Soulmate
Part : 5
Writer: Mahabuba Metu
রেদওয়ান শক্তকরে ধরে রেখেছে হাতটা। মেরিন কাপঁছে। কাছে এনে বসিয়ে বললো
: কি হলো এটা।
: কই কি হলো, হাতটা ছাড়েনতো ব্যাথা লাগছে।
: যদি না ছাড়ি
: মেরিনটা হাতে চিমটি, ঘুষি,কামড়, সব দিলো তাও ছাড়ছেনা হাত। রেদওয়ান হাসছে ওর কান্ড দেখে।
আরো কাছে আসলো ছেলেটা ওর চুলগুলোকে কাধ থেকে সরিয়ে দিলো। স্তব্ধ মিরিন চোখটাকে বন্ধ করে রাখলো। মারিনের কাধে রেদওয়ান ওর মাথাটা রেখে হাতটা ছেড়ে দিলো। আর বললো
: মেরিন I love u...
: মেরিন এখনও চুপ, কথা বলার শক্তি টুকুও নেই উঠে পরবে তো দুরের কথা। রেদওয়ানের প্রতিটা নিশ্বাসের বাতাস মেরিনে ঘারে ধাক্কা খাচ্ছে। ভিতরটাতে কেমন ঝড় শুরু হয়ে গেলো।
: আপনি কি আমায় ভালো বাসেন না মেরিন।
: হুট করে ওর মাথাটা সরিয়ে মেরিন বললো ভালো বাসি।
বলেই উঠে পরলো মেরিন। কাপড় গুছানোয় ব্যাস্ত হয়ে পরলো।:রেদওয়ান বললো দিলেন তো আমায় ঋণী করে।
:মানে কি?
: এই যে সাত সকাল এত্তগুলা ভালোবাসা দিলেন আর আমি কিছুই দিতে পারলাম না আপনায়। আপনি চাইলে ঋণ শোধ দিতে পারি আমি
: মেরিন হাসছে। থাক সকাল সকাল শোধ দিতে হবে না। পরে শোধ করে দিয়েন।বিকাল বেলায় ফ্লাইট মার দেয়া ঐ শাড়িটা পরে রান্না ঘরে গেলো মেরিন নাশতা বানাবে তাই। রুটি ভাজি আর চা বানালো সে। নাশতা বানিয়ে মার ঘরে গেলো। মা বললো কি করছো তুমি মা আমি ভাবছি আজ বাইরে থেকে নাশতা খাবো। ঘরোয়ার খিচুরি। টাকাও দিয়ে রাখছি দারওয়ান ছেলেটাকে। মেরিন বলে মা ফোন দিয়ে না করে দেন এখনই।
সবাই একসাথে নাশতা করলো। মেরিন, রেদওয়ান, মা, বাবা সবাই। নাশতা শেষে সব কিছু চেক করলো কি নিবে না নিবে।বাসা থেকে বের হলো ২ টায়। ৪ টায় ফ্লাইট। ২ জনেই খুব এক্সাইটেড।মধুচন্দ্রিমা বলে কথা। মেরিন একাএকা হাসছে মনে হয় সকালের কথা ভেবে। রেদওয়ান হঠাৎ বলে উঠলো
: বিয়েটা তাহলে করেই ফেললাম আপনাকে।
: কেনো সন্দেহ আছে কোনো
: না তা নেই, তবে বিশ্বাস করতে পারছিনা নাক ভাঙতে চাওয়া ঐ ম্যাডাম আমার বৌ।
: বৌ কথাটা শুনে লজ্জা পায় মেরিন
: আপনার হাতটা ধরলে কি আপনি কিছু মনে করবেন।
কাথাটা শুনে মেরিনই রেদওয়ানের হাতটা চেপে ধরে। সব শক্তি দিয়ে। কাধে মাথাটা রাখে আর ফিসফিস করে বলে I love u too রেদওয়ান।