১. শুভাগমন

760 1 1
                                    

আফরিনের নাম ডাকতেই আফরিন রুমে ঢুকার অনুমতি চাইল সালাম দিয়ে। ভাইবা বোর্ডে তিনজন। বড় এক টেবিলের ওপাশে তিনটি চেয়ারে বসা তিনজন আফরিনের দিকে তাকিয়ে তাকে প্রবেশ করতে বললেন। তিনজনের বয়স গ্যাপ আলাদা বুঝাই যায়। মাঝেবসা ব্যক্তিটির লোলুপ দৃষ্টি আফরিনের উপর। আফরিন বুঝল তা। হাসল মনে মনে। তার আকর্ষিক চেহারা,গড়ন, শরীর যেকোনো পুরুষের নজর কাড়ে সে জানে। তাই মিষ্টি হাসি দিয়ে প্রবেশ করল রুমে। এবার ডানদিকে বসা লোকটা আফরিনের বুকের দিকে তাকিয়ে শুরু করলেন ভাইবা।

কর্পোরেট দুনিয়ায় আফরিনের শুভাগমনটা খুব কঠিন বলে মনে হয়নি ওর। সে জানে তাকে কেন এত কম প্রশ্ন করা হলো। কয়েকটা মুচকি হাসিই তাকে দিয়ে দিলো এত লোভনীয় বেতনের চাকরিটা। আর কে পায় তাকে? সামি? আফরিন বাকা হাসে!

ও এখন নামি-দামি লাইফস্টাইলে পা দিয়ে ফেলল যে! সামি আবার কে এখানে?

.

এপয়েন্টমেন্ট লেটার পেয়ে আফরিন বেশ কেনাকাটা করল। অফিসের রিকুয়ার্মেন্ট অনুযায়ী স্যুট,টপ,প্যান্ট দামি পারফিউম যা যা প্রয়োজনীয় সব। টাকাগুলো অবশ্য সামির। সামির ল্যাপটপ বিক্রির টাকা। মেস থেকে হারিয়ে যেতে পারে বলে এনে রেখেছে তার কাছে।

পরেরদিন যথাসময়ে হাজির হলো অফিসে। আফরিনের নিজস্ব ডেস্ক এখনো পায়নি। আপাতত ওর ডিপার্ট্মেন্টের সিনিয়রের রুমেই ওর কাজ। ফাইলপত্র চেক করা। এই সিনিয়র ছিলেন সেদিন ভাইবা বোর্ডে। নেমপ্লেটে নামের সাথে পদবি ওর সামনে। নাম: রাশেদুল হক।

ভদ্রলোকের বয়স হবে চল্লিশের দিকে। চুলদাড়িতে পাকন ধরলেও যথেষ্ট জোয়ান, বলিষ্ঠ চেহারা। সেদিনের মতো আজও নজর আফরিনের দিকে। বিশেষ করে গলা, বুকে। কিন্তু সেটা আফরিনের অগোচরে। যদিও আফরিন টের পাচ্ছে সবই।

রাশেদুল হক আফরিনকে ৬৯ নাম্বার ফাইলটি আনতে বললেন ড্রয়ার থেকে।

আফরিন যখনই আলমারির নিচের ড্রয়ার খুলে ফাইল বের করতে গেল তখন সে বুঝল এবার ভদ্রলোক নামের সেই ব্যক্তিটি এখন তার পাছার ক্ষেত্রফল মাপছে দুচোখ দিয়ে। আফরিন এনজয় করে এসব। কোনো পুরুষ তাকে দুচোখ দিয়ে গিলে খেতে দেখলে সে ভীষণ আনন্দ পায়।

ইরোটিকা: আফরিন তুমি কার!Where stories live. Discover now