পর্ব ০৪

166 6 2
                                    

মিন্মি স্তব্ধ, হতবাক, কিন্তু পরমুহূর্তেই মিস্টি একটি হাসি দিয়ে বলল, "বুঝলাম আপনিও আপনার বাবা মায়ের চাপে পড়ে আমায় বিয়ে করেছেন। কিন্তু একটা কথা বুঝলাম না, আপনি তো.."
কথার মাঝে আদ্রিক মিন্মিকে থামিয়ে বলে উঠলো, "দেখুন আপনাকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছি তার মানে এই নয় যে আপনার সব প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি বাধ্য। Now I want to divorce you. মা-বাবা আমায় বিয়ে করতে বলেছেন শুধু, কিন্তু এটা কখনো বলে নি যে আমি আপনাকে ডিভোর্স দিতে পারবো না। তাই না ? So you better be ready. " এই বলে আদ্রিক বের হয়ে গেল।

মিন্মি নিজের কানকে বিশ্বাস করতে পারছে না। কি হচ্ছে তার সাথে এসব। ওদিকে ছেলের বাড়ির লোক গো ধরেছে কনে নিয়ে তবেই তারা বাড়ি ফিরবে। আর কনে পক্ষ কিছুতেই আজ মেয়েকে বিদায় দিবে না।

পাড়াপড়শি, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব কাউকে ঘটা করে দাওয়াত দিয়ে না জানিয়েই মেয়েকে কি করে বিদায় দিবে কনের বাবা-মা। মিন্মির বাবা ছেলে পক্ষকে বার বার বুঝাচ্ছে, কিন্তু কোনো লাভ নেই, তারা আজ কনে নিয়েই বাড়ি ফিরবে।

অগত্যা মিন্মির বাবাকে মেয়ের বিদায়ের জন্য রাজি হতেই হলো। ওদিকে মেয়ের মা কাঁদতে কাঁদতে শেষ। এত আদরের মেয়েকে এক কাপড়ে বিদায় দিতে হবে বলে। মিন্মির এখন আর এসবে মাথাব্যথা নেই। সে এখন কোনো পুতুল থেকে কম নয়, যে যেভাবে চাচ্ছে সেভাবেই তাকে নিয়ে খেলছে‌। কেউ তার কথা ভাবে না।

বিদায় বেলায় মিন্মি তার বাবা-মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বলল " মা, বাবা, তোমরা খুশি তো? তবে এবার আমার সব ঋন শোধ হলো। ভালো থেকো। বিদায়।" ছোট বোন আর ভাইকে জড়িয়ে ধরে বলল "ভালো থাকিস তোরা, আর তোদের বকবো না। আর তোদের রাস্তার বাধা হবো না। মা-বাবার খেয়াল রাখিস।"
বলেই মিন্মি ছেলের বাড়ির লোকজনদের সাথে গাড়িতে উঠে চলে গেলো, সকল বাঁধন, সকল মায়া ছেড়ে।
............
চলবে

মিন্মির বিয়ে  (Completed ✔️)Donde viven las historias. Descúbrelo ahora