ভ্যাম্পায়ার কিং
#ভ্যাম্পায়ার_কিং
লেখক:শাহরিয়ার হাছান
পর্ব ১
''স্যার আজও তিনটা রক্ত শূন্য মৃত দেহ পাওয়া গেছে'',বললো রাব্বি।ওসি সাহেব বললো,''এই তিন মাসে মোট কয়টা মৃত দেহ পাওয়া গেছে''?''স্যার মোট চল্লিশটা মৃতদেহ।সবেই রক্তশূন্য''বললো রাব্বি।শুনো রাব্বি তোমার বাবা আমার বন্ধু হয় তাই তোমাকে নিয়েছি, কিন্তু এর মানে এই নয় যে একটা কেস তিন মাস ধরে পড়ে থাকবে। একখনো একটা ক্লুও তুমি পাওয়া।এক সপ্তাহ সময় দিলাম এর মাঝে যদি কেসটা শেষ না করতে পারো তাহলে অন্য কাউকে দিবো''রেগে ওসি সাহেব বললো।
ধুর আজ দিনটাই খারাপ সেই সকাল থেকেই সময়টা খারাপ যাচ্ছে।কি কচুর একটা কেস তিন মাস ধরে কিছুই বুঝি না।এরপর রাব্বি কাজ শেষ করে বিকালে আড্ডা দিতে গেলো।
নীল বললো,"কিরে দোস্ত কি খবর কাজ কর্ম কেমন চলে রে"।
-আরে বলিস না চাকরি নিয়া টানাটানি
-কেন কি হইছে দোস্ত?
-আরে ভাই এইযে কয় মাস ধরে যে রক্তশূন্য মৃত দেহ পাওয়া যাচ্ছে।
-হুম।চল্লিশ জন মারা গেছে শুনলাম
-কেসটা আমিই দেখছি।কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো তথ্যই পাই নি।স্যার তো সাত দিনের সময় দিছে।
-আরে চিন্তা করিস না সব ঠিক হবে।বললে আমি একটু সাহায্য করি।
-তুই আর কি করবিই বা
-যতটুকু পারি আরকি।
রাব্বি বললো, "দেখ দেখ ওটা আকাশ আর কাব্য না?"
"দেখি তো... হুম ওটারাই তো।ওই আকাশ,কাব্য এইদিকে আয় তো"নীল বললো।
কিরে তোরা কই যাচ্ছিলি?রাব্বি বললো।এই তো একটু ঘুরতাছিলাম কাব্যর সাথে।এরপর ওদের সাথে কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে চলে আসলাম বাড়িতে।এবার আমার পরিচয় দিই আমি নীল বাবা মায়ের এক মাত্র সন্তান আর কিছুক্ষণ আগে যাদের সাথে কথা বলছিরাম ওরা হলো আমার বেস্ট ফ্রেন্ড রাব্বি, আকাশ আর কাব্য।একটু পর বাড়িতে আসলাম।ফ্রেস হয়ে নিয়ে হালকা নাস্তা করে ফোনটা নিয়ে বসলাম।কাজ কর্ম তো করি না বেকার মানুষ বাবার টাকা আছে কিসের চিন্তা।ফোন টিপতে টিপতে দুই ঘন্টা পার করলাম।মাথাটা ধরে গেলো ভাবলাম একটু ছাদে উঠি মাত্র আট টাই তো বাজে।এরপর ছাদে উঠে হাঁটছিলাম।হঠাৎ লক্ষ্য করলাম বাড়ির পাশের আম গাছে কিছু একটা বসে আছে। কিনারে গিয়ে ভালো করে দেখলাম কিছুই চোখে পড়লো না।হঠাৎ মনে হলো কেউ আমার নাম ধরে ডাক দিলো নিচে তাকিয়ে দেখি অনিশা।ওর বাসা আমার বাসার পাশে।এরপর অনিশা বললো,"কিউ নীল সাহেব এতো রাতে ছাদে কি করেন?
