গল্প-৩ঃ ইঁদুর দৌড়

30 7 0
                                    

-আরে, জাকির না?

Ops! Esta imagem não segue nossas diretrizes de conteúdo. Para continuar a publicação, tente removê-la ou carregar outra.

-আরে, জাকির না?

হেডফোনটা মাত্র কান থেকে সরিয়েছি, শুনতে পেলাম কেউ নাম ধরে ডাকছে। তাকিয়ে দেখি রাশিক, ছোটবেলার বন্ধু।

-আরে, রাশিক মামা নাকি?

-কি খবর দোস্ত? রাশিক দৌড়ে এসে জড়িয়ে ধরল।

-আলহামদুলিল্লাহ, ভাল আছি। তোর কি খবর?

-এইতো, চলে যাচ্ছে। দেশে এসছিস কবে?

-এইতো, একুশ তারিখে।

-পাঁচদিন হয়ে গেল, কোন খবর দেয়ার প্রয়োজনবোধ করলি না?

-আসলে দোস্ত, প্ল্যানড ছুটি না। আব্বা হঠাত অসুস্থা হয়ে পড়ল, হসপিটালাইজ করা লাগল, আম্মা প্রতিদিন ফোনে কান্নাকাটি করে, না এসে আর পারলাম না।

-আংকেল হাসপাতালে? বলিস কি? জানি না তো।

-অথচ এই তুই একসময় প্রতিদিন আমাদের বাসায় আসতি।

-খোঁচা দিয়ে লাভ কি বল? এখন সবাই নিজের জীবন নিয়েই ব্যস্ত। তোর ভাইটাও অসামাজিক। বিপদ আপদে আমাদের মনে করলে আমারাও কিছু করতে পারি।

-সাকি একটু অন্যরকম। ছোটকাল থেকেইতো দেখছিস।

-তা দেখছি। সাকিকে আর দোষ দিয়ে কি হবে বল? গত দশ বছরে ফেসবুকে লাইক দেয়া ছাড়া তুই নিজে কোন সামাজিকতা পালন করেছিস?

-বাব্বা, সাকিকে ছেড়ে এখন আমার আমলনামা নিয়ে পড়েছিস? আমি আবার খোঁচাই।

-বাদ দে। ভাবীর খবর কি?দেশে নিয়ে আসছিস? রাশিক জানতে চায়।

-ওর অফিস থেকে ছুটি পাওয়া গেল না। তাছাড়া বাচ্চাদের স্কুলও খোলা।

-ওহ।

হঠাত দুজনেই চুপ হয়ে যাই। নীরবে পাশাপাশি হাটতে থাকি।

ছোটগল্প সমগ্রOnde histórias criam vida. Descubra agora