উনি একবার সাঁধ করলেন, উনি নাচ শেখবেন।নাচের টিচার রাখা হলো, ঘুঙুর বানানো হলো, বাড়ির সবথেকে বড় রুমটা খালি করে তাতে মিউজিক সিস্টেম বসানো হলো। এক সপ্তাহ পর, উনি এসে বললেন, নাচ ক্যানসেল, নাচ শেখবেন না। নাচতে গেলে উনার একটু পর পর ক্ষুধা পায়, চিকেন ফ্রাই'র ক্ষুধা!
নাচ গেলো। এবার গান শেখবেন, শিখতেই হবে, মিডিয়ায় নাম কামানো বলে কথা! গানের টিচার এলো, হারমোনিয়াম এলো, তবলা এলো... বাড়ির বারান্দায় সুন্দর ডিভান পাতানো হলো, দোলনা বসানো হলো। তিনি সকালের রোদে ডিভানে অাধশোয়া হয়ে গলা সাঁধবেন, দোলনায় দোল খেতে খেতে রবীন্দ্রনাথ গাইবেন! দুসপ্তাহ পর উনি জানালেন গান করতে গেলে, গলায় গ্ল্যামার অানতে গিয়ে উনার চেহারার গ্ল্যামার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বসে বসে গান করে মোটা হয়ে যাচ্ছেন তিনি!
এবার গান বাদ হলো!কিন্তু নাম তো করতেই হবে, কি করা যায়?
উনি খেলায় মনোযোগী হলেন। ভলিবল দিয়ে নাম কামানো সহজ! ভলিবল কেনা হলো, বাড়ির উঠোনে জমিয়ে প্রাকটিস হলো।কিন্তু টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে তিনি হাত-পা থেতলে খুবলে এলেন।
হাই জাম্প, লং জাম্প, দড়ি লাফ, দৌড়, সাঁতার সব চেষ্টা হলো। সবকিছুতেই তিনি ইনজুরড হয়ে ফিরে অাসেন।
জন্মের মত খেলা বাদ!এবার তাহলে সেইফ জোনে থেকে কি দিয়ে নাম করা যায়?? সাইক্লিং। সাইকেল কেনা হলো, পাড়ার ছেলেদের সঙ্গে দলবেঁধে রাস্তায় চালানো ও হলো.. কিন্তু ফিল পাওয়া গেলোনা।
অানন্দ পাওয়া গেলো না!তাহলে নাম করা??
?সিদ্ধান্ত হলো এবার নায়িকা হবেন তিনি , নখ বড় রাখা হলো, চুল কালার করা হলো, ভ্রু প্লাক করা হলো...... ভালো ভালো ফটোশ্যূট করা হলো। একমাস পর তিনি জানালেন অভিনয় তাঁর পক্ষে অসম্ভব!
অার চিকুন -চাকুন থাকার জন্য তিনি তাঁর প্রিয় খাবার -দাবারগুলো ছাড়তে পারবেন না!কিন্তু এদিকে নাম তো করতেই হবে। সুতরাং সিদ্ধান্ত হলো,
তিনি পর্দার পেছন থেকে কাজ করবেন।নায়ক নায়িকাকে দিয়ে অভিনয় করাবেন। এই সিদ্ধান্তই বহাল অাছে এখনো...
নিজের জেদ ও ইচ্ছেতে পিওর সায়েন্সের ছাত্রী হয়েও ভর্তি হলেন ফিল্ম এন্ড টেলিভিশনে.....এখন দেখা যাক; নাম হয় কিনা???
তবে অামার কাছে তিনি খুব নামী!কারণ তাঁর জীবনে তিনি ইচ্ছের রাজা বলে।
এতক্ষণ যার কথা বললাম, তিনি অামার গল্পের এডিটর।
Numa Afrin Labonno অাগামীকাল তাঁর জন্মদিন।
দোয়া করি হাজার জন্মদিন বেঁচে থেকে নাম করো!
পৃথিবীর সবথেকে বেশি জন্মদিন যেনো তুমি সেলিব্রেট করতে পারো।শুভ জন্মদিন।...