১৬-২০. চুন্নু মিয়ার সামনে বসে

0 1 0
                                    


১৬-২০. চুন্নু মিয়ার সামনে বসে

চুন্নু মিয়ার সামনে বসে আছে আছিয়া। তার পাশে দাঁড়ানো সোহরাব মোল্লা। সোহরাব মোল্লা বলল, যা যা শিখাই দিছে ঠিকঠাক মতো বলতে পারবিতো?

জে, পারব।

কী বলবি?

বলব সে আমারে দুই বছর ধইরা জোর কইরা খারাপ কাজ করত।

সে কে?

গোলাম মাওলা সাবে।

আর কী বলবি? আমার পেটে সন্তানও আসছিল। সে জোর কইরা নষ্ট করছে।

চুন্নু মিয়া টেবিল থেকে কিছু কাগজ বের করে আছিয়ার সামনে ধরলেন, তোর প্রমাণ নিয়া চিন্তা করতে হইব না। এই যে এইখানে সব আছে। সব ব্যবস্থা করা হইছে। ব্যাক ডেটে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন, রিপোর্ট, সব।

আছিয়া কথা বলল না, তাকিয়ে শুধু দেখলো।

সোহরাব মোল্লা বলল, এত ভয় কিসের তোর? সে যে একদম কিছুই করে নাই, তাতো না? এক দুইবারতো ঘটনা সত্য সত্যই ঘটাইছে, ঘটাই নাই?

আছিয়া ওপর নিচ মাথা ঝাঁকালো, জে।

তাইলে এত শরম কিসের? এত ভয় রাখলে চলত না। টাকা-পয়সাতো কম দিব না তোরে।

জে।

ঢাকায় গিয়া প্রত্যেক কথায় এমনে জে জে করলে কিন্তু হইতো না। কাট কাট উত্তর দেওন লাগব, বুঝলি?

জে।

তোরে রেগুলার মাইর ধইর করত, এইটাও বলবি, ঠিক আছে?

জে।

আর কথায় কথায় জে জে করবি না, মনে থাকব?

জে।

চুন্নু মিয়া কিছু বলতে গিয়েও শেষ পর্যন্ত নিজেকে সামলে নিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে এলেন। আকাশে আবার মেঘ করেছে। বৃষ্টি নামবে। বন্যার পানি আবার বাড়বে। এত দুশ্চিন্তা আর তার ভালো লাগে না। কোনোভাবে বাঁধ ভেঙে গেলে বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ গৃহহীন হবে। তাদের ফসল নষ্ট হবে। এলাকায় রীতিমতো দুর্ভিক্ষ লেগে যাবে। এটা হলে তার নির্বাচনের আশাও শেষ। এই বন্যার দুশ্চিন্তায় তিনি ঘুমাতে পারছেন না।

ছদ্মবেশWhere stories live. Discover now