থিংক এন্ড গ্রো রিচ বইয়ের পরে 'নেপোলিয়ন হিল' এর সবচেয়ে জনপ্রিয় বই হলো 'রোড টু সাকসেস' । যা ২০১১সালে প্রকাশিত হয়েছিলো।
কোন কথা না বাড়িয়ে সরাসরি বইটি থেকে আমার ভালোলাগার কয়েকটি টপিক আপনাদের সাথে শেয়ার করতেছি।
তিনি বলেন,সবার আগে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবেঃ
লেখক বলেছেন- মানুষ তাই, যা সে মনে মনে নিজে কল্পনা করে।
লেখক বলেছেন বিজ্ঞানী ক্যাপলারের মতো চিন্তা করুন, যে চিন্তা ঈশ্বরকেও খুঁজে দেয়। লক্ষ্যঠিক করার পর আপনার স্রষ্টাকে স্মরণ করুণ সাথে তার নিকট সাহায্য চান। লক্ষ্য হাসিল করতে ব্যর্থতা আসবে আর সেই ব্যর্থতা কাটাতে স্রষ্টাকে স্মরণ করুণ আর নতুন উদ্যম নিয়ে এগিয়ে যান।
২য় পয়েন্ট আত্নবিশ্বাসঃ
আপনি যতই পরিশ্রমী হউন না কেনো আত্নবিশ্বাসী না হলে সাফল্য কখনোই আসবেনা। আর এই আত্নবিশ্বাস বেশি হওয়ার জন্য আমাদের বন্ধু বা ঘরের মানুষ বেশি দায়ী। আপনার ফেইল করা সত্ত্বেও যদি আপনার স্ত্রী আপনাকে বলে - "তুমি আজ গতদিনের চেয়েও ভালো কাজ করতে যাচ্ছো" তাহলে কিন্তু আপনার আত্নবিশ্বাস বাড়বে। আপনার যখন নিজের উপর অগাধ বিশ্বাস থাকবে তখন আপনার বন্ধুরাও আপনাকে হতাশাকর কথা বলার আগে ১০বার ভাববে।
৩য় হলো উদ্যোগ:
উদ্যোগ মানে হচ্ছে এমন কিছু যেটা কেউ বলা ছাড়াই আপনি নিজে থেকে ওই কাজটি করার তাগিদ অনুভব করেন।
উদ্ভাবনী শক্তিঃ
এটার জন্য আমাদেরকে শিক্ষিত হতে হবেনা। এটা ঠিক নতুন উপায়ে একই কাজ করার মতো। যেমন একদিন এক যুবক হাতে একটা ট্রে নিয়ে একটা চা এর দোকানের সবার থেকে প্লেট সংগ্রহ করার জন্য যাচ্ছিলেন। হঠাৎ সে ভাবলো, আরে আমি কেন একটা মুদি দোকান দিচ্ছিনা। যেখানে সবাই যে যারটা তার ঝুড়িতে নিয়ে যাবে আর যাওয়ার সময় দরজার আগে কাউন্টারে টাকা দিয়ে যাবে। অনেকটা পুরাতন বাড়ি ভেঙে সেই বাড়ি আবার নতুন ইট দিয়ে তৈরি করার মতো।উদ্যমী বা কোন কাজে প্রবল আগ্রহ থাকাঃ
আগ্রহ বিষয় টা অনেকটা সংক্রামক। কাজের প্রতি আগ্রহ থাকলে আমরা আরো বেশি করে ওই কাজটি কিংবা ওই কাজ সম্পর্কিত কাজগুলো করতে চাই। কোন বিক্রেতাই তার সেবা বিক্রি করে সফল হবেনা যদিনা সেটার প্রতি তার আগ্রহ থাকে। তাই নিjeদের কাজের সাথে আগ্রহের কম্বো থাকা উচিত।
একাগ্রতাঃআমরা কোন কাজে একাগ্র হওয়ার জন্য সেই কাজের ছোট ছোট সাফল্যে নিজেদেরকে পুরষ্কৃত করতে পারি। আমাদের অধীনে কোন কর্মী থাকলে তাদেরকে আমরা তাদের মস্তিষ্ককে আরো প্রোডাক্টিভ করার জন্য প্রতিযোগিতার আয়োজন করে পুরুস্কৃত করতে পারি।কোন কাজে একাগ্র থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি নিজের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে, কে কি বললো সেটা শুনলে একাগ্রতা নষ্ট হয়ে যাবে।
অধ্যবসায়ঃ
এটা শুধু পড়া নয় কাজের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
কোন কাজে ১ম বারের চেষ্টায় সফল হবেন তাই সেটাতে একেবারে দক্ষতার সহিত মনোযোগ দেওয়া যাবেনা। বরং ছোট ছোট করে মনোযোগ ধরে রাখা শিখতে হবে। কারণ, ছোট ছোট করে মনোযোগ ধরে রাখার মাধ্যমে ধীরে ধীরে আপনার ওই বড় কাজের প্রতি মনোযোগ ধরে রাখার অভ্যাস গঠিত হবে।
ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করাঃ
আলফ্রেড ওয়াটার হাউজ বলেছেন, কাপুরুষদের কেউ মনে রাখেনি কারণ তারা আসলে ব্যর্থ হবার পর আর চেষ্টা করেনি।
ব্যর্থতা আমাদেরকে সহনশীল আর অধ্যবসায়ী হতে শেখায়। প্রত্যেক ব্যর্থতায় মহান কোন শিক্ষা থাকে তাই সেই শিক্ষা পেতে হলে ব্যর্থ হয়েও নিজেকে একাগ্র রাখতে হবে।
আমরা শারিরীকভাবে অসুস্থ হলেও যাতে অন্তত মানসিকভাবে সুস্থ থাকি তাহলেই এটা সম্ভব।