তুলির এনজিও যাত্রা

3.6K 4 0
                                    


বাম দিকের ব্রেস্টে বোঁটাটার ঠিক নিচে একটু পর পর একটা তীক্ষ্ণ গুতা খাচ্ছি। মনে হচ্ছে একটা অদৃশ্য কাটা কম্পাস হাতে কেউ বসে আছে পায়ের কাছে। সিএনজি যতবারই ভাঙাচোরা রাস্তায় ঝাঁকি খাচ্ছে ততবারই টুক করে একটা গুতা দিচ্ছে। একবার ভাবলাম হাত ঢুকিয়ে দেখবো নাকি? কিন্তু জ্যামের মধ্যে এত এত লোকের সামনে হাত ঢুকিয়ে দেখতে বেশ অস্বস্তি লাগছিল। তার উপর আজকে জামাটা বগলের কাছটায় একটু বেশি টাইট লাগছে। হাত ঢুকাতে গিয়ে পাশের সেলাই খুলে আসলে তখন নতুন বিপদ হবে। তার থেকে আপাতত গুতোটা একটু সহ্য করে নিই। আমার নবাবজাদা টেইলার কোনোদিনই নতুন ডিজাইনের কোনো জামা বানালে বুকের আশেপাশের সাইজটা ঠিক মতো বসাতে পারে না। হয় পেটের কাছে টাইট বানাবে, নাহলে বগলের
নিচে কাপড় ঢলঢল করবে, একটা কিছু হবেই। এমনকি শরীর থেকে মাপ দিলেও লাভ হয়না। কিন্তু যখনই তাকে এসব বলতে যাবো, তখন পান খাওয়া দাঁত বের করে বলবে, ‘আপা এক্কেরে টেনশন লইয়েন না, ঠিক কইরা রাখমুনে, পরশু দিন আইসা নিয়ে যাইয়েন।’
এরপর হয়তো চার/পাঁচ পরশু দিন পার করে তারপর ঠিক হয়।

আড়ং-এর কাছাকাছি চলে এসেছি। এখান থেকে তো আর বেশিক্ষন লাগার কথা না। আজকেই অফিসে প্রথম দিন, দেরি হয়ে যায় কিনা, একটু একটু টেনশন হচ্ছে। যদিও হাতে প্রায় পনের মিনিটের মতো সময় আছে, তারপরেও, সকাল বেলা ঢাকায় কোথায় কোথায় জ্যাম লাগে, তার ঠিক নেই। শিশু মেলার সামনে আসতে জয়ের ফোন এল,

‘টুকুস, পৌঁছেছো?’ জয় আমাকে বিভিন্ন আদরের নামে ডাকে।

‘না, এখনো হয়তো আরো দশ মিনিট।’

‘দেরি হয়ে যাবে না? ন’টা তো প্রায় বাজছে।’

‘মনে হয় না, হয়তো কাটায় কাটায় পৌঁছাবো। তুমি কোথায়? ওদের স্কুলে দিয়েছো?’

‘দিয়েছি। আজ অফিসে চলে এলাম একটু আগে আগে।’

‘খেয়ে বেরিয়েছো তো সবাই?’

‘হুঁ, তোমার অরিত্র যততুটুকু খায় আর কি। মামনি টিফিন দিয়ে দিয়েছে ওদের।’

‘আচ্ছা, আমি রাখি এখন তাহলে। লাঞ্চে ফোন দিব, ওকে?’

‘ওকে, সোনামনি। কিছু লাগলে বোলো।’ জয় ফোন রেখে দিল।

সুখী দাম্পত্য (১৮+)Tempat cerita menjadi hidup. Temukan sekarang