-প্রশ্নটাতো আমার করা উচিত।এতো রাতে মেয়ে মানুষ বাহিরে কি করে?
-আরে বাবা তো জানো অসুস্থ ঔষধ আনতে গেছিলাম।
-ওহ।আর বাহিরে থেকো না। তাড়াতাড়ি বাসায় যাও।
অনিশা যেতে নিলো আবার ফিরে উপরে তাকিয়ে বললো,"এই তোমার পিছনে ওটা কি"?আর কিছু মনে নেই।এই কথা শুনার পর মনে হলো ঘাড়ে সুঁচালো কিছু লেগেছে।জ্ঞান হারানোর আগের শুধু অনিশার চিৎকার শুনেছি।আর কিছু মনে নেই।জ্ঞান ফিরার পর দেখি সবাই আমাকে ঘিরে বসে আছে। আমি নিজের রুমে। কি হলো আমার সাথে।কিছু জিগাস করার আগেই মা বলতে শুরু করলো,"তুই এতো রাতে না বলে ছাদে কেনো গেলি।আজ যদি কিছু হতো "।আমার কি হলো।উঠে বসতে নিলাম ঘাড়ে প্রচন্ড ব্যাথা পেলাম।আহ!!।
অনিশা বললো,"তোমার সাথে কথা বলার পর যেতে নিচ্ছিলাম তখনেই দেখলাম কিছু একটা তোমার ঘাড়ে কামড় বসায়।তারপর আমি চিৎকার দিয়ে তোমার বাসায় ভিতরে ঢুকে তোমার বাবাকে নিয়ে ছাদে এসে দেখি অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছো আর ঘাড় থেকে রক্ত পড়ছে"।
এরপর আবার মা বলা শুরু করলো,"জানিস না শহরে কি হচ্ছে,কেনো বের হলি।তোর যদি আজ কিছু হতো"প্লিজ চুপ থাকো তো আমাকে একা থাকতে দেও তো ভালো লাগছে না।একে একে বাবা মা,অনিশা চলে গেলো।ঘাড়টা প্রচন্ড ব্যাথা করছে।কষ্ট করে উঠে আয়নার সামনে দাড়ালাম।দেখি ঘাড়ে দুটো ছিদ্র।হাত দিয়ে দেখি গভীর ক্ষত।
চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে। কেমন দুর্বল দুর্বল লাগছে মনে হচ্ছে শরীর থেকে কিছু চলে গেছে।আর দাড়াতে না পেরে খাটে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম।সকালে উঠে দেখি আওয়াজ আর আওয়াজ।উঠে রুম থেকে বের হয়ে দেখি পুলিশ।ওসি সাহেব সাথে রাব্বিও এসেছে।কি হলো ওনারা এখানে কেনো।ওসি সাহেব আমাকে দেখে বললো,"বসো নীল তোমার সাথে কথা আছে"
জি বলুন কি কথা।এরপর ওসি বললো-
-বেশ কয় মাস ধরে রক্ত শূন্য মৃত দেহ পাওয়া যাচ্ছে।সবার ঘাড়ে ঠিক তোমার ঘাড়ের ক্ষতের মতো পেয়েছি।কেউ শরীর সব রক্ত চুসে নিয়েছে ।এক মাত্র তুমিই বেঁচে আছো।কি কি হয়েছে ঘটনা আমাকে খুলে বলো
-আমি পারবো না এখন সরি ওসি সাহেব। পরে আমি নিজে গিয়ে বললো।আমার এখন মাথা ব্যাথা করছে।
-ওকে নীল আমি রাব্বির উপর দায়িত্বটা দিয়ে গেলাম।
এরপর সবাই চলে গেলো রাব্বি বাদে।
STAI LEGGENDO
ভ্যাম্পায়ার কিং
Horrorভ্যাম্পায়ার নিয়ে লিখা আমার প্রথম গল্প। নতুন লিখছি ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে দিবেন আশা করি