ঘড়িতে রাত ১২ টা বাজার ঢং ঢং শব্দ হলো। চিত্রার যেন রাজ্যের ঘুম চলে এসেছে। বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই ঘুমিয়ে পড়লো। কতোক্ষণ ঘুমিয়েছে বুঝতে পারছে না। হঠাৎ ই ঘুম ভেঙে গেলো। চোখ মেলতেই ঘরের দরজার পর্দায় চোখ আটকে গেলো চিত্রার। মনে হলো পর্দাটা যেন আস্তে আস্তে সরে যাচ্ছে। পরক্ষণেই দেখতে পেলো একটা আবছা ছায়া মূর্তি ঘরে ভেতর প্রবেশ করছে। মুখের অবয়ব কোন কিছুই বুঝা যাচ্ছে না। ছায়াটা একটু একটু করে এদিকেই এগিয়ে আসছে। চিত্রা চিৎকার করার চেষ্টা করছে কিন্তু কোন আওয়াজ বের হচ্ছে না। যেন কোন এক অশরীরীর আলৌকিক শক্তি তাকে জড়িয়ে রেখেছে। শ্বাস নিতে রীতিমতো কষ্টো হচ্ছে। একবার মনে হলো ও কি মারা যাচ্ছে? এজন্যই হয়তো ওর ঘরে উপস্থিত হয়েছে স্বর্গীয় মৃত্যু দূত। হঠাৎ সারা শরীরে যেন শিহরণ খেলে গেল। বেড সুইচটা জ্বালতেই দ্যাখে জুবায়ের দাড়িয়ে। অনেকটা যান্ত্রিক মানবের মতো স্থির দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে চিত্রার দিকে।যেন এক অজনা সম্মোহনে সম্মোহিত। চিত্রা বিছানা থেকে উঠে জুবায়েরকে ধাক্কা দিতেই। যেন চেতনা ফিরে পেল। জুবায়ের বিষ্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে চিত্রার দিকে। ভাবছে, সে এখানে কি করে এলো?
আর চিত্রার মনে খেলা করছে ব্যাপারটা কি হলো?একটু ঘোর কাটতেই চিত্রা বুঝতে পারলো, জুবায়েরের স্লিপিং ওয়াক হচ্ছিলো। জুবায়েরও ব্যাপারটা বুঝতে পারল। ক্রমাগত চিত্রার জন্য টেনশন এবং মানসিক স্ট্রেস থেকেই এই নতুন সমস্যার উৎপত্তি।
চিত্রা জুবায়েরকে জিজ্ঞেস করলো তুমি কি এ ঘরে ভাঙা কাচের আসবাব দেখেছিলে।
-- হুম দেখেছিলাম তো। আমি ভেবেছি তুমি রাতে হয়তো কোন কাজে এখানে এসেছিলে আর ভুল বসতো ভেঙে ফেলেছো। তাই তোমাকে কিছু না বলে সব পরিষ্কার করে রেখেছিলাম।
এবার পুরো ব্যাপারটা দুজনের কাছেই বেশ পরিষ্কার। কেউ কোন কথা বলছে না। শুধু বোকা বোকা দৃষ্টি নিয়ে দুজন দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে...
আমাদের গল্প এখানেই শেষ। তবে ইচ্ছে করলে প্রিয় পাঠক,
এই গল্পের শেষ দৃশ্য একটুখানি কল্পনা করে খানিকক্ষণ হেঁসে নিতে পারেন..
হিহি 😆😅[ সমাপ্ত ]
YOU ARE READING
এইসব দিনরাত্রি
Mystery / Thrillerসরলরেখায় চলছে তাদের জীবন,আমি আঁকিবুকি কাটছি।প্রতি নিঃশ্বাসে তাদের ভালোবাসা মিশেছে শহুরে যান্ত্রিকতায় । তাদের ক্লান্ত চোখ দেখছে, রাতের শহর ঝাপসা কাঁচে....