখা আছে।তার স্পষ্ট ভাবে মনে আছে যে,তিনি আজ সকালে ইউনিভার্সিটিতে যাওয়ার সময় এই নিয়ে ভেবেছিলেন।কেবল ভেবেছিলেন।আর তাও এখানে লেখা হয়ে আছে।কেমনে সম্ভব!তিনি কিংকর্তব্যবিমূঢ়হয়ে মনে মনে বলতে লাগলেন,কেমনে কিহ!এটা দিয়ে কেমনে কেউ বার্তা লেখলো।কেউ তো জানে না এই বিষয়ে।ধরলাম,কেউ আমার এটা চুরি করল।ভালো কথা।ভালো কথা মানে! কিসের ভালো কথা।ধুর,আমার এটা চুরি হইলো আর এটা কিনা ভালো কথা!কি কইরে আমি!মাথা নষ্ট হইয়া গেছে রে।আচ্ছা ধরলাম কেউ চুরি কইরা লেখলো,কিন্তু আমার সাংকেতিক নম্বর কেমনে জানল।এটা তো আমি মাত্র ভাবলাম।কোথাও লেখছি না।তাইলে কি আমার মন পড়সে নাকি!!ও আল্লাহ্ এইটা কি হইলো।তারপর তিনি চিন্তা করলেন লেখার হলোফাইসল টেস্ট করাবেন যাতে কখন লেখসে তা বোঝা যায়।