আজকে ছুটির দিন। তাই শুভ্র সারা দিন বাসায় থাকবে। আর রিয়াকে অনেক কিছু শিখাবে। ঈশিতা রিয়াকে নিয়ে দোতলায় শুভ্রর রুমের দরজার
সামনে এসে বলল, এবার ঠিক কুকুরের মতো চার পা হয়ে ডাকতে থাকো যতক্ষণ পর্যন্ত তোমার মনিব না জাগে।
রিতা একটু ইতস্তত করছিলো। তখন ঈশিতা বলল, আরে এতো কিভাবছো??? স্যার খুব ভালো মানুষ। তুমি খুব ভাগ্যবতী।
রিয়া তখন তাই করলো। প্রথমে খুব আস্তে আস্তে পরে জোরে জোরে কুকুরের মতো করে ডাকতে লাগলো। ঈশিতা তখন বলল, রোমিও কাল যেমন
করেছিলো, স্যার দরজা খুললে তুমিও ঠিক তেমন ভাবে স্যারের পায়ে চুমু খেতে থাকবে।
রিয়া মাথা নাড়লো। আর একটু পর শুভ্র দরজা খুলতেই রিয়া ঠিক রোমিওর মতো ব্যাকুলতা দেখিয়ে শুভ্রর পায়ে চুমু খেতে লাগলো।
শুভ্র রিয়ার দিকে না তাকিয়ে ঈশিতা কে বলল, গুড জব ইশি।
ঈশিতা বলল, থ্যাঙ্কস স্যার।
তারপর শুভ্র বলল, যাও রোমিও কে আর ওর জিনিষ পত্র নিয়ে আসো।
ঈশিতা ইয়েস স্যার বলে চলে গেলো।
রিয়া চুমু খাওয়া বন্ধ করেনি। কিন্তু ওর খুব রাগ হচ্ছিলো। কারন ওর সাথে কোন কথা বলল না। বরং ঈশিতা কে গুড জব বলল।
ঈশিতা যেতেই শুভ্র রিয়া কে বলল, গুড মর্নিং বিচ, তোমার সব ব্যাবস্থা পছন্দ হয়েছে???
রিয়া চুমু থামিয়ে মুখ উপরে তুলে মাথা নারলো। শুভ্র তখন ওর বেডের পাশে রাখা চামড়ায় মোড়া গদিতে পায়ের উপর পা তুলে বসলো। রিয়াও ওকে
অনুসরন করলো।
শুভ্র তখন বলল, তোমাকে এভাবে দেখবো সেটা ভাবিনি।
রিয়া অবাক হয়ে শুভ্রর মুখের দিকে তাকালো।
শুভ্র বলল, বুঝতে পারোনি???!!! আরে বোকা আমি আমার এতো সাধের কুকুর টা কে এখনো তো দেখলামই না।
রিয়া বুঝতে পারলো। আর বলল, স্যরি স্যার।
শুভ্র বলে উঠলো, নট স্যার।
রিয়ার মনে পড়লো কালকে শুভ্র কি বলেছিলো। ও আবার বলল, স্যরি মাস্টার। ঈশিতা ম্যাম বলেনি তো তাই………
শুভ্র বলল, ইশি বলবে কেন??? তোমাকে যখন ডাকতে বলেছে তখনি তোমার সব ঠিক করে ফেলা উচিত ছিল। ওকে শুরু করো।
রিয়া লজ্জায় লাল হয়ে গেলো। আর উঠে দাঁড়ালো।
শুভ্র তখন বলল, এতো লজ্জা পেলে চলবে??? এখন থেকে তোমাকে ভুলে যেতে হবে তুমি একটা মানুষ। তুমি শুধু এটাই মনে রাখবে তুমি আমার পেট
বিচ। আর সব সময় আমার সামনে হাসি মুখে থাকতে হবে।আমার আদেশ মানা আর আমাকে খুশী করাই হবে তোমার জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য।
তোমার সব কিছু আমার সামনে জলাঞ্জলি দিতে হবে। তুমি যত বেশি আনুগত্য দেখাবে আমি তোমাকে তত বেশি ভালো রাখবো। আর তুমি তোমার
কাজের মডেল হিসেবে রোমিও কে দেখতে পারো। আমি চাইনা তোমাকে দিয়ে জোর করে নিয়ম শিখাতে। আশা করি বুঝেছো।
রিয়া মাথা নেড়ে আস্তে আস্তে নিজের সব পোশাক খুলতে লাগলো। ওর আজ থেকে সপ্তাহে শুধু মাত্র ছয় ঘণ্টা ছাড়া বাকি পুরো সময় টা বিনা বস্ত্র
পরিধানে থাকতে হবে।
রিতা সব পোশাক খুলে লজ্জায় লাল হয়ে, বুকে দুই হাত জড়ো করে দাঁড়িয়ে রইলো। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে রেখেছে। কিন্তু বিরক্ত হলো এই
কারণে যখন দেখলো শুভ্র একটা ম্যাগাজিন পরছে।
রিয়া তখন বলল, খুলেছি।
শুভ্র তখন মুখ না তুলেই বলল, তোমার ভাব দেখে মনে হচ্ছে আমি জোর করে তোমার বস্ত্র হরণ করেছি। আমি তখনই তোমার দিকে তাকাবো, যখন
বুঝবো তুমি স্বেছায় সব কিছু করছো। তোমার আচরনে সেই ভাব দেখলেই কেবল আমি তোমার দিকে তাকাবো। আর আমি যদি তোমাকে ভালো করে
দেখতেই না পারি, তাহলে তোমার যত্ন কিভাবে নিবো??? আশা করি তুমি সব সময় এটাই চাইবে, আমি তোমাকে অনেক যত্ন করি। আর এর জন্য
তোমাকে সব সময় এমন কিছু করতে হবে যেন আমি তোমার উপর মনোযোগ দেই।
YOU ARE READING
হিউম্যান ডগি
Mystery / Thrillerএকটি পশ্চিমা গল্পের ভাবানুবাদ ও দেশীয়করন। এই গল্প কিন্তু সবার জন্য নয়,।