মায়ের বাড়ি এসে মৃত্তিকার কিছুই ভাল লাগছে না। সবকিছু যেন কেমন পাল্টে গেছে। কী করবে,কোথায় যাবে ভেবে পেল না। হঠাৎ ওর মনে হল সমস্ত বাড়ি অার গ্রামে কেউ নেই। ওর খুব ইচ্ছে করছে অভির কাছে চলে যেতে। কাল রাতেই এই ইচ্ছে কোথায় যে ছিল!!
তার নিজের সেই বিছানাকে অার অাপন মনে হল না। তার মনের সবটুকুই অভির স্মৃতি দখল করে রইল। অার ছটফট করতে লাগল।মৃত্তিকা মাকে বলল, "অামাকে তুই শশুড়বাড়ি রেখে অায়। "
শশুড়ির পায়ে গিয়ে সালাম করল ও।শাশুড়ি ওকে বুকে জড়িয়ে ধরল। এ মৃত্তিকা অাগের মৃত্তিকা নয়। তিনি ভেবেছিলেন, মৃত্তিকাকে অাগাগোড়া সংশোধন করবেন। অদৃশ্য এক সংশোধনকর্তা নিমিষেই তা করে দিলেন।মৃত্তিকা লজ্জা ভেঙ্গে সাহস করে বলল,"অভির কাছে যাব। "
শাশুড়ি মুচকি হাসলেন। পরদিন দুজন অভিকে না জানিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন। সেখানে গিয়ে তার ভাইয়ের বাসায় উঠলেন। অভির বাসার চাবির ডুপ্লিকেট তার কাছে অাছে।সেটা নিয়েই অভির বাসায় গেলেন। রাতে অভি এসে মাকে দেখে রীতীমত চমকে উঠল।"মা তুমি? "
"হুম, অামি। "
মৃত্তিকার কথা অভি জিজ্ঞেস করতে চেয়েও করল না। মান - অভিমান দুলছে এখনো অার মা মৃত্তিকাকে বিশেষ পছন্দও করেনা।
খাবার খেয়ে ও ওর রুমে ঘুমুতে গেল। রুমের সামনে যেতেই ইলেকট্রিসিটি চলে গেল। রুমে ঢুকতেই একটা সুকোমল হাত ওকে কঠিন বাধনে বেধে পুষ্পের মত একজোড়া ঠোট ওর ঠোটে সুগভীর চুম্বন একে দিল। অভি প্রথমে চমকে উঠলেও ঠোটের মালিককে চিনতে অসুবিধা হল না। ওকে ভাববার সুযোগ না দিয়ে দস্যুর মত ওকে অাক্রমন করল মৃত্তিকা। সকল পাওনা চুম্বন অার সোহাগ কড়ায় গন্ডায় মিটেয়ে দিয়ে তবেই শান্ত হল একজোড়া অাদিম দেহযুগল।
