গেট পার হয়ে ফ্রেন্ডস হাবে’র বাড়িটাতে ঢুকার মুখেই ওরা বাধা পেলো। আজকে যেন সিকিউরিটি একটু বেশিই কড়াকড়ি। দু’জন পোশাক পরা সেন্ট্রির সাথে আরও একজন হৃষ্ট পুষ্ট চেহারার নিরাপত্তা কর্মীকে দেখা গেল। তবে লোকটা দেখতে ভয়ংকর হলেও, ব্যবহার বেশ ভালো। জয় আর লামিয়ার পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ওদের গাড়ি বাইরে রাখতে বললো। ভেতরে কোনো পার্কিং এর জায়গা ফাঁকা নেই। গাড়ি রেখে বাড়ির ভেতরে ঢুকতেই লিডিয়ার সাথে ওদের দেখা। ওদের দু’জনকে দেখে মুচকি মুচকি হাসছে লিডিয়া। বলছে,
‘বাহ্, একেবারে কাপল কাপল হয়ে আছো দেখি তোমরা! সত্যি কাপল হলে বেশ হতো, তাই না?’
লামিয়া উত্তর দিলো, ‘সে-তো বেশ হতোই। শুধু আমার হতচ্ছাড়াটাকে এখনও মানুষ বানাতে পারলাম না। আজকে কি প্ল্যান?’
‘আজকে তো বিশাল প্ল্যান। বনানী আপুর মাথা ভর্তি পার্টির বিভিন্ন প্ল্যান কিলবিল করে। আজকে ওনারা আয়োজন করেছেন ম্যাস্কারেইড পার্টি। কোথায় যে পায়
বনানী আপু এসব বুদ্ধি!’জয় বললো, ‘ম্যাস্কারেইড পার্টি মানে? ম্যাসাকার হবে নাকি আজকে? ম্যাশাটে মুভির মতো? হা হা।’
লিডিয়া উত্তর দিল, ‘আরে না, ওরকম কিছু না। মানে সবাই মুখে মুখোশ পরবে। আর মেয়েদের একটা বিশেষ কাজ করতে হবে। কি নাকি একটা গেম আছে। প্রভা (লামিয়ার ছদ্মনাম), তুমি কি দয়া করে দোতলার প্রথম বাথরুমে গিয়ে তোমার ব্রা টা খুলে রাখবে? দেখো আবার কোনো ছেলে যেন দেখতে না পায়। দোতলার ওয়াশরুমে একটা ঝুড়ি আছে, সেখানে গোপনে রেখে এসো, কেমন?’
এর মধ্যেই একজন কামনাময়ী দেহের শাড়ি পরা নারী ব্যস্ত ভঙ্গিতে হাজির হলো সেখানে। মুখে রাবারের ভেন্ডেটা মুখোশ। ঐ যে, ভি ফর ভেন্ডেটা মুভির মতো। শুধু চোখ দেখা যাচ্ছে অল্প। কথা শুরু করতেই বুঝা গেল, বনানী আপু। বলছে,
‘আরে লিডিয়া! তোমার মাস্ক কই? আজকে তো মূল আকর্ষণ মাস্ক, না হলে তো ম্যাস্কারেইডের মজাটাই থাকলো না! আর, এই যে সুপারসনিক গ্লাইডার, তোমাকে তো ভাই পাওয়াই যায় না! আজকে এসেছ, বেশ করেছ! এখন ভেতরে চলে যাও। একটা মাস্ক পরে হল ঘরে চলে যাও। বাকিরা আছে সেখানে। আমি একটু সিকিউরিটির সাথে কথা বলে আসি।’ বনানী ওদের ছেড়ে পোর্চের দিকে এগিয়ে গেল।
YOU ARE READING
সুখী দাম্পত্য (১৮+)
Fantasyএক সুখী দম্পতির বিবাহিত জীবনের অসাধারণ সব যৌন অভিজ্ঞতার কাহিনী।