অতিথি

1.4K 5 0
                                    

দুপুরের খাবার খেয়ে বারান্দায় দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছি।আজকের আবহাওয়াটা খুবই সুন্দর।ভাবছি নীলাদ্রিকে নিয়ে বাইরে যাবো।সারাদিনতো বাড়িতেই থাকে।সপ্তাহে দুটো দিন সময় পাই।আজ রাতে আবার আমার এক বন্ধু আসবে,ঢাকায় কি কাজ আছে।কাল নীলাদ্রিকে তেমন সময়ও দিতে পারবো না।পরশু তো আবার অফিস।

কিছুক্ষণ পর নরম আলতো দুটো হাত পিছন থেকে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।নীলাদ্রির ঘুম ভেঙেছে।

-"শরীর কেমন এখন?চা দিবো?"
-"দাও।এখন ভালো।"

নীলাদ্রিকে চা দিতে দিতে ঘুরতে যাওয়ার কথা বললাম।সে এক বলাতেই রাজি।

নীল রঙের একটা শাড়ি পড়লো নীলাদ্রি।দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়।

মায়াবী চোখের দেবী আমার।যতই দেখি ততই ভালোবাসি।কেন যে আমার মতো একজনের জন্য নিজের পরিবার,স্বপ্ন সব ছেড়ে চলে এলো আমি জানি না।আমার কাছে না এলে নিশ্চয়ই কোনো বড় ঘরের সুদর্শন ব্যাক্তির বউ হতো আজ।থাকতো না কোনো অভাব,কোনো কষ্ট।

¡Ay! Esta imagen no sigue nuestras pautas de contenido. Para continuar la publicación, intente quitarla o subir otra.

মায়াবী চোখের দেবী আমার।যতই দেখি ততই ভালোবাসি।কেন যে আমার মতো একজনের জন্য নিজের পরিবার,স্বপ্ন সব ছেড়ে চলে এলো আমি জানি না।আমার কাছে না এলে নিশ্চয়ই কোনো বড় ঘরের সুদর্শন ব্যাক্তির বউ হতো আজ।থাকতো না কোনো অভাব,কোনো কষ্ট।

নীলাদ্রির দিকে তাকিয়ে এসব ভাবতে ভাবতে কখন যে ও আমার সামনে এসে দাড়িয়েছে আমার আর খেয়াল নেই।

-"কি গো ওভাবে দেখছো কেন?সুন্দর লাগছে না আমাকে?"
-"আমার দেবীকে কখনো অসুন্দর লাগতে পারে?আদর করতে ইচ্ছে করছে খুব।কিন্তু এখন কাপড় নষ্ট করতে চাই না।চলো ঘুরে আসি তারপর আদর করবো।মন ভরে আদর করবো।"

মুচকি হাসি দিয়ে ঠোঁটে আলতো চুমু দিলো নীলাদ্রি।হাত ধরে দুজন বেরিয়ে পড়লাম।লাল রক্তিম আকাশ,সন্ধ্যা হয়ে আসছে।আমি নীলাদ্রির হাত ধরে কৃষ্ণচূড়া গাছের সারির পাশ দিয়ে হাটছি।মনে পড়ে গেলো কলেজ জীবনের কথা।তখনও এমন হাত ধরে এই কৃষ্ণচূড়ার পথে হাটতাম।এখানেই কোনো এক কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বৃষ্টিভেজা দুপুরে আমার ঠোঁটে চুমু খেয়েছিলো নীলাদ্রি।যার নেশা আজো কাটাতে পারিনি আমি।
রাস্তার পাশের টং এ চা খেয়ে বাড়ি ফিরলাম।

রাতে নীলাদ্রি সুন্দর একটা শাড়ি পড়লো।কিন্তু এখন তাকে আমার এই শাড়িতে বিরক্ত লাগছে।অন্যসময় হলে আমিই বেশি খুশি হতাম কিন্তু এখন আমারই বেশি বিরক্ত লাগছে।কেননা স্লিভলেস ব্লাউজের মধ্য দিয়ে নীলাদ্রির নরম তুলতুলে স্তন অনেকটুকুই দেখা যাচ্ছে,যা দেখা,ছোয়া,মালিশ করা,খাওয়া সব একান্তই আমার অধিকার।আমার বন্ধু আসবে আজ।সে আমার স্ত্রীকে অন্যভাবে দেখুক তা আমি চাইনা।

রাতে নীলাদ্রি সুন্দর একটা শাড়ি পড়লো।কিন্তু এখন তাকে আমার এই শাড়িতে বিরক্ত লাগছে।অন্যসময় হলে আমিই বেশি খুশি হতাম কিন্তু এখন আমারই বেশি বিরক্ত লাগছে।কেননা স্লিভলেস ব্লাউজের মধ্য দিয়ে নীলাদ্রির নরম তুলতুলে স্তন অনেকটুকুই দেখা যাচ্ছে,যা দেখা,ছোয়া,মালি...

¡Ay! Esta imagen no sigue nuestras pautas de contenido. Para continuar la publicación, intente quitarla o subir otra.

নিজোর অজান্তেই নীলাদ্রিকে অনেকটা বকে ফেললাম।মেয়েটা কিছুই বললো না।তার চোখের কোনায় জল জমতে দেখে বুকটা কেমন হাহাকার করে উঠলো।কিছু বলতে পারলাম না আর।নীলাদ্রি চুপচাপ যেয়ে শাড়ি পাল্টে নিলো।

রাত ৯ টার দিকে আমার বন্ধু সুদ্বীপ এলো।খাওয়া দাওয়া শেষে শুতে গেলাম।নীলাদ্রি অন্যদিকে ফিরে শুয়ে আছে।জানি ঘুমায়নি।ও এতো তাড়াতাড়ি ঘুমায় না।তাছাড়া আমার সাথে অভিমান করে ওর ঘুমও আসবে না।অবশ্য আমার দেবী অভিমান করে আমার বুকে না ঘুমালে আমারও ঘুম আসবে না।তো অভিমান তো ভাঙাতেই হবে।

টি শার্ট খুলে নীলাদ্রির পাশে গিয়ে শুলাম।ওমা মেয়েটা কাঁদছে।এ আরেক বিপদ।ওর কান্না আমি নিতে পারি না।সারাজীবন চোখে জল আসতে দিবো না কথা দিয়েছিলাম।আর এখন আমিই কিনা ওর কান্নার কারণ!

পিছন থেকে জড়িয়ে ধরলাম নীলাদ্রিকে

-"ক্ষমা করে দাও,দেবী।আর হবে না।সুদ্বীপ তোমার দিকে খারাপ নজর দিক আমি চাইনা।আমার সামনে তুমি যা ইচ্ছা পরো।ব্লাউজ আর শাড়িটা তো আমিই কিনে দিয়েছি।আমি চাই তুমি ওগুলো পরো।কিন্তু আমি ছাড়া কারো সামনে না।স্যরি।আর কখনো বকবো না।তুমি আমার বুকে না থাকলে আমার ঘুম হবেনা।"

নীলাদ্রি কিছু বললো না।

আমার দিকে ফিরে বুকে মাথা রেখে কাঁদতে থাকলো।আমি মাথায় সিতি দিতে থাকলাম।

বাবা-মায়ের একমাত্র মেয়ে নীলাদ্রি।আর কোনো ভাইবোন নেই ওর।তাই বাবা-মায়ের সবটুকু আদর পেয়ে বড়ো হয়েছে।কখনো মাছের কাটাটুকুও কখনো ওর বাছতে হয়নি।এতো আদর পাওয়া মেয়েটা সেদিনের একটা ডাকে বিলাসী জীবন,উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ,বাবা-মা সব ছেড়ে চলে এলো আমার কাছে।শুধুমাত্র আমার ভালোবাসার ভরসায়।





হ্যালো বন্ধুরা🥰 আশা করছি আপনাদের ভালো লাগছে।সামনের কাহিনী জানতে রিডিং লিস্টে রেখে দিন "একান্তই আমার"

একান্তই আমার(১৮+)Donde viven las historias. Descúbrelo ahora