পরদিন সকালে রিয়া তার বাবার অফিসের মালিক শুভ্র সাহেবের সাথে দেখা করতে গেলো। বছর খানেক হয়েছে বাবার মৃত্যুর পর উনি এই
প্রতিষ্ঠানের দ্বায়িত্ব নিয়েছেন। রিয়া ওর বাবার কাছে শুনেছে উনার বয়স খুব কম। আমেরিকা থেকে নাকি উনি পড়াশুনা করে এসেছেন। এমন কি
বিয়েও নাকি করেছে ওনার ইউনিভার্সিটির এক বাঙ্গালি জুনিয়র মেয়েকে। আর সেই মেয়ের বাবারও নাকি অগাধ টাকা পয়সা।
রিয়া ওনার রুমে ঢুকলে একবার ওর দিকে তাকিয়ে হাতের ইশারায় রুমের এক পাশে রাখা সোফা দেখিয়ে বলল, বসুন। তারপর আবার ল্যাপটপে
নিজের কাজে মন দিলেন। রিয়া দেখলো উনি যথেষ্ট সুদর্শন আর খুব মার্জিতই মনে হচ্ছে। আর একটা ব্যাপারে খুব অবাকই হলো, এই লোক ওর দিকে
দৃষ্টি কেবল মাত্র একবারই দিয়েছে।
রিয়া বসে রইলো চুপচাপ। প্রায় দশ মিনিট পর উনি উঠে এসে রিয়া যে সোফায় বসেছে সেটার অন্য পাশে বসতে বসতে বলল, আমি শুনেছি আপনার
বাবার কথা। আর খুব দুঃখও পেয়েছি। কিন্তু খুব দুঃখের ব্যাপার হলো, আপনার বাবা তো একলা আমার কর্মচারি নয়। আর একজনের চিকিৎসার
খরচ বহন করা মানে সবার জন্যই করতে হবে। আর সেটা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি সর্বোচ্চ এটা করতে পারি, আপনার বাবার স্থানে আপনাকে
নিয়োগ দিতে পারি। আর কিছু টাকা আপনাকে অগ্রীম দিতে পারি। যা আপনাকে আস্তে আস্তে শোধ করে দিতে হবে।
রিয়া উপায় না দেখে কেঁদেই দিলো। আর দুই হাত জোর করে বলতে লাগলো, প্লিজ স্যার, আমার বাবা ছাড়া আমার আর কেউ নেই। একটু দয়া
করুন। আমি যে করেই হোক আপনার সব টাকা শোধ করে দিব।
শুভ্র বলল, দেখুন যতদূর জানি আপনি শিক্ষিত, কাজেই আপনার খুব ভালো করেই বুঝতে পারার কথা, আমি কোন নিয়মের বাইরে যেতে পারবো না।
আর আপনি সারা জীবন চাকুরী করেও এতো টাকা শোধ করতে পারবেন না। কাজেই ভালো হয় আমাকে আর কোন লজ্জা না দিলে।
রিয়া তার শেষ অবলম্বন কোন ভাবেই নস্যাৎ হতে দিতে চাইছে না। তাই সকল লজ্জা ধুয়ে মুছে শুভ্রর দুই পা জরিয়ে ধরলো। আর বলতে লাগলো,
প্লিজ স্যার আমার কথা একটু শুনুন। স্যার আমি আমার বাবার জীবনের জন্য করতে পারিনা এমন কিছু নেই। আপনি আমাকে সাহায্য যদি নাও
করতে পারেন, তাহলে এমন কোন রাস্তা বলে দিন যেন আমি এই টাকা টা পেতে পারি।
শুভ্র অনেকটা চমকে উঠেছে হটাৎ করে রিয়া এভাবে পায়ে ধরাতে। সে নিজেকে সামাল দিয়ে, আরে একি করছেন??? এই বলে রিতাকে ধরে তুলে
সোফায় বসিয়ে দিলো। তারপর বলল, কিসব বলছেন আবোল তাবোল। আপনার বাবা যে সেরে উঠবের সেটার কোন গ্যারান্টি নেই। কাজেই মনকে
শক্ত করুন।
রিয়া বলল, আমি সেটা জানি। কিন্তু আমি শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করতে চাই।
শুভ্র একটু ভেবে বলল, তাহলে আমাকে বলুন, সব বলতে আপনি কি বোঝাতে চান??? যদি বলি আপনাকে আপনার দেহ মানুষের কাছে প্রদর্শন
করতে আপনি পারবেন???
রিয়া না ভেবেই বলে দিলো, হ্যাঁ। কারন আগের দিন রাতেই সে ভেবে রেখেছে, দরকারে সে নিজের যৌবন বিলিয়ে দিতেও দ্বিধা করবে না।
শুভ্র বলল, বাহ। ওকে আপনি তাহলে আজ বিকেলে আমার বাড়িতে চলে আসুন। আপনার সাথে এই ব্যাপারে কথা বলবো। তবে আপনাকে এটা বলে
দিচ্ছি আপনাকে বেশ্যা হতে হবে না। আর এই ব্যাপারে অফিসের কারো সাথে এ নিয়ে আলাপ-আলোচনা করার দরকার নেই।
YOU ARE READING
হিউম্যান ডগি
Mystery / Thrillerএকটি পশ্চিমা গল্পের ভাবানুবাদ ও দেশীয়করন। এই গল্প কিন্তু সবার জন্য নয়,।