৩য়

296 15 7
                                    

তারপর আজকে শুভ্র এবং তার পরিবার এখানে। একটু পর ইশতিকে আনা হলো। জীবনের প্রথম ইশতিকে দেখছে শুভ্র। আহামরি সুন্দর না হলেও ইশতির মায়াবী মুখের দিকে তাকিয়ে কাটিয়ে দেয়া যাবে জীবনের শেষ বসন্তটাও। ইশতি আর শুভ্রকে আলাদা ঘরে নিয়ে যাওয়া হলো যাতে ওরা একে অপরের সাথে কথা বলতে পারে।  সাথে আছে ইশতির ছোট ভাই নাফি। নাফি দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ে। নাফি শুভ্রের ফোনে গেম খেলতে ব্যস্ত। আর এদিকে ইশতি আর শুভ্র চুপচাপ বসে আছে। নীরবতা ভেঙে শুভ্র বলল---

--- কেমন আছো?

--- আলহামদুলিল্লাহ। তুমি?

--- আলহামদুলিল্লাহ।

--- শুভ্র, তোমাকে আমার ব্যাপারে একটা অপ্রিয় সত্য জানাব। জানি না তুমি কিভাবে নিবে এটা।

--- হুম বলো।

ইশতি শুভ্রকে রেখে পাশের ঘরে গেল। কিছুক্ষণ পরেই ফিরে এল ইশতি। শুভ্র ইশতির চোখের দিকে তাকাতেই দেখল। চোখদুটোর আইরিশ আগের মতো নীল নয়। সাধারণ মানুষের মতোই কালো আইরিশ। তবুও তার চোখে সম্মোহনীয় ব্যপারটা কমে নি। কিন্তু তার বাম চোখের মণির জায়গায় কেবলই শুভ্রতা। ইশতি শুভ্রকে বলল, " শুভ্র, আমার বাম চোখের দৃষ্টি শক্তি নেই। কলেজে পড়ার সময় এক বাস অ্যাক্সিডেন্টে আমি আমার চোখে আঘাত পাই। এরপর থেকে আমি কৃত্রিম লেন্স ব্যাবহার করি চোখে।

শুভ্র অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ইশতির দিকে। ইশতির চোখে মুখে অকৃত্রিম ভালোবাসার আবেশ। শুভ্র ভালবাসা খুঁজে পায় তার চোখের তারায়....

[সমাপ্ত ]

চোখের তারায় [Completed√]Where stories live. Discover now