প্রত্যাখ্যান

3 0 0
                                    

আজ প্রায় ৩ মাস পর আনিয়া ইন্টারভিউ দিতে যাবার কল পায়। গত তিনমাসে সে এভেইলএবেল সকল জব পোস্টে আবেদন করে দেখছে , কিন্তু ডাক পায় নি কোথাও।
আনিয়া বেকার তিন মাস ধরে। গ্রাডুয়েশনের আগে কয়েকটা টিউশানি করতো। কিন্তু হঠাৎ প্যানডেমিক আর লকডাউনের জন্য টিউশনি ছুটে গেছে সব ক'টাই।

ভেবেছিল গ্রাডুয়েশনের পর চাকরি পাওয়া সহজ হবে কিছুটা , কিন্তু না। কেউই অভিঙ্গতা ছাড়া কাউকে চাকরিতে ডাকে না।

নেক্সট ! আনিয়া আহমেদ! ভাবতে ভাবতেই আনিয়ার ডাক এলো ইন্টারভিউ বোর্ডে যাবার।

: আসসালামুয়ালাইকুম।আসব স্যার।
: জী আসুন। ..... বসুন।
: ধন্যবাদ স্যার।
আনিয়া তার হাতের ফাইলটি সামনের ডেস্কে রেখে, ইন্টারভিউয়ার দের সামনে বসল।
তার পর থেকেই শুরু হলো একের পর এক প্রশ্ন।
হঠাৎ একজন ইন্টারভিউয়ার বলে উঠল..
: এক্সিলেন্স। আপনার রেজাল্ট, আপনার কথখ বলার ধরন, ম্যানারস , শুধু মাত্র ...
: শুধু মাত্র কি স্যার ? (জিজ্ঞেসু দৃষ্টিতে তাকায় আনিয়া)
: লুকস্। এই একটি দিক থেকেই আপনি পিছিয়ে গেলেন মিস আনিয়া। আমরা এমন একজনকে খুঁজছি যে সবদিক থেকে পারফেক্ট হবে। আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত মিস আনিয়া। বেটার লাক নেক্সট টাইম‌।

আনিয়া টলটলছ চোখে বেড়িয়ে আসে।
রাস্তার পাশ ঘেঁষে হাঁটতে থাকে আপন মনে আর বিড়বিড় করে ' আবারো আবারো এই গায়ের রং এর জন্য... বিধাতা কেনো তুমি গায়ের রং কালো - ফর্সা সৃষ্টি করলে। কেন আমার গায়ের রং এই সবার এত সমস্যা। চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে তো পড়ছেই।।।।
কবে শেষ হবে আনিয়ার এই দুর্ভোগ !

চামড়া (Completed ✔️)Место, где живут истории. Откройте их для себя