অনুভূতির শুরুতে

146 5 0
                                    

[{(একাদ্বশ শ্রেণির ছাত্র সাফি। তার জীবনের অনেক ঘটনাই ঘটেছে। এর মধ্যে একটি সে অন্যদের কাছে উপস্থাপন করতে চায়। এটা ঘটেছে যখন সে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র।
--১৪/এপ্রিল/২০১৪--
পরীক্ষার পর লম্বা একটা ছুটি কাটিয়ে আবার ফিরে আসলাম আগের কোচিংএ। বন্ধুদের সাথে কথাবার্তা ও বান্ধবীদের সাথে হাই-হ্যালো বিনিময় করে সময়টাকে উপভোগ করছিলাম। এরমাঝে হঠাৎ স্যার এসে পরল ক্লাস নিতে। এই বিষয়টা মোটেই আমার পছন্দের না। তবুও বাধ্য হয়েই ক্লাস করতে হলো। অন্যসময় আমি রানার সাথে বসতাম। কিন্তু আজ সৈকতের কথায় ওর সাথে বসলাম।
--হঠাৎ দ্বিতীয় ক্লাস পর--
সৈকত: আরে বৃষ্টি। তুমি ওর দিকে বারবার তাকাচ্ছ কেন? হ্যা?

ওমন কথায় সকলেই সাড়া দিবে, এটাই হয়। কিন্তু আমার বামে সৈকত ও ডানের সাড়িতে বৃষ্টি বসে আছে। তাই এটা শুধু আমার কানেই এলো।
সাফি: কী বৃষ্টি,তুই কার দিকে তাকিয়েছিলি রে?
সৈকত: আরে, ও তুমাকেই দেখছিল।

কথাটা শুনে হতভম্ব হয়ে গেলাম। এজন্য কথার মোড় পালটাতে হবে ভেবে বললাম--
সাফি: কী মীম,আমার ব্যাপারে তোরা ওকে কী বলেছিস রে?
মীম: কই। আমরা কখন বললাম। ওই তো তোর......

এমন সময় স্যার এসে পরল। এই প্রথম বিষয়টা আমার কাছে ভালো লেগেছিল। কিন্তু পরক্ষণেই স্যার টিফিনের ঘোষণা করল।
কিছু করার নেই,আমার ভাগ্যে এখন বেশিই কিছু আছে। এই ঘটনার পর আমাদের মাঝে বেশি কিছু হলো না। আড্ডা দিচ্ছি এমন সময় বৃষ্টি বলল--
বৃষ্টি: সাফি, একটা কথা বলবো?
সাফি: বলো।
বৃষ্টি: একটা কাজ করে দিবি?
সাফি: আরে বলো তো কি হয়েছে!
বৃষ্টি: একটু ক্যান্ডি এনে দিবি?
সাফি: আচ্ছা, দিচ্ছি।

কী করব। মেয়েরা না দিলে তো কিছু চাওয়া যায় না। তাই ইমন,আমি আর সৈকত দোকানে চলে গেলাম। ওদের আটজনের জন্য আটটা লাভ-ক্যান্ডি কিনতে হলো। কোচিংএ ফিরে এসে দেখি স্যার রাগ করে আছেন,ক্লাসে ঢুকতে দিবেন না আমাদের। কারণ আমরা এরিয়াক্রস করেছি। যদিও অনেক কথা শুনার পর ঢুকতে পারলাম। ক্লাস এখন চুপ,নিরব-নিঃস্তব্ধ। ছুটির পর বৃষ্টি কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল, ওকে সুযোগ না দিয়েই অভদ্রের মতো হাতে ক্যান্ডিগুলো দিয়ে চলে এলাম। এমনটা করা ঠিক হয় নি,কিন্তু রাগের মাঝে আমার বোধশক্তি কমে গিয়েছিল। তাই ওভাবে বাসায় ফিরলাম।

একই অপেক্ষায়Nơi câu chuyện tồn tại. Hãy khám phá bây giờ