দেবী

1.9K 3 0
                                    

নিলয়

প্রচন্ড গরমে ঘুমটা ভাঙলো।এই কচুর সূর্য প্রতিদিন একদম মুখ বরাবর উঠবে।গরমে মুখটা যেন জ্বলে যাচ্ছে।হাত দিয়ে মুখ ঢাকলাম।গরমে গলা থেকে ঘাম বেয়ে বুকে পড়ছে।কিন্তু আমি নড়তে পারবো না।আমার দেবী আমার বুকে ঘুমোচ্ছে।শক্ত করে জাপটে ধরে ঘুমোচ্ছে।সেও ঘামে ভিজে আছে।রোদে তার মুখ,পিঠ চকচক করছে।তবুও আষ্টেপৃষ্টে ধরে আছে আমাকে।নিষ্পাপ শিশুর মতো লাগছে আমার নীলাদ্রিকে।জানি আজ আর সে নড়তেও পারবে না।সব কাজ আমার করা লাগবে।আদর পাওয়ার পরদিন মেয়েটা আর নড়তেও পারে না।ওকে আমি কষ্ট দিতে চাইনা কখনোই।তবুও আদর করতে নিলে ছাড়তে ইচ্ছে করে না আমার দেবীটাকে।নীলাদ্রিও কখনো বাঁধা দেয়নি।তার নাকি এমনই ভালোলাগে।সে চায় আমার সবটুকু দিয়ে যেন তাকে ভালোবাসি।কোনো ফাঁকফোকর যেন না থাকে।

কপালে চুমু দিতেই নড়েচড়ে চোখ খুললো নীলাদ্রি।ঘর্মাক্ত মুখে তাকে স্বর্গের অপ্সরী লাগছে।মুখে মিষ্টি হাসি দিয়ে দুই হাতে আমার গাল ধরে ঠোঁটে চুমু খেতে লাগলো নীলাদ্রি।তাঁর ঘামের গন্ধে আমার কামোত্তেজনা বেড়ে যাচ্ছে।কিন্তু এখন কিছু করা যাবে না।গতরাতের পর এখন আবার করলে ধকল সামলাতে পারবে না আমার মানুষটা।মনমতো চুমু খেয়ে আবার বুকে মাথা রেখে চোখ বুজলো নীলাদ্রি।মাথায় সিতি দিতে দিতে বললাম-

-"আমার সোনাটার কি ক্ষুধা লাগে না?ছাড়ো এবার,তোমার জন্য নাস্তা নিয়ে আসি?"
-"না।ক্ষুধা লাগেনি।যেও না।"
-"বেশিক্ষণ না।দশ মিনিট লাগবে।"

তারপর উঠে কোনোমতে মুখ ধুয়ে চলে গেলাম রান্নাঘরে।কি বানাবো দশ মিনিটে! দুইটা ডিম পোঁচ করে নিলাম,দুই কাপ কফি আর পাউরুটি।দশমিনিটে আর কিছু সম্ভব না আমার পক্ষে।দুপুরে ভাবছি বিরিয়ানি রাঁধব আজকে।আমার হাতের বিরিয়ানি নীলাদ্রি খুব পছন্দ করে।

নাস্তা নিয়ে বিছানায় গেলাম নীলাদ্রি উপুর হয়ে শুয়ে আছে।রোদ পড়ছে পিঠে।ডাক দিতেই উঠে বসলো।এলো চুলের দেবী আমার।তুলতুলে স্তন দুটো ঝুলছে।দেখলেই মুখে পুরতে ইচ্ছে করে।খাবার সামনে রেখে নীলাদ্রির চুল খোঁপা করে দিলাম।আমি পারি না তেমন।নীলাদ্রি নিজে ঠিক করে নিলো।
খাবার শেষে নীলাদ্রিকে টেনে তুললাম গোসল করতে।উঠতেই চাইছিলো না।অনেক নাকি ব্যাথা করছে।আমার ভালোবাসাকে তো আমি ব্যাথা দিতে চাই না।তাও কেনো এমন হয়!

একান্তই আমার(১৮+)Where stories live. Discover now