এবার দুই জন পকেটমারই একসাথে বাস থেকে নামে, সাথে মোটা ছেলেটাও নামে। কিছুক্ষণ পর হাউ-মাউ করে কান্নার শব্দ শোনা যায়, যে ছেলেটার পকেটমার হয়েছে সে কাঁদছে, সাথে সাথে কিছু লোকজন ভীড় জমায়।
এদিকে পকেট মারেরা তাদের আয়ের হিসাব করার জন্য চুরি করা মানি ব্যগ চেক করছে, প্রথম পকেটমার দেখে তার চুরি করা মানি ব্যগে মাত্র ১০ টাকা, তখন গালি দিয়ে বলে- শালা ১০ টাকার জন্য হাউ-মাউ করে কাঁদছে, মনে হচ্ছে ১০ হাজার টাকা হারিয়েছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় পকেটমার চুরি করা মানিব্যগে ৫ হাজার টাকা পেয়ে বেজায় খুশি।
১০ টাকার মানি ব্যগের জন্য ছেলেটির কান্না দেখে প্রথম পকেটমারের মাথায় এবার একটু ভাল হওয়ার ভুত চাপে। সে ছেলেটার কাছে কান্না থামাবে যেয়ে বলে- ভায় দেখেনতো এইটা আপনার মানি ব্যগ কিনা? গাড়িতে পাওয়া গেছে। তখন ছেলেটা ওকে চোর ইঙ্গিত করে বলে এই লোকটাই আমার কাছে দাঁড়ানো ছিল, সে পকেটমার, আমার পকেট সেই মেরেছে। আর এই মানিব্যগটা সে অন্যের পকেট থেকে মেরেছে, তখন সবাই প্রথম পকেটমারের ওপর চড়াও হয়। প্রথম পকেটমার এবার ধরা খেয়ে যায়।
প্রথম পকেটমারের এবার মনে পড়ে আরেটজন পকেটমারতো গাড়িতে উঠেছিল, তখন সে আশেপাশে তাকিয়ে দেখে একটু দুরেই দ্বিতীয় পকেটমার হেঁটে যাচ্ছে, তখন সে পিছন দিক থেকে তাকে ডাকে ভায় দাড়ান, তখন সে আরো জোরে হাটতে থাকে, তখন প্রথম পকেটমার দ্বিতীয় পকেটমারের দিকে ইঙ্গিত দিয়ে বলে- ভায় ওইযে আপনার মানি ব্যগ চোর, তাই বললে কিছু লোক ওর পিছে দৌড়াতে থাকে এক পর্যায়ে দ্বিতীয় পকেটমার ও ধরা পড়ে। এভাবে দুই জন পকেটমারই পাবলিকের হাতে ধরা পড়ে।
YOU ARE READING
পকেটমার
Humorএকজন স্থুলকায় নাদুস নুদুস ছেলে, বয়স ২০ বছর হবে, জিন্স প্যন্ট ও টি-সার্ট পরে কানে হেড-ফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে বাসা থেকে বের হচ্ছে, পিছন থেকে তার মা জোরে বললো বাবা সাবধানে রাস্তায় চলাচল করবি; ছেলেটি বলল ওকে মা; তারপর, গানের তালে মাথা দুলাতে দুলাতে...