অামার যেনো তর সইছিলো না।অামি বাসায় এসেই র্যাপিং পেপার খুলে দেখি, অামার দেয়া সেই বই!! মানে কি??
অাবিদ কি তাহলে কুটু মিয়ার অারেকটা কপি পুড়িয়েছে???
উৎসর্গ পৃষ্ঠা খুলে দেখি, সেই অামার লিখা।
বুক ঢিপ ঢিপ করতে লাগলো।
বইয়ের ভেতরে দেখি একটা ক্যালেন্ডারের উল্টো পাতায় লিখা চিঠি।পাগল ছেলে!! চিঠি কেউ ক্যালেন্ডারের পিছনের পাতায় লিখে নাকি??নিতু,
তুমি কেনো অাসোনি অামার জন্মদিনে?? এই ২২শে অাগষ্ট অামার সবথেকে খারাপ জন্মদিন ছিলো।তাই অাগষ্টের পাতাটাই তোমায় দিয়ে দিলাম।অামার খুব ইচ্ছা নিতু কোনো এক ঝুম বৃষ্টির দিনে অামি তোমায় নিয়ে রিকশা চড়বো।তুমি না চাইলে জোড় করে রিক্সায় তুলবো। স্কেল দিয়া বাইরাইয়া তুলবো। তারপর তোমার কোমড় জড়িয়ে ধরবো।রিক্শা ড্রাইভার দেখবে না। পলিথিন দেয়া থাকবে। মাঝে মাঝে তোমার অারও অন্য জায়গায় ও হাত দিবো।
তুমি তো অামার কোনো কথা শুনো না। মাঝে মাঝে তোমাকে পানি দিয়ে টুপ করে গিলে ফেলতে মন চায়।যা করবা পেটে গিয়ে করো।কিন্তু তোমার লেজের জন্য গিলি না। চুল নাকি পেটে হজম হয়না!!!
তুমি তো মনে মনে অামাকে "অসুর " বলে গালিও দাও। অামি শুনতে পাই।অসুরকে তো দূর্গা শায়েস্তা করেছিলো।
অাচ্ছা তুমি কি অামার জীবনে দূর্গা হবা???
ওকে
বাই! অার একটা কথা, মাথায় কি তেল দেও?
খালামণিদের মত গন্ধ বের হয়।বাই দ্য ওয়ে অামি লম্বা চুল একদম পছন্দ করি না।অামার ধারণা তোমার চুল অামার গায়ে লাগলে চুলকাবে। একবার কাছে পাই তোমায়, বেল করে দিবো মাথা।
ক্যালেন্ডার দেখো।অাামি চিঠি পরে 'থ' হয়ে গেলাম।কি বাজে ছেলেরে বাবা!! ক্যালেন্ডারে দেখি ২২তারিখটা কাটা, তাতে লিখা
"ট্রিমেন্ডাসলি মিসড ইউ তেলিবতী।"এক মুহূর্তের জন্য অামার পৃথিবী থেমে গেলো।
এত সারপ্রাইজ অামি নিতে পারলাম না যেনো।
অাবিদ অামায় ভালোবাসে! অার ভালোবাসার কি ছিড়ি দেখো।খালি মারামারি।তারপর অামার সিলেট চলে অাসা।কারো সাথে যোগাযোগ রইলো না। সবাই হারিয়ে গেলো মন থেকে।শুধু অাবিদ মনে রইলো।
ওখান থেকে অাসবার পর অামি প্রতি মুহূর্ত অাবিদকে মিস করেছি। কিন্তু যোগাযোগের কোনো স্কোপ ছিলোনা।
তারপর অনেকদিন, অার সাহস করে খুজিওনি।
কিন্তু মনে প্রাণে ওই বাজে ছেলেটাকে অামি সবসময় ভেবেছি। অামি এখন জানি অাবিদ অার অাামার মধ্যে যেটা ছিলো, সেটা রাগ না রাগের পেছনে অনুরাগ!! এটাই ভালোবাসা।
সাহসের অভাবে খোঁজ নেয়া হলো না অাবিদের।
সেও চেষ্টা করেনি বোধহয়!!বাজে ছেলে একটা।
তারপর অনেক বছর।অামারও প্রেম হয়নি অার।অভিমানে চুল ছোট করে কেটে ফেললাম।
পরিবারের পছন্দে বিয়ে হলো, সংসার হলো অামার।
এখন অামি অামার ছেলেকে গেঞ্জি পড়িয়ে কলার দাঁড় করিয়ে দিই।বুকের বোতাম খুলে রাখি।অামার মা বকা দেয়, একি অসভ্যতা নিতু????বাবুকে গুন্ডা বানাবি নাকি???
অামি হেসে বলি, মা ওকে অামি বাজে ছেলে বানাবো!!!!! ওর জীবনে একটা মেয়ে এসে সব ঠিক করে দিবে।
মা রক্তচক্ষু করে অামার দিকে তাকায়!!অামার ইচ্ছা করে চিৎকার করে বলি,
মা অামার জীবনে একটা প্রচন্ড বাজে ছেলে ছিলো মা।সে অামার সব এলোমেলো করে দিয়ে হারিয়ে গেছে. ........অাবিদ, তুমি কেনো অার অামাকে খো্জ করোনি???এখন কেমন অাছো তুমি?
অামার এখনো ভীষণ কষ্ট হয় রাতে!
অনেক রাগ করে অাছি। সামনে অাসো একবার মেরে শার্ট ছিড়ে ফেলবো তোমার...
YOU ARE READING
অসম্পূর্ণ ভালোবাসার গল্প
Romanceঅামার ইচ্ছা করে চিৎকার করে বলি, মা অামার জীবনে একটা প্রচন্ড বাজে ছেলে ছিলো মা।সে অামার সব এলোমেলো করে দিয়ে হারিয়ে গেছে. ........ অাবিদ, তুমি কেনো অার অামাকে খো্জ করোনি???এখন কেমন অাছো তুমি? অামার এখনো ভীষণ কষ্ট হয় রাতে! অনেক রাগ করে অাছি। সামনে অা...