"এই ফারহান.... তাড়াতাড়ি খেতে আয়, লাঞ্চ রেডি"
আম্মু ডাকছে। আমি বিরক্ত হয়ে কম্পিউটার থেকে উঠলাম। উফ মাও যে কি.... এই ছুটির দিনগুলোতে একটু শান্তিতে বসে নেট ব্রাউজ করবো.... সেই উপায়ও নেই। কম্পিউটার বন্ধ করে, ডাইনিংরুমে গেলাম। বসতেই আম্মু বৌলের প্রায় অর্ধেক রাইস আমার প্লেটে ঢেলে দিল। ব্যায়াম করা আমার নতুন সিক্স প্যাক শরীর দেখে আম্মুর ধারনা হয়েছে আমার নাকি শুকিয়ে হাড্ডি দেখা যাচ্ছে। আমি মার অর্ধেক ভাত পাশে বসা আমার র ভাই আরিয়ানের প্লেটে চালান করে দিলাম। অনেক দিন পর আমি আর অদিতি বিকালে ডেটে বের হবো, এত ভরা পেট নিয়ে কি আর হাঁটা-চলা করা যায়!? আজকে
কোনমতে খাবার শেষ করে রুমে গিয়ে বিছানায় jaz হয়ে শুয়ে পড়লাম। একটু আগেই জিম থেকে হার্ড এক্সারসাইজ করে এসেছি। ক্লান্তিতে কখন ঘুমিয়ে পড়ছি টেরও পেলাম না। ঘুম ভাংলো অদিতির ফোনে।
"হ্যালো"
আমি ঘুম জড়ানো কন্ঠে বললাম।
-- "কি ব্যাপার তুমি এখনো রেডি হওনি?"
অদিতি মিষ্টি করে বললো।
"আ .... হ্যাঁ আমি.... এই তো.... প্রায় রেডি.... "
আমি তখন বিছানা থেকে উঠে ফুল স্পীডে একটা ব্যাগি জিন্স আর স্কিন টাইট শার্ট পড়ছি।
"তুমি রেডী?
আমি প্যান্টের জিপার লাগাতে লাগাতে বললাম।
"এই তো"
"আমি তাহলে তোমাকে তোমার বাসার সামনে এসে কল দিচ্ছি, ওকে?
-- "ঠিক আছে, বাই
আমিও বলে ফোন কেটে দিয়ে লিভিং রুমে গেলাম। আম্মু আরিয়ানের সাথে বসে টিভিতে একটা মুভি দেখছিলো।
"আম্মু, তোমার গাড়িটা একটু লাগবে"
"নিচে লোকমানের কাছে চাবি আছে, নিয়ে যা"
আম্মু মুভীটায় এতটাই ডুবে ছিল যে জিজ্ঞাসাও করলো না কোথায় যাবো। আমি নিচে লোকমানের কাছ থেকে চাবি নিয়ে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। অদিতির বাসার নিচে গিয়ে ওর মোবাইলে একটা মিসকল দিতেই ও নেমে আসলো। ও যখন নেমে আসছিলো তখন আমি গাড়ির জানালা দিয়ে হা করে তাকিয়ে ছিলাম। ও তো এমনিতেই অনেক সুন্দরী, তার উপর মিডিয়াম লেংথ স্কার্টের সাথে শর্টসে ওকে আজ অপূর্ব সুন্দর লাগছে। নিচে ওর লোমহীন সুন্দর উরু দেখা যাচ্ছিল।