হাতে পাঁচ হাজার টাকা, পিঠে একটা ব্যাগ, পিছন থেকে বাবার চেচামেচি.... তোর ওপর আমার আর কোনো দায়িত্ব নাই, তুই যা খুশি কর, যেখানে খুশি সেখানে যা, মুখ দেখাতে আসিস না।
আম্মুর উচ্চস্বরে কেদেঁ উঠল।
আমি হাটছি... আমার কোনো যাওয়ার জায়গা নেই তা না, আমি ইচ্ছে করলে অনেক জায়গায় যেতে পারি... আজ ইচ্ছে করলেই তেপান্তরের মাঠ পরিয়ে যেতে পারি, দিকবিদিক ভুলে ছুট দিতে পারি... কেউ আটকাবে না, পিছন থেকে ডেকে বলবে না, "যাস না পথ হারিয়ে ফেলবি। " কথাটা ভাবতেই মুখের কোনো একটু হাসি ফুটে উঠলো।যদিও আমার এখন কষ্ট পাওয়া উচিত।আমি চলছি অনিশ্চিত ভবিষ্যতের পথে। এটা আমার কাছে একটা নতুন অভিজ্ঞতা। সত্যি বলতে জীবনের সতেরটা বছর কাটিয়ে দিলেও আমার অভিজ্ঞতার ভান্ডার তেমন সমৃদ্ধ হয়নি, আরো একটু স্পষ্ট করে বললে শূন্য।তাই এই যাত্রাটা আমার জন্য নিজেকে চেনার ও জানার অনেক বড় একটা সুযোগ।
হঠাৎ মনটা বিষণ্ন হয়ে আসে।নিজেকে বলি, আমি তো কোনো এভারেষ্ট জয় করতে যাচ্ছি না! এত উৎফুল্ল হওয়ার কি আছে?
সত্যিই তো আমার যাওয়ার কোনো জায়গা নেই।তেপান্তরের মাঠে তো কেউ সারা জীবন কাটাতে পারে না!আমি কোথায় যাবো?? বাড়িতে তো ফিরতে পারবো না।