কিছুক্ষণের ভিতরে দৃশ্যপটে দুই জন পুলিশ কনস্টেবল চলে আসে। বিষয়- একজনের পকেটমার হয়েছে আর চোর দুই জন। পুলিশ বিস্তারিত জানতে চাই, তখন প্যাঁচ বাধে, কে আসলে ছেলেটার মানিব্যগটা নিয়েছে, প্রতিটি চোরই নিজেকে নিরাপরাধ দাবি করে, পুলিশ ঝামেলাই পড়ে, তাহলে কে ছেলেটার পকেট থেকে মানি ব্যাগটা নিয়েছে।
প্রথম পকেটমার বলে আমি ওর পকেটমারিনি, আমি ১০ টাকাসহ ওর মানি ব্যগটা গাড়িতে কুড়িয়ে পেয়েছি। দ্বিতীয় পকেটমার বলে আমি ওর পকেটেতো হাতই দেয়নি। সে আবার প্রথম পকেটমার ও ছেলেটিকে স্বাক্ষিও মানে। প্রথম পকেটমার বলে হ্যাঁ আমি ১০ টাকাসহ ছেলেটির মানি ব্যাগ কুড়িয়ে পেলে ওতো পকেট মারিনি।
আসল দ্বিতীয় পকেটমারই মূল বিষয়টা জানে। মারের ভয়ে বিষয়টি সেও খুলে বলেনা। পুলিশ সন্দেহ করে আসলে ওর দুইজনই একই দলের সদস্য, সবাইকে ধোকা দেয়ার জন্য নাটক করছে। পুলিশ বলে সত্য কথা বল না হলে হাজতে চালান করে দেব। পাবলিকের মারের ভয়ে জনতার সামনে কেউ স্বিকার করে না।
পুলিশ পকেটমার দুইজনকে হ্যানকাফ পরিয়ে মানি ব্যগ দুইটিসহ থানায় নিয়ে যাচ্ছে, এমন সময় ছেলেটি কাঁদতে থাকে। তখন পুলিশ বলে, ভায়য়া মানি ব্যাগ নিলে থানায় যেতে হবে। আগে প্রমাণ হিসেবে ম্যনি ব্যাগ থানায় জমা দিতে হবে। রিপোরটিং এর পর আপনার মানি ব্যাগ নিয়ে যাবেন।
ছেলেটি বলে আমার মানি ব্যগ আমি নিব, থানায় আবার কেন যাবো।
পুলিশ বলে রিপোর্ট করতে হবে, পকেটমার প্রমাণ করতে হবে না।
ছেলেটি কাঁদতে থাকে সে থানায় না যেয়ে বাসাই চলে আসে।
বাসাই এসে ওর মাকে সব খুলে বললে মা ছেলেকে নিয়ে থানায় যায়।
থানাই গেলে ওসি কনস্টেবল ডাকে তখন তারা বলে স্যার ১০ টাকার পকেটমার ওদের তো থানায় আনলে আপনিই ছেড়ে দিলেন, আর ওরা তো স্বিকার করেছে যে ওরা ১০ টাকাসহ মানিব্যগ চুরি করেছে।
তখন ছেলেটি কেঁদে কেঁদে বলে তার মানি ব্যগে ৫ হাজার টাকা ও আইডি কার্ড ছিল। তখন ওসি বুঝতে পারে যে আসলে কনস্টেবল দুইটা ওর মানি ব্যগটা মেরে দিয়েছে।
তখন ওসি কনস্টেবল দুজনকে ভয় দেখালে ওরা স্বিকার করে এবং ৫ হাজার টাকাসহ ছেলেটির মানি ব্যগ ফেরত দেয়। ছেলেটা মানিব্যগ নিয়ে বাসায় ফিরে যায়। ওসি কনস্টেবল দুজনকে অন্যত্র বদলির সুপারিশ করে।
YOU ARE READING
পকেটমার
Humorএকজন স্থুলকায় নাদুস নুদুস ছেলে, বয়স ২০ বছর হবে, জিন্স প্যন্ট ও টি-সার্ট পরে কানে হেড-ফোন লাগিয়ে গান শুনতে শুনতে বাসা থেকে বের হচ্ছে, পিছন থেকে তার মা জোরে বললো বাবা সাবধানে রাস্তায় চলাচল করবি; ছেলেটি বলল ওকে মা; তারপর, গানের তালে মাথা দুলাতে দুলাতে...