পাখির মিষ্টি কিচির - মিচির শুনতে পেলাম। আর সেইসাথে সূর্যের আলোর উত্তাপ, ওয়েট.... সূর্যের আলো? শিট! মোবাইলে দেখলাম সকাল ৮ টা বাজে। তার মানে আর মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে আমাকে অফিসে থাকতে হবে। আমি তাড়াতাড়ি বিছানা থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ইস্কাই ব্লু আর নেভি ব্লু কালারের একটা শার্ট সাথে ব্ল্যাক কালারের একটা জিন্স পরলাম। কানে গোল এ্যাররিং। চুলটা বেশ উঁচু করে একটা পনিটেল বাঁধলাম।
ঠোঁটে হালকা করে লিপস্টিকের ছোয়া লাগলাম। হাতে হাত ঘড়ি । আর কাধে ঝোলানো সাইড ব্যাগ, যেখানে রাখা আছে মোবাইল ফোন, কিছু টাকা,লিপ বাম আর পিপার স্প্রে - যদি কখনো বিপদে পড়ে যাই, আর কিছু ব্যান্ড এইডস।ঘড়িতে ৮ টা ২০ বাজে। মানে আর চল্লিশ মিনিট আছে হাতে। ব্রেকফাস্ট করার মত টাইম নেই। তাড়াহুড়ো করে লিফটে করে গ্রাউন্ড ফ্লোর এ নামলাম। তারপর একটা ক্যাব এ করে রওনা দিলাম অফিসের উদ্দেশে। ৮টা ৪৫ এ অফিসের বিল্ডিংএ এসে পৌঁছলাম। দেরি হয় নি। বিশাল বিল্ডিং। আমি ফ্রন্ট ডেস্ক এ গেলাম। সেখানে আমাকে বলা হলো পনেরো তলায় যেতে, যেখানে মি.রায়হানের অফিস।
আবার লিফটে করে ১৫ তলা উঠতে হলো। সেই ফ্লোরের রিসেপশনিস্ট আমার দিকে তকিয়ে ছোট মিষ্টি একটা হাসি দিল।
".এখানে বসুন।"
আমাকে একটা সোফা দেখিয়ে সেখানে বসতে বললো।
তারপর বললো, "মি.রায়হান, আই মিন স্যার যখন ফ্রী হবেন তখন আপনাকে ডাকবেন।"
"আচ্ছা," বলে আমি সোফায় বসে পরলাম। দেখলাম আরেকটা মেয়ে সোফায় বসে আছে। নিজের আঙ্গুল নিয়ে খেলা করছিল....বুঝলাম মেয়েটাও আমার মত নার্ভাস। স্বাভাবিক।
"হাই....আমি তন্ময়ী চৌধুরী।" বলে আমি নিজের হাত বাড়িয়ে দিলাম।
"হাই...অা - আমি রাগিণী, রাগিণী আহমেদ।" আমরা হ্যান্ডশেক করলাম।
আবার একটা অস্বস্তিকর পরিবেশের সৃষ্টি হলো।আমি সম্পূর্ণ একটা অচেনা মেয়ের সাথে কি কথা বলবো বুঝে উঠতে পারছি না। কিন্তু এভাবে বসে থাকতে ভালো লাগছে না। অন্য কোথাও হলে অ্যাংরি বার্ডস খেলে সময় কাটিয়ে দেয়া যেত, কিন্তু এখানে সেটা করা ঠিক হবে না।
YOU ARE READING
তোমাকে চাই
Romanceউনি আমাকে আটকে উনার দুহাত আমার দুপাশ দিয়ে দেয়ালে রেখে রাগে গজগজ করতে করতে বললেন, " তুমি আমি ছাড়া অন্য কোনো ছেলের সাথে কথা বলবা না।" " মৃদুল....আমার কথাটা একটু...."আমার কথাটা শেষ করার সুযোগ না দিয়ে উনি দেয়ালে প্রচন্ড জোড়ে ঘুসি মারলেন। চিৎকার...