২য়

298 16 0
                                    

ক্লাসরুমে বসে আছে শুভ্র।  বোরখা সাথে নেকাব পড়া একটা মেয়ে ক্লাসে ঢুকলো। শুভ্রের চোখটা আটকে গেল মেয়েটার চোখের উপর। কারো চোখ এতো সুন্দর হতে পারে জানা ছিল না শুভ্রের। স্বর্গের সমস্ত সৌন্দর্য যেনো নেমে এসেছে তার চোখ জোড়ায়। চোখ দুটো আরো বেশি সম্মোহনীয় হয়ে উঠেছে কারন মেয়েটির চোখের আইরিশগুলো নীল। শুভ্র ভাবছে বাংলাদেশের মানুষের আইরিশ তো নীল হয় না। তাহলে হয়তো মেয়েটি লেন্স ব্যবহার করে। মেয়েটি শুভ্রের কাছে এসে বলল, " আমি ইশতি।

--- কেমন আছো ইশতি?

--- এইতো আলহামদুলিল্লাহ । তুমি কেমন আছো?

--- আলহামদুলিল্লাহ।

এভাবেই প্রথম পরিচয় হয়েছিল শুভ্র এবং ইশতির। দেখতে দেখতে ভার্সিটি লাইফ প্রায় শেষ। মাস্টার্সের এক্সাম চলে এসেছে। কিন্তু আজ অবধি শুভ্র ইশতিকে দেখে নি কারন ইশতি কখনো নেকাব ছাড়া ইউনিভার্সিটিতে আসে নি। ধার্মিক Family Belong করে বলে হয়তো। শুভ্রের সাথে ইশতির সম্পর্কটা এ্যাতো বছরেও গভীর হয় নি। দেখা হলে কেমন আছো এই পর্যন্ত। মাঝেমধ্যে শুভ্র বাড়ি ফেরার সময় দেখতো ইশতি বাসার ছাদে ফুল গাছগুলোতে পানি দিচ্ছে। বরাবরের মতো মুখটা ওড়না দিয়ে ঢাকা। মাঝে মাঝে শুভ্রে সাথে চোখাচোখি হতো। শুভ্র হারিয়ে যেত ইশতির নীল চোখজোড়ায়। মাস্টার্স পরীক্ষটাও শেষ হয়ে গেল। ইশতি আর শুভ্র একসাথে বাড়ি ফিরছে। তবে দুজনের মধ্যে কেবলই নীরতা। ইশতির চোখের কোনে অশ্রু জমেছে। ভাবছে শুভ্রের সাথে হয়তো আর দেখা হবে না। কখন যে ইশতি শুভ্রকে ভালোবেসে ফেলেছে বুঝতেই পারে নি। আর এদিকে শুভ্রেরও একই অবস্থা। নীরবতা ভেঙে শুভ্র কথা বলল....
----ইশতি তোমাকে একটা কথা বলার ছিল। কি করে বলব বুঝতে পারছি না। কিছু মনে করবে না তো??
---- না শুভ্র। তুমি বলো।
---- Will you marry me??

ইশতি কোন কথা বলছে না। শুভ্র ভাবছে ইশতি কি আমার কথায় রাগ করল। কেউ কোন কথা বলছে না শুধুই হেটে চলেছে। ইশতি বাড়ির সামনে এসে পরেছে।

--- ইশতি তোমার উত্তর টা??

--- শুভ্রের দিকে ইশতি মায়াবী চাহনীতে তাকাল। ইশতির চোখের ভাষা বুঝতে পেরেছে শুভ্র।

চোখের তারায় [Completed√]Donde viven las historias. Descúbrelo ahora