রিয়া বেশ কিছু সময় ধরে শুভ্রর বাড়ির গেটের সামনে দাড়িয়ে আছে। শহরের পশ এলাকায় আলিসান এক বাড়ি। গেটের দারোয়ান ওকে ঢুকতে দেয়নি। এমন কি
শুভ্রর নম্বর দেয়া তো দূরের কথা, ওনাকে ফোন পর্যন্ত দিতে নারাজ এই দারোয়ান। প্রায় আধ ঘণ্টা পর গেটের সামনে একটা বিদেশী গাড়ি এসে হর্ন
বাজাতেই, রিয়া গাড়ির কাছে এগিয়ে গেলো কিন্তু তার আগেই গেট খুলে গেলো আর গাড়ি টা ভিতরে ঢুকে গেলো।
রিয়া গাড়ির পিছনে পিছনে ছুটে ভিতরে গেলো।
কিন্তু দারোয়ান বাধা দিলো। ততোক্ষণে শুভ্র গাড়ি থেকে নেমেছে। রিয়াও চিৎকার করে বলল, স্যার আমি এসেছি।
শুভ্র হাতের ইশারায় দারোয়ান কে রিয়া কে ভিতরে আসতে দিতে বলল।
রিয়া শুভ্রর কাছে যেতেই ও বলল, স্যরি আমার মনে ছিলো না। আসুন।
রিয়া শুভ্রর পিছনে পিছনে আলিসান এই ডুপ্লেক্স বাড়ির বসার ঘরে আসলো।
শুভ্র রিয়াকে বসতে বলে সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় চলে গেলো। রিয়া বসে রইলো। একটু পরই শুভ্র নেমে এলো। ওর পিছনে পিছনে নেভি ব্লু রঙের স্যুট
আর প্যান্ট পরা সুন্দরী এক মহিলা নেমে এলো। বয়স ত্রিশের মতো হবে। যার কোলে সাদা একটি আমেরিকান এস্কিমো কুকুর।
শুভ্র সাদা পাঞ্জাবী পাজামা পরে এসেছে। আর ওকে এখন রীতিমতো দেবদূত মনে হচ্ছে।
শুভ্র এসে একটি সিঙ্গেল সোফায় বসলো। আর সেই মহিলা পাশে এসে দাঁড়িয়ে কুকুর টা নিচে নামিয়ে দিলো। আর ওটা শুভ্রের পায়ের কাছে এসে
লাফালাফি করতে লাগলো কোলে ওঠার জন্য। কুকুর টা নিচে নামাতেই রিয়ার চোখে পড়লো মহিলার বুকে একটা নেম প্লেট, যেটাতে লিখা ঈশিতা।
শুভ্র বসেই বলতে লাগলো কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছি না। আর আপনি ব্যাপার টা কিভাবে নিবেন সেটা বুঝতে পারছিনা।
রিয়া একটু অবাক হলো, যে মানুষ হুট করে শরীর দেখানোর কথা বলতে পারে সে আবার কি নিয়ে দ্বিধা করতে পারে??? কি বলতে চায় এই
লোক??? রিয়ার তর সইছিলো না। তাই ও বলল, আপনি বলু্ন।
শুভ্র কুকুরটা কোলে নিয়ে বলতে শুরু করলো, আগে আপনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেই ও হচ্ছে রোমিও। আমার আর আমার স্ত্রীর কাছে ও সন্তান
তুল্য। আর ও হচ্ছে ঈশিতা। এই বাড়ির কেয়ার টেকার। অন্য সকল চাকর বাকরদের মতো অরা দুজনেই খুব বিশ্বাসী। আপনি জানেন কিনা জানি না,
আমি আর আমার স্ত্রী দুজনেই বিদেশে পড়াশুনা করেছি। বিয়েও করেছি প্রেম করে। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার হল, আমাদের কোন সন্তান নেই। আর হবেও
না মনে হয়। তাই আমরা দুজনেই ঠিক করেছি আমাদের জীবনের সকল সখ আমরা পূরণ করবো। আর আমাদের অন্যতম একটা সখ, যেটা পশ্চিমা
উন্নত দেশের মানুষের মধ্যে দেখা যায়। যেটা আমাদের দেশে দেখা যায় না। বলতে পারেন আমিই প্রথম এটা করতে চাইছি।এর পর শুভ্র যা বলল, সেটা রিয়ার কাছে পাগলের প্রলাপ ছাড়া কিছু মনে হলো না। কিন্তু আর উপায় না দেখে রিয়া অশ্রু ভেজা চোখে বলল, আমি
রাজি।
YOU ARE READING
হিউম্যান ডগি
Mystery / Thrillerএকটি পশ্চিমা গল্পের ভাবানুবাদ ও দেশীয়করন। এই গল্প কিন্তু সবার জন্য নয়,